• Categories

  • Archives

  • Join Bangladesh Army

    "Ever High Is My Head" Please click on the image

  • Join Bangladesh Navy

    "In War & Peace Invincible At Sea" Please click on the image

  • Join Bangladesh Air Force

    "The Sky of Bangladesh Will Be Kept Free" Please click on the image

  • Blog Stats

    • 327,570 hits
  • Get Email Updates

  • Like Our Facebook Page

  • Visitors Location

    Map
  • Hot Categories

দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশী সিনেমা ‘ব্ল্যাক’

মুহাম্মদ আমিনুল হক

বিতর্কিত লেখক ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় এবার তৈরী করছেন ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিনেমা। যার মাধ্যমে তিনি শরীয়া আইন, জিহাদ, বোরখা, পাথর ছুঁড়ে মারা, বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহ ও শিরচ্ছেদের প্রসঙ্গ টেনে ইসলামের বিরুদ্ধে দেশ বিদেশে জনমত তৈরী করতে চাচ্ছেন। ব্ল্যাক সিনেমার প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে এ ছবির নির্মাতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জাতিকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করছি।

https://i0.wp.com/www.ishr.org/uploads/RTEmagicC_Bangladesch-Shoaib_Choudhury-durdesh.net.jpg.jpg

বিতর্কিত লেখক ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় এবার তৈরী করছেন ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিনেমা

https://i0.wp.com/www.weeklyblitz.net/images/logo.gif

''Weekly Blitz' এর মাধ্যমেই সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী তার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন

https://i0.wp.com/www.follow-islam.com/wp-content/uploads/2011/07/Jihad-In-Islam3.jpg

বিশেষকরে ইসলামের অন্যতম বিধান জিহাদের বিরুদ্ধে বিষোদগারমূলক বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর সাপ্তাহিক পত্রিকাটি মানুষের কাছে ইসলাম বিরোধী পত্রিকা (Anti-Islamic Newspaper) হিসেবে পরিচিতি পায়

‘Weekly Blitz’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী বেশ পরিচিত। ”Weekly Blitz’ এর মাধ্যমেই তিনি তার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের বিরুদ্ধে তার লেখনীতে কখনো ছেদ পড়েনি। বিশেষকরে ইসলামের অন্যতম বিধান জিহাদের বিরুদ্ধে বিষোদগারমূলক বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে তার সাপ্তাহিক পত্রিকাটি মানুষের কাছে ইসলাম বিরোধী পত্রিকা (Anti-Islamic Newspaper) হিসেবে পরিচিতি পায়।

তিনি ১৯৮৯ সনে সাংবাদিকতা শুরু করেন সোভিয়েট ইউনিয়নের ’তাস’ (TASS) নিউজ এজেন্সিতে। ১৯৯১ সনে তিনি ইটার তাস (Iter-Tass) নিউজ এজেন্সির বাংলাদেশ শাখার প্রধান সংবাদদাতা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সোভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পর বিভিন্ন দেশে ইটার তাসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে তিনি ১৯৯৬ সনে ওখান থেকে চাকুরী ছেড়ে বাংলাদেশে প্রথম প্রাইভেট টিভি চ্যানেল ২১শে টিভি প্রতিষ্ঠা করেন। তখনকার সময়ে একুশে টিভিও ইসলাম বিরোধী টিভি হিসেবে পরিচিতি পায়। বাংলা ও ইংরেজীতে তার কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ২০০৭ সালে প্রকাশিত হওয়া একটি বইয়ের শিরোণাম হচ্ছে- “Injustice & Jihad” (অবিচার এবং জিহাদ)। বইয়ের নাম দিয়েই অনুধাবন করা যায় ইসলাম নিয়ে তার কত জ্বালাপোড়া! বইটি ২০০৮ সালে Non Sono Colpevole নামে ইতালিয়ান ভাষায়ও প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সনে Inside Madrassa (মাদরাসার অভ্যন্তরে) নামক বইটি প্রকাশিত হয়। উক্ত বইয়ের মাধ্যমে তিনি মাদরাসার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করেন।

তিনি বাংলাদেশে ইসরাইল ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম গঠন করেন। বাংলাদেশে আল-কায়েদা সংগঠনের বিস্তার সম্পর্কে তিনি অনেক আজগুবি লেখাও উপহার দেন। তার লেখনীতে বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইসরাইল বিরোধীদের মনোভাব সম্পর্কেও তথ্য উঠে আসে। ইসলাম বিদ্বেষী এই বাম সাংবাদিকের আসল বন্ধু হচ্ছে- ইসরাইল ও তার দোসররা। এদেশে চৌধুরী সাহেব নিন্দিত হলেও ইসলাম বিরোধী শক্তি তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দিচ্ছে। ২০০৫ সনে PEN USA তাকে মুক্ত লেখনীর জন্য পুরুস্কৃত করে। ২০০৬ সনের মে মাসে American Jewish Committee তাকে পুরুস্কৃত করতে চাইলে তৎকালীন সরকার তাকে যুক্তরাষ্ট্র যেতে বাধা প্রদান করে। ২০০৭ সনে তাকে Prince Albert of Monaco এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

https://i0.wp.com/www.darkgovernment.com/news/wp-content/uploads/2009/02/mossad-seal.jpg

ইসরাইলের একান্ত দোসর শোয়েব চৌধুরীকে ইসরাইল-মোসাদ কানেকশন ও দেশ বিরোধী তৎপরতার দায়ে ২৯ নভেম্বর ২০০৩ সনে তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০০৩ তেলআবিবে অনুষ্ঠিতব্য এক কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তার লাগেজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ তথ্য সম্বলিত অনেক ডকুমেন্ট ও সিডি উদ্ধার করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত নানান ভৌতিক তথ্যও ছিল তাতে। তার গ্রেফতার সম্পর্কিত খবর পরের দিন ইংরেজী পত্রিকা Daily Star পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়।

Man with ‘Mosad links’ held at ZIA শিরোনামের খবরে বলা হয় :

A man was arrested at Zia International Airport yesterday morning on his way to Tel Aviv for his alleged Mossad connection. A leader of Bangladesh chapter of ‘Iflaq’, a Haifa-based organisation, Salauddin Shoib Chowdhury was carrying compact discs (CD‘s) and papers containing write-ups on some sensitive issues including ‘minority repression and the al Qaeda network in Bangladesh’, police said. Shoaib was managing director of the planned Inquilab Television until he was sacked last year…….

এরপর চৌধুরী সাহেব একাধারে ১৭ মাস জেল খাটেন। চৌধুরী সাহেব কিছুদিন ইনকিলাব পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভি প্রতিষ্ঠা করার জন্যও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভির এম.ডি হিসেবে নিযুক্ত হন। ইনকিলাব টিভিতে তার প্রায় এক মিলিয়ন টাকার মোট ৩০% শেয়ার ছিল বলে দাবী করেন। ইনকিলাব পত্রিকা যখন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেও ইনকিলাব টিভির সর্বোচ্চ পদে ঘাপটি মেরে ছিল দেশ ও জাতির শত্রু এবং ইসরাইলের এ চর! এ ঘটনা থেকে কি বি.এন.পি. ও ইসলামী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো শিক্ষা নেবে?

https://i0.wp.com/www.dailyinqilab.com/images/name.gif

১৯৬৫ সনে সিলেটে জন্ম নেয়া এ নরাধম, পাপিষ্ট, দেশদ্রোহী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এখনও নির্বিঘ্নে তাদের কলুষিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এবার তারা তৈরী করতে যাচ্ছে ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিরিজ সিনেমা। যা তার ভাষ্যমতে, এ বছরের এপ্রিল মাসে (১৪১৮ বাংলা নববর্ষে) পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামকে বিশ্ববাসীর কাছে বিকৃতভাবে তুলে ধরা। বাংলা ভাষায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হলেও ইংরেজী, হিন্দি, উর্দূ ও ফ্রেন্স ভাষায় এর সাব টাইটেল লিখে আন্তর্জাতিক বাজারে ছাড়া হয়েছে। ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন মডেল কন্যা শতাব্দি।

https://i0.wp.com/www.washingtonbanglaradio.com/images03/bengali-actress-shatabdi.jpg

ব্ল্যাক ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন মডেল কন্যা শতাব্দি

ছবিটি নিয়ে নায়িকা শতাব্দি বলেন:

“ছবির স্ক্রিপ্টে খুবই ভালো লেগেছে আমাকে। শোয়েব চৌধুরী ও তার দলের মত আন্তর্জাতিক মানের টিমের সাথে কাজ করতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের”।

ছবিতে গান গেয়েছেন সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা, আগুন, এস.আই টুটুল, অনিমা ডি কস্তা ও ফকির শাহাবুদ্দিন।

কী আছে এই সিনেমায়?

শান্তিগ্রাম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম। পয়ত্রিশ বছর আগে এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের লোকজন বেশ শান্তিতে বসবাস করত। কিন্তু কয়েক দশক থেকে পুরো গ্রামে ইসলাম পন্থীদের ইসলামী কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মসজিদ মাদরাসার হুজুরদের প্রভাব দিন দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা নিজেরাই শরীয়া আইন চালু করে জনগণের জীবন যাত্রা বিভীষিকাময় করে তুলেছে। মোল্লারা গ্রামের পুরুষদের একাধিক বিবাহে উৎসাহ দিচ্ছে। এভাবে একাধিক স্ত্রী যাদের আছে তারা সেইসব স্ত্রীদের সাথে দাসীর মতো আচরণ করছে এবং সেই একাধিক স্ত্রীদের কৃষিকাজসহ নানা কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু যখন কোন মহিলা অসুস্থ হচ্ছে, তখন তাকে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এই অজুহাতে যে হাসপাতালগুলো শয়তানের আড্ডাখানা যেখানে নারী-পুরুষ পর্দা ছাড়াই অবাধে মেলামেশা করে। গ্রামে মোল্লা ও মাতব্বরদের সমন্বয়ে শরীয়া কমিটি করে দোররা মারাসহ বিভিন্ন শারীরিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিয়মিত। এই গ্রামেই বাস করে কিছু বাউল সম্প্রদায়ের লোক। এরা মূলত: হিন্দু ও সূফী মুসলিম গোত্রের মানুষ। বাউলরা ধর্মের সম্প্রীতির বাণী শুনাতো। গ্রামের উগ্র ইসলামপন্থীদের প্রভাবে তাদের জীবনেও নেমে আসে বিভীষিকা। মোল্লারা তাদের আল্টিমেটাম দেয়, হয় মুসলিম হও না হয় এই এলাকা ত্যাগ কর। এদিকে গ্রামে ইসলামী এনজিওদের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পায়। তারা হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধসহ অন্যান্য অমুসলিমদের ইসলাম গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রলোভন দেয়, ঋণ দেয়। তাতে কাজ না হলে ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। এতেও কাজ না হলে ঐসব অমুসলিম পরিবারের যুবক-যুবতীদের অপহরণ করে জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করে। এভাবে একদিন দেখা যায় যে, গ্রামটি অমুসলিমশূন্য হয়ে গেল। ব্ল্যাক সিনেমায় দেখানো হচ্ছে কিভাবে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া শরীয়া আইন মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে সাথে সাথে সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়কে নির্মূল করছে।

https://i0.wp.com/www.weeklyblitz.net/pics/1170.jpg

শোয়েব চৌধুরীর এই সিরিজ সিনেমাটি যে দেশ ও ইসলাম বিরোধী ভয়ানক প্রোপাগান্ডার অংশ, এতে কোন সন্দেহ নেই। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ ও মুসলিম জনগোষ্ঠিকে হেয় করার জন্য এই জঘন্য ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। ইসলাম সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র একাডেমিক জ্ঞান নেই তার দ্বারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করা কূপমণ্ডুকতার শামিল। তিনি ডাহা মিথ্যা কথা দিয়ে এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। যে সমস্ত তথ্য এ সিনেমাটিতে দেয়া হয়েছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

গত ১২ জানুয়ারী ওয়াশিংটন বাংলা রেডিওতে শোয়েব চৌধুরী তার নির্মিতব্য ব্ল্যাক সিনেমা নিয়ে যে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন তাও মিথ্যা দিয়ে ভরা। তিনি বলেন,

“A secular government came to power in the year 2008 but things really didn’t change much at Bangladesh. Every year almost sixteen thousand Hindu Women in Bangladesh are kidnapped and converted to Islam forcefully. The numbers have not changed in the year 2011 also”.

অর্থাৎ-

“২০০৮ সনে বাংলাদেশে সেক্যুলার সরকার ক্ষমতায় এলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ অবস্থার বাস্তবিক কোন পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশে প্রত্যেক বছর প্রায় ১৬ হাজার হিন্দু মহিলা অপহৃত হয় এবং তারা বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ২০১১ তে এসেও এই সংখ্যা কমেনি মোটেও”।

এর চেয়ে জঘন্য মিথ্যাচার আর কি হতে পারে! সেক্যুলার সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পরিবর্তনের নামে ইসলাম ধ্বংসের মহোৎসবকে আড়াল করা কিংবা এর মাত্রা আরও বৃদ্ধির জন্যই কি তার এ আয়োজন? শোয়েব চৌধুরী কি নির্দিষ্ট করে ঐ প্রত্যেক বছর অপহৃত হওয়া এবং বাধ্য হয়ে মুসলিম হয়ে যাওয়া হিন্দু মহিলার নাম বলতে পারবেন? তারা কোন গ্রামের এবং কোন বাপের সন্তান তার তথ্য কি চৌধুরীর কাছে আছে? বিশ্ব বিখ্যাত পপশিল্পী ক্যাট স্টিভেন (ইউসুফ ইসলাম), টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা লরা বুথসহ উন্নত বিশ্বের লাখো লাখো অমুসলিমকে কোন বাংলাদেশী মুসলিমরা ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করছে?

তিনি এরকম আজগুবি আরো অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন:

The oppression of the religious minorities at Bangladesh continues unabated. There were many incidents of attacks on the Hindu mandirs during the Durga puja, this year. None were reported and the governments at Bangladesh is least bothered to take up the causes for minorities.

তিনি সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করে বলেন:

The purpose of making the film is not at all commercial but to make people aware of what happens with the woman; once she is abducted and converted. The girl’s family is not aware of what the girl goes through after kidnapping. The film tries to answer this and in the process make people aware of the evil of this practice and the suffering of humanity.

শয়তানের ভালো কথার মধ্যে যেরকম শয়তানীতে ভরপুর থাকে; কল্যাণের কিছু থাকে না, তেমনি শোয়েব চৌধুরীও তার দোসরদের নিয়ে বাংলাদেশ ও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম নিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ধর্মদ্রোহী এই কুলাঙ্গারের চোখের সামনে শত শত মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড হলেও তা তার চোখকে স্পর্শ করে না। ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠী যে অবর্ণনীয় দু:খ-কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে তা নিয়ে তিনি কি কোনদিন ভেবেছেন? সভ্যতার এই চরম উৎকর্ষের যুগে গুজরাটে কয়েক হাজার মুসলিমকে পুড়িয়ে মারলেও চৌধুরীদের রক্ত পিপাসা মেটে না, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে আরেক গুজরাট বানাতে চান। বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়াকে অসাম্প্রদায়িক(?) চৌধুরী সাহেব কী বলবেন? কাশ্মীর, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, ইরাকে প্রতিদিন শতশত নর-নারী যে নির্মমতার শিকার হয় তা কি এই বিকৃত মস্তিস্কওয়ালা বিপথগামী সাংবাদিককে কখনো ব্যাথিত করে? জারজ রাষ্ট্র ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনী নাগরিকদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে, নারীদের ধর্ষণ করে, শান্তির জনপদকে অশান্ত করে, অবরোধ করে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নষ্ট করে তখন তা নিয়ে চৌধুরী সাহেব সিনেমা তৈরী করেন না কেন? বসনিয়া, কসোভোর কসাইদের নিয়ে তার কেন মাথা ব্যথা নেই? ইসলামবিরোধীচক্র বিশেষত ইসরাইলের পালকপুত্রের কাছে ওগুলো কোন অন্যায় নয়। ওগুলোর বিরুদ্ধে বললেতো আর প্রভূদের থেকে ভিক্ষা পাওয়া যাবে না!

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে কারা উপজাতীয়দের খ্রীষ্টান বানায় তা সবাই জানে। শুধু তাই নয় অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে মুসলমান বালক-বালিকাদেরকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ আছে। স্কুলে বালক-বালিকাদের চোখ বন্ধ করে চকলেট দিয়ে আবার চোখ খোলার পরে জিজ্ঞেস করা হয় কে এই চকলেট দিল? সবাই যখন উত্তর দেয় ম্যাডাম দিয়েছে; তখন তাদেরকে চোখ বুজে আল্লাহর কাছে চকলেট চাইতে বলা হয় এবং চকলেট না পাওয়া গেলে বলা হয় আল্লাহ বলতে কিছু নেই। কিন্তু এসব দৃশ্যকে এড়িয়ে গিয়ে ইসলামী এনজিওর বিরুদ্ধে সর্বৈব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যে সিনেমা বানানো হলো তা এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করবে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ম্যাসেজ যাবে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলসহ অন্যরাষ্ট্রগুলো আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হবে। চৌধুরী সাহেব জিহাদের কি বোঝেন? জিহাদ মানে যুদ্ধ ও হত্যা নয়। জিহাদ অর্থ হচ্ছে- জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মুসলিমকে ইসলামের উপর টিকে থাকার চেষ্টা করা। নফস, শয়তান ও তাগুতের বিপক্ষে সত্যের পক্ষে অটল থাকার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার নাম জিহাদ। জিহাদ হচ্ছে- ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জান মাল ও সবকিছু দিয়ে একান্ত চেষ্টা করা। হিজাব নারীর অলংকার। এটি নারীকে শোয়েব চৌধুরীর মত শয়তানদের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। হিজাব কখনো নারীর কোন অধিকারকে ক্ষুন্ন করে না। তবে হ্যাঁ হিজাব চৌধুরী সাহেবদের মতো ভোগবাদীদের লাম্পট্যকে বাধাগ্রস্থ করে।

ইসলাম পুরুষের চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য বিবাহের ব্যবস্থা করেছে। প্রয়োজন হলে শর্ত সাপেক্ষে একসাথে চারটি বিয়ের অনুমতিও দেয়া হয়েছে। তবে ইসলামের শর্ত মেনে একসাথে চারজন স্ত্রী ঘরে রাখা মোটামুটি অসম্ভব। শোয়েব চৌধুরী মূলত: বহু বিবাহের নামে ইসলামের বিবাহ নামক পবিত্র প্রথাকে বিলোপ করার চেষ্টা করছেন। ঘরে বৈধ বৌ থাকলে যে অবাধে নাইট ক্লাবে গমন, বহু নারীর সংস্পর্শ পাওয়া খুব কঠিন তা তিনি ভালো করে জানেন বিধায় বিবাহ উচ্ছেদের এই পরিকল্পনা। তার আরেক দোস্ত তসলিমা নাসরিন তার এক বইতে চৌধুরীর মতো বাবার বয়সী প্রগতিশীল পুরুষদের মহৎ(?) চরিত্রের বয়ান লিখে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের আরেক দিকপাল তার মেয়ের বান্ধবীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে সকল লাজ লজ্জা ফেলে বিয়েই করে ফেললেন। আরেক বিখ্যাত বৃদ্ধ কবির (এখন মরহুম) কাছে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা রাত যাপন করার আবদার করতেন এবং তা তিনি ফেলতে পারতেন না তার মহত্বের গুণে। শোয়েব চৌধুরী কি বলতে পারবেন বাংলাদেশের কোন কোন মোল্লা একাধিক স্ত্রী রেখে তাদেরকে দিয়ে কৃষি কাজ করান? কোন মোল্লার বউ চিকিৎসার অভাবে ঘরে বসে মারা গেছেন? অবশ্য অভাবগ্রস্থ সাধারণ বাংলাদেশীদের অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যেতে পারেন, সেটি কোন বিশেষ গেষ্ঠির জন্য নির্দিষ্ট নয়। তিনি যে কাল্পনিক শান্তিগ্রামের কথা বলেছেন সে রকম কি কোন বাস্তবিক গ্রামের অস্তিত্ব এদেশে আছে?

বাংলাদেশে আবহমান কাল ধরে হিন্দু, খ্রীষ্টান, উপজাতি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে মুসলমানদের যে সদ্ভাব বিদ্যমান আছে তার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। এদেশে উপজাতির জন্য সরকারীভাবে কোটা পদ্ধতি চালু আছে। হিন্দুরা এদেশে মন্ত্রিত্ব করছে, এম.পি হচ্ছে। পুলিশ অফিসার, ডিসি, এসপিসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে হিন্দুদের উপস্থিতি কম নয়। বরং কখনো কখনো তাদের ভাব দেখলে মনে হয় না তারা এদেশে সংখ্যালঘু। তারপরও শোয়েব চৌধুরীর হিন্দুদের নিয়ে যে এত উদ্বেগ তার পিছনে রহস্য কি? তিনি শুধু সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলে সংখ্যাগুরু নির্যাতনের বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মিশর, তিওনিসিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুগের পর যুগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠি সেক্যুলার শক্তির দ্বারা নির্যাতিত হলেও ওদিকে তাকানোর সুযোগ চৌধুরীর নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হলেও বাংলাদেশেও আজ কী ঘটছে? গুটিকয়েক নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের ক্ষমতার দাপটে ইসলামী চেতনা, ইসলামী শিক্ষা, ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী সংগঠন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস ও চেতনার প্রতীক মাহমুদুর রহমানরা আজ বন্দীশালায় ধুকেধুকে মরছে, আর তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সাংবাদিক তৌহিদী জনতার চোখে ধুলা দিয়ে বাংলাদেশে বসেই ইসলামের বিরুদ্ধে ছবি নির্মাণ করে তামাশা দেখছে! এরা মূলত সংখ্যালঘুর দোহাই তুলে সংখ্যাগরিষ্ঠকে নির্মূলের আয়োজন করছে। পরিসংখ্যান বলছে, যে এলাকায় মাদরাসা বেশী সেই এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা বেশী। সে এলাকায় তুলনামূলকভাবে অপরাধ সংঘটিত কম হয়। সারাদেশে এত ইভটিজিং, নারী-ধর্ষণ, এসিড সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতন কারা করছে? ঐসব ঘটনায় কয়জন মাদরাসার ছাত্র জড়িত? রেকর্ড বলছে মাদরাসার ছাত্ররা এসব কাজে জড়িত নেই বললেই চলে। তারপরও মাদরাসার বিরুদ্ধে এত বিষোদগার কেন? কারণও সবার জানা। হান্টিংটনের গবেষণায় আগামী শতাব্দীতে পাশ্চাত্যের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমান। অতএব বিভিন্ন ছলনায় এদেরকে নির্মূল করা চাই। বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধন করতে তথাকথিত মুসলিম সহযোদ্ধাদের বিকল্প নেই। শোয়েব চৌধুরীরাতো ঐ দলেরই গর্বিত সদস্য।

যাইহোক ব্ল্যাক ছবিতে শোয়েব চৌধুরী যে বিষয়গুলোর অবতারণা করেছেন তার সাথে বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা ছাড়া বাস্তবতার কোন মিল নেই। শুধুমাত্র বিকৃত মস্তিস্ক সম্পন্ন বিবেকহীন নির্বোধ দিয়েই এরকম বাস্তবতা বিবর্জিত দেশ ও ইসলাম বিরোধী ছবি নির্মাণ করা সম্ভব। গত ১লা বৈশাখ তিনি ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় জনতাকে তার এই হীন প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে। দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল অপতৎপরতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ তারা যেন এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্ল্যাক সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে দেশ ও ইসলামের ভাবমূর্তি রক্ষায় এগিয়ে আসেন।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

 

 http://www.sonarbangladesh.com/articles/MuhammadAminulHaque
 

সূত্রঃ

https://i0.wp.com/www.sonarbangladesh.com/images/sbheader_village_sun.jpg

 

বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব

মেজর ফারুক (অবঃ)

ভূমিকা

 

নির্দিষ্ট সীমান্ত একটি রাস্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্টের কয়েকটির মধ্যে অন্যতম। সুনির্দিষ্ট সীমান্ত বিহীন কোন রাস্ট্রের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায়না। এজন্য একটি রাস্ট্রের পক্ষে – সীমান্ত চিহ্নিত করে তার যথাযথ সংরক্ষন যেমন জরুরী, তেমনি জরুরী – সে সীমান্তের মধ্য দিয়ে যে কোন বহিঃশক্তির আগ্রাসন, অনুপ্রবেশ, অবাধ চলাচল, চোরাচালান, মানব পাচার ইত্যাদি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রন করা।

 

সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের ভূখন্ডকেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে স্বাধীন ভূমি হিসেবে লাভ করেছি।

https://i0.wp.com/newsleaks.in/wp-content/uploads/2011/05/Indo-Bangladesh-flag.jpg

১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশের বেরুবাড়ী ছিটমহলটি সংবিধান সংশোধন করে ভারতকে হস্তান্তর করা হয়; বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে তার ছিটমহল আংগরপোতা-দহগ্রামে যাবার জন্য ৩ বিঘা করিডোর হস্তান্তরের কথা ছিল; কিন্তু গত ৪০ বছরেও ভারত সেই ৩ বিঘা করিডোর বাংলাদেশকে হস্তান্তর করেনি।

https://i0.wp.com/www.thedailystar.net/forum/2007/october/tin06.jpg

https://i0.wp.com/exclave.info/Tin-Bigha/tinbighamap.jpg

 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেও সে চুক্তিকে অমান্য করা এবং প্রতিবেশী দেশের উপর অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রাকৃতিক, সামরিক, রাজনৈতিক, কুটনৈতিক ইত্যাদি নানাবিধ বৈরী আচরন করে লক্ষ্যস্হ প্রতিবেশীকে তার নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল অবলম্বন – ভারতের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্য চানক্য কুটনীতির বিষয় বলেই প্রতীয়মান।

 

আর ভৌগোলিকভাবে ৩ দিক থেকেই ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত বিধায় ভারতের বৈরী আচরন ও আগ্রাসনের শিকার বাংলাদেশ।

 

সীমান্তে আগ্রাসন

 

সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে সব বৈরী আচরণের শিকার হচ্ছে- তার কিছু উদাহরন হলোঃ

 

(১) সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী মানুষ হত্যা করা।

(২) সীমান্ত দিয়ে মাদক দ্রব্য ও বেআইনী অস্ত্র পাচার করা।

(৩) সীমান্ত দিয়ে ব্যাপক চোরাচালান।

(৪) সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন ইত্যাদি অপরাধ করা।

(৫) বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা করা যেমন- রৌমারীতে তকালীন বিডিআর পোস্টে আক্রমন করা হয়েছিল।

(৬) বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন ভূমি দখল করা।

(৭) বাংলাদেশের সমূদ্র সীমায় জাগরিত তালপট্টি দীপ দখল করন।

(৮) বাংলাদেশের সমূদ্র সীমার দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে ভারতের অবৈধ দাবী উত্থাপন।

(৯) বছরে প্রায় ২২০০০ নারী ও শিশুকে পাচার করে তাদেরকে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে এবং কল-কারখানায় দাস হিসেবে ব্যবহার করা।

(১০) বেরুবারীর বদলে তিন বিঘা করিডোর হস্তান্তর না করা-ইত্যাদি।

 

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আঘাত স্বরুপ যে-সব কর্মকান্ড ভারত এ যাবত গ্রহণ করেছে সেগুলো হলোঃ

 

(১) ১৯৭১ সালেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারত বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারকে বাধ্য করে ৭ দফা চুক্তি স্বাক্ষরে- যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা একটি সার্বভৌমত্বহীন রাস্ট্রে নামিয়ে আনা হয়।

 

(২) ১৯৭১ সালে ৯ মাস  ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধে আমাদের লক্ষাধিক মুক্তিসেনা এবং পুরো জাতি যে সংগ্রাম ও ত্যাগ তিতীক্ষা বরন করেছে তাকে অস্বীকার করে পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করার একক দাবীদার হিসেবে ভারত নিজেকে আবির্ভূত করে । কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে- বাংলাদেশের লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধা এবং পুরো জাতি মিলে পাকিস্তানী বাহিনীকে পর্যুদস্ত না করলে এবং যৌথ বাহিনীকে সমর্থন না করলে – ভারত কোন দিনই পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাস্ত করতে পারতো না।

 

(৩) মুজিব-ইন্দিরা স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের গোলামী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও পররাস্ট্র নীতি ভারতের উপর নির্ভরশীল করা হয়েছিল।

 

(৪) ভারত ১৯৭৫ সালের পর কাদেরীয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত হামলা পরিচালনায় সহায়তা দিয়েছে।

 

(৫) ভারতের কোলকাতায় বসে ‘বঙ্গভুমি আন্দোলন’ নামক বাংলাদেশ বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ মিটিং মিছিল ও সভা–সমাবেশ করে, যাদের দাবী – বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে একটি হিন্দু রাস্ট্র গঠন করা।

 

(৬) ভারত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী চাকমা সন্ত্রাসীদেরকে দীর্ঘদিন যাবত অস্ত্র, গোলাবারুদ, রসদ, আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় ৩৫০০০ মানুষকে হত্যা করতে সহায়তা করেছে। ভারতের মাটিতে বসে তারা আজো বাংলাদেশ বিরোধী প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। বাস্তবে এটি হলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রক্সি যুদ্ধ।

 

(৭)  ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক পাখির মত গুলি করে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী – ২০০০ সালের জানুয়ারীর প্রথম থেকে চলতি ২০১১ সালের আগষ্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভারত ৯৯৮ জনকে হত্যা, ৯৯৬ জনকে আহত,  ৯৫৭ জনকে অপহরন, ২২৬ জনকে গ্রেফতার এবং ১৪ জনকে ধর্ষণ করেছে।

 

(৮) ভারত বাংলাদেশকে কাঁটাতারের বেড়া দ্বারা ঘিরে ফেলে পৃথিবীর বৃহত্তম কারাগারে পরিণত করেছে।

 

(৯) ভারত বাংলাদেশে প্রবেশকারী ৫৪ টি আন্তর্জাতিক নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেছে এবং টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে- যা বাংলাদেশের বৃহত্তম সিলেট অঞ্চলকে মরুভুমিতে পরিণত করবে।

 

(১০) ভারত ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি উজানে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার গ্যারান্টি ক্লজ ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্ততার বিধান ছাড়াই গঙ্গা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে কিন্তু এযাবত কোন বছরেই ভারত বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়নি। এছাড়া, একসাথে ফারাক্কার সবগুলো গেইট খুলে দিয়ে প্রতি বছর বাংলাদেশে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টি করছে। ফারাক্কা বাঁধের কারনে বাংলাদেশের নদীতে নাব্যতা কমে অনেক নদী সরু খালে পরিনত হয়েছে; উত্তরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে মরুকরণ,আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ।

 

(১১) ভারত হাসিনা সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশকে তার গোয়েন্দা বাহিনীর বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত করেছে; বাংলাদেশের ভিতর থেকেই ‘র’ এর সদস্যরা এখন হরহামেশা মানুষ ধরে নিয়ে যায়।

 

(১২) ভারত ‘ব্যাগ ভরতি টাকা এবং মন্ত্রনা’ দিয়ে বাংলাদেশের গত নির্বাচন তথা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে বলে লন্ডনের ‘ইকোনোমিষ্ট’ পত্রিকা তথ্য বের করেছে।

 

(১৩) ভারত জেএমবি নামক উগ্রবাদী গোষ্ঠী তৈরীতে মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে তথাকথিত ইসলামী জঙ্গীদের দেশ হিসেবে বহিঃর্বিশ্বে উপস্থাপন করতে চায়।

(১৪) ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল বলে ভারতীয় লেখকেরাই এখন স্বীকার করছেন।

https://i0.wp.com/www.zyzyo.com/wp-content/uploads/2010/11/Research-and-Analysis-Wing-of-India.jpg

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'

(১৫) বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী করিডোর সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে ভারত  ‘সহযোগিতার জন্য কাঠামো চুক্তি’ স্বাক্ষর করেছে এবং বাংলাদেশের সকল সেক্টরে অনুপ্রবেশের সুযোগ হাতিয়ে নিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব দারুনভাবে ব্যাহত হবে।

 

(১৬) ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতা আন্দোলন দমন এবং বিতর্কিত অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চীনের সাথে সম্ভাব্য সংঘর্ষে বাংলাদেশের ভূমিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়ে তার সামরিক কার্যক্রমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে- এবং এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বুক চিড়ে তার সামরিক বহর চলাচলের জন্য করিডোর সুবিধা আদায় করেছে।

 

(১৭) বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করা হলেও সেসব হত্যাকান্ডকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে আক্ষায়িত করার জন্য ভারতীয় বিএসএফ প্রধান ঢাকায় বসে নছিহত করে গেছেন।

 

সরকারের প্রতি প্রস্তাবিত আহবানঃ

 

ভারতের উপরোল্লেখিত আচরনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি নিম্নোক্ত আহবান জানানো জরুরীঃ

 

(ক) সীমান্তে হত্যা, নির্যাতন, অপহরন, ধর্ষণ ইত্যাদি মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে শক্ত কুটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো এবং এসব অপরাধ বন্ধ না হলে জাতিসংঘের শরণাপন্ন হওয়া;

https://i0.wp.com/www.shahidulnews.com/wp-content/uploads/2011/01/felani.jpg

(খ) সীমান্তে ভূমি দখল, সশস্ত্র আগ্রাসন এবং সামরিক স্থাপনা নির্মান থেকে ভারতকে বিরত রাখা এবং কোন ভূমি ভারতের কাছে হস্তান্তরকরণ থেকে বিরত থাকা;

 

(গ) বাংলাদেশের অর্থনীতি, কৌশলগত নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব পরিপন্থী করিডোর প্রদানের কার্যক্রম থেকে ফিরে আসা;

 

(ঘ) গঙ্গা পানি চুক্তি অনুসারে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন, টিপাইমূখ বাঁধ নির্মানে ভারতকে বিরত রাখা, স্থল ও সমূদ্র সীমানায় ভারতকে অন্যায্য দাবী-দাওয়া তোলা থেকে বিরত রাখা এবং ফারাক্কা বাঁধের কারনে ক্ষতিপূরন আদায়ের ব্যবস্থা নেয়া;

https://i0.wp.com/beaverdamsss.com/wp-content/uploads/2011/09/Tipaimukh-Dam.jpg

প্রস্তাবিত টিপাইমূখ বাঁধ

 https://i0.wp.com/www.globalwebpost.com/farooqm/writings/bangladesh/farakka/farakka.jpg

(ঙ) মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭৪ সালে বেরুবাড়ী হস্তান্তরের বিনিময়ে ৩ বিঘা করিডোর সম্পূর্নভাবে বিনিময় করতে এবং তালপট্টি দ্বীপ ভারতের দখলমুক্ত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন;

https://wakeupbd.files.wordpress.com/2011/10/location.gif?w=226

(চ) সীমান্তে চোরাচালান ও মানব পাচার বন্ধকরণ; এযাবত বিএসএফ এর হাতে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে ক্ষতিপূরন আদায়ের ব্যবস্থা করন;

 

(ছ) ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহে চলমান স্বাধীনতা আন্দোলন দমনে এবং চীনের সাথে ভারতের সম্ভাব্য কোন সামরিক সংঘর্ষে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের ভারতীয় পরিকল্পনার অংশ হওয়া থেকে বিরত থাকা;

 

(জ) পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা দান থেকে বিরত থাকতে প্রতিবেশী রাস্ট্রের সাথে দক্ষ কুটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহন;

 

(ঝ) তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিকে করিডোর প্রদানের সাথে সম্পরকিত না করা এবং ভবিষ্যতে তিস্তা চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজ ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার ব্যবস্থা রাখা;

 

(ঞ) পিলখানায় ৫৭ জন অফিসারকে হত্যার পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদেরকে সনাক্ত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন এবং সীমান্তের ৮ কিঃ মিঃ এলাকা থেকে পুলিশ-র‍্যাব তুলে এনে সীমান্তকে আরো অরক্ষিত করা থেকে বিরত থাকা;

 

( ট) বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করা এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ‘ব্যাগভরতি টাকা ও শলাপরামর্শ’ দিয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে ভারতকে বিরত রাখা।

 

(ঠ) সদ্য স্বাক্ষরিত ‘সহযোগিতার জন্য কাঠামো চুক্তি’ অনুসারে বাংলাদেশের সকল সেক্টরে ভারতীয় অনুপ্রবেশের সুযোগ সৃষ্টিকরন থেকে বিরত থাকা।

 

তারিখঃ ১৬ অক্টোবর ২০১১।

ইমেইলঃ farukbd5@yahoo.com

//  

 

অবৈধ আয় হারাবে বলে পুলিশ র‍্যাবে আসতে চায় না: বারী

https://i0.wp.com/www.bdreport24.com/wp-content/uploads/2010/12/wikileaksEditB201012041557132.jpg

আড়াই লাখ মার্কিন তারবার্তা ফাঁস করেছে উইকিলিকস। মার্কিন কূটনীতিকদের ভাষ্যে এসব তারবার্তায় বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার অন্দরমহলও

সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী ফজলুল বারী বলেছিলেন, ঘুষসহ অন্যান্য আয়ের সুযোগ কমে যাবে বলে পুলিশ থেকে র‍্যাব বাহিনীতে আসার আগ্রহ কম।

[prabasher_news_06102009_0000001_gen_bari.png]

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী ফজলুল বারী

২০০৬ সালে ডিজিএফআইএর কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এক সম্মেলনে যোগদানের সময় মার্কিন এক কর্মকর্তাকে এ কথা বলেছিলেন ব্রিগেডিয়ার বারী। উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন দূতাবাসের কূটনৈতিক তারবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে। ফাঁস হওয়া ওই তারবার্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের এপ্রিলে হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত পিএএসওসি সম্মেলন চলার সময় মূল অনুষ্ঠানের বাইরে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে বারীর খোলামেলা কথাবার্তা হয়। বারী এ সময় র‍্যাব গঠনের সময় থেকে এ বাহিনীর বিষয়ে তাঁর বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবির তৎপরতা নিয়ে কথা বলেন। প্রসঙ্গত, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী একসময় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) উপপ্রধান ছিলেন।

তারবার্তার তথ্যমতে, মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় বারী উল্লেখ করেন, র‍্যাব গঠনের প্রাথমিক পরিকল্পনার সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল র‍্যাব সামরিক বাহিনী থেকে ৪৪ শতাংশ, পুলিশ বাহিনী থেকে ৪৪ শতাংশ ও বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) থেকে ১২ শতাংশ জনবল নেওয়া হবে। কিন্তু পুলিশ বাহিনীতে এই কোটা পূরণে অনীহা ছিল। কারণ, ঘুষ ও অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা ‘বাইরে থেকে আরও বেশি অর্থ আয় করে’। বারী দাবি করেন, জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁদের দপ্তরে বসে থাকতেই বেশি আগ্রহী।

https://i0.wp.com/media.somewhereinblog.net/images/sammobadiblog_1260524740_1-rab.jpg

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)

বারী বলেন, পুলিশ বাহিনী একটি ‘বিশাল পিরামিড স্কিমের’ মতো কাজ করে, যাতে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পৌঁছে দেন। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের ব্যর্থ হওয়ার একটি কারণ দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেন তিনি। বারী অভিযোগ করেন, র‍্যাবে অনেক সময় পুলিশের এমন জনবল দেওয়া হয়, যাঁদের সঠিকভাবে গুলি চালানোর মতো মৌলিক দক্ষতাও নেই। বিশেষ অভিযানের জন্য তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। অনেকে শারীরিকভাবেও উপযুক্ত নন।

https://i0.wp.com/www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/Tirzok201107231311415065_nnb2195147.jpg

বাংলাদেশ পুলিশ

তারবার্তায় আরও বলা হয়, এর আগে ২০০৫ সালের জুন মাসে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বারী বলেছিলেন, ক্রসফায়ার ‘দরকারি এবং স্বল্প মেয়াদে উপযোগী এক কৌশল’। তারবার্তায় বলা হয়, বারী জানান, তিনি ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা হিসেবে জেএমবির নেতা শায়খ আবদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনেকবার উপস্থিত ছিলেন। তিনি জেএমবি প্রসঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেন, এর নেতা শায়খ আবদুর রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছে বিস্ফোরক তৈরি এবং একে ৪৭ রাইফেল চালনার প্রশিক্ষণ নেন। আইএসআই শায়খ রহমানকে কাশ্মীরে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।

https://i0.wp.com/samakal.com.bd/admin/news_images/676/image_676_152160.jpg

বারী জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শায়খ রহমান ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘পটকাবাজির বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই। এসব বোমার ভেতরে কোনো স্প্লিন্টার ছিল না, কীভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন?’ তারবার্তায় বলা হয়, শায়খ রহমানের এই যুক্তিতে সহানুভূতি প্রকাশ করে বারী মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেন, বিস্ফোরণের আঘাতে নয়, ওই দিন আতঙ্কিত হয়ে দুজন নিহত হয়।

বারী আরও বলেন, দেশব্যাপী বোমা হামলার ঘটনায় ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলে জেএমবির নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়। এর জবাব দেওয়ার জন্য প্রচণ্ড চাপ আসে শায়খ রহমানের ওপর। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অক্টোবরে আদালতে হামলা চালায় জেএমবি।

পুলিশের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার বারীর কথিত এই অভিযোগের ব্যাপারে গতকাল পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) হাসান মাহমুদ খন্দকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

সূত্রঃ

https://i0.wp.com/www.prothom-alo.com/secured/theme/public/newdesign/style/images/prothom-alo-logo.jpg

আল্লাহ তায়ালার পাকড়াও থেকে নিশ্চিন্ত হওয়া উচিত নয়

আল্লাহ তায়ালার বাণী,“তারা কি আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত [নির্ভয়] হয়ে গেছে? বস্তুতঃ আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচার ব্যাপারে একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়া অন্য কেউ ভয়হীন হতে পারে না”।(সূরা আল-আরাফঃ৯৯)

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, “একমাত্র পথভ্রষ্ট লোকেরা ছাড়া স্বীয় রবের রহমত থেকে আর কে নিরাশ হতে পারে?” (টীকা-১ দ্রঃ) (সূরা হিজরঃ৫৬)

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণণা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কবীরা গুণাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাবে বলেছেন, ‘কবীরা গুনাহ হচ্ছে – আল্লাহর সাথে শরীক করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া এবং আল্লাহ পাকের পাকড়াও থেকে নির্ভয় হওয়া”। (টীকা-২ দ্রঃ) (মুসনাদে বাজ্জার, হাদীস নং ১০৬; মাযমাউয যাওয়াহিদ,১০৪)

আবদুল্লাহ ইবন মাসিউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় গুনাহ হল- আল্লাহর সাথে শরীক করা, আল্লাহর শাস্তি থেকে নির্ভিক হওয়া এবং আল্লাহর করুণা থেকে বঞ্চিত মনে করা’। (টীকা-৩ দ্রঃ) (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, ১০/৪৫৯; তাবারানীম হাদীস নং ৮৭৮৭)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়,

সূরা আরাফের ৯৯নং আয়াতের তাফসীর
সূরা হিজরের ৫৬ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহর পাকড়াও থেকে নির্ভিক ব্যক্তির জন্য কঠোর শাস্তির ভয় প্রদর্শন
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়াকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে

_______________________________________

ব্যাখ্যা- অত্র অধ্যায়ে দুটি আয়াতের উল্লেখ আছে এবং আয়াত দুটির পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। প্রথমত আয়াতে বলা হয়েছে যে, মুশরিকদের স্বভাব হল যে তারা আল্লাহর শাস্তির পাকড়াও থেকে নিজেদের নিরাপদ মনে করে অর্থাৎ তারা আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে না। আর আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ মনে করা, ভয় না পাওয়া ‘ভয়-ভীতির ইবাদত’ পরিহার করারই ফল। অথচ ভয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘ইবাদত। আয়াতে উল্লিখিত ‘মকর’ কৌশল অবলম্বনের তাৎপর্য হল, আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য যাবতীয় কাজ এমন সহজ করে দেন যে, সে এমন ধারণা করে ফেলে যে সে বর্তমানে সম্পূর্ণ নিরাপদ, তার আর কোন ভয় নেই। প্রকৃতপক্ষে এ হল আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে অবকাশ দেয়া। আল্লাহ মানুষকে সবকিছুই দেন, কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, সে নিরাপদে রয়েছে। এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘যখন তোমরা দেখবে যে আল্লাহ কোন বান্দাকে অনেক নিয়ামত দিয়েছেন অথচ সে সদা পাপ কাজে লিপ্ত, তবে তোমরা জেনে রেখো যে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে অবকাশ দিচ্ছেন”। আল্লাহ তায়ালা এ কৌশল অবলম্বন তাদের সাথেই করে থাকেন যারা তাঁর নবী, অলীদের ও তাঁর দ্বীনের সাথে গোপনে চক্রান্ত ও ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেয়। এ কৌশল অবলম্বন আল্লাহর পরিপূর্ণ গুণাবলী। কেননা এ সময় তিনি স্বীয় ইজ্জত, কুদরত ও প্রভাব প্রকাশ করেন।

১- এখানে আল্লাহ পথভ্রষ্টদের স্বভাব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন যে, তারা আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে নিরাশ ও উদাসীন। মোটকথা মুত্তাক্বীন ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের গুণাবলী হচ্ছে যে, তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না অথচ আল্লাহ তায়ালাকে তারা ভয়ও করে। আল্লাহকে ভয় করা বান্দার অপরিহার্য কর্তব্য। আশা আকাংক্ষা এবং ভয় ভীতি এ উভয় গুণের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর ভয়-ভীতি ও আশা আকাংক্ষা থাকা বান্দার জন্যে ওয়াজিব। তবে অন্তরে ভয়-ভীতি ও আশা আকাংক্ষার মাঝে কোনটি প্রাধান্য পাবে?

শারীরিকভাবে সুস্থ পাপীর জন্য ভয়-ভীতির দিক আশা-আকাঙ্ক্ষার চেয়ে প্রাধান্য পায়, আর মৃত্যুর সম্মুখীন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে আশা-আকাঙ্ক্ষার দিক প্রাধান্য পায়। তবে সঠিক ও কল্যাণের পথে ধাবমান অবস্থায় ভয়-ভীতি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা সমপর্যায়ের হয়ে থাকে। যেমন, আল্লাহর বাণীঃ ‘তারা নেকির কাজে দ্রুতগামী এবং আমাকে তারা আশা আকাঙ্ক্ষা ও ভয়-ভীতির সাথে আহবান(ইবাদত) করে ও আমাকেই তারা ভয় করতে থাকে’। (সূরা আম্বিয়াঃ ৯০)

২- আল্লাহর ভয়-ভীতি ও আশা আকাঙ্ক্ষার ইবাদত পরিত্যাগ করা হল নিরাশ হওয়া আর আল্লাহর ভয়-ভীতির ইবাদত ত্যাগ করা হল তাঁর শাস্তি থেকে নির্ভীক হওয়া। অতএব, উভয়টি বান্দার অন্তরে একত্রিত হওয়া ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত আর উভয়টি বান্দার অন্তর থেকে বিদায় হওয়া বা হ্রাস পাওয়া হল পরিপূর্ণ তাওহীদের হ্রাস পাওয়া।

৩- আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া অধিকাংশ লোকের মধ্যে বিদ্যমান। রহমত আল্লাহর নেয়ামত-অনুগ্রহসূহ অর্জন ও বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর হাদীস বর্নিত শব্দ ‘রাওহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাওয়াই নেয়া হয়ে থাকে।

উৎসঃ কিতাবুত তাওহীদ ও এর ব্যাখ্যা – অধ্যায় ৩৩
মুহাম্মদ বিন সুলায়মান আত-তামীমী(রাহিমাহুল্লাহ)

ব্যাখ্যাকারঃ শায়খ সালেহ বিন আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আলে শায়েখ
ভাষান্তরঃ মুহাম্মদ আবদুর বর আফফান, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

মূল তথ্যসূত্রঃ

http://sorolpath.files.wordpress.com/2011/08/sorol1.jpg

ভূমিকম্পের করণীয় – সবাইকে জানতে সাহায্য করুন

বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঘটনা একের পর এক ঘটে গেলেও তা আমাদের তেমন একটা সচেতন করতে পারেনি। যে দূর্যোগের কোন পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব নয় তার থেকে বাচতে হলে প্রয়োজন এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। চলুন আমরা আমাদের জীবন-মরণ প্রশ্ন নিয়ে হেলাফেলা না করে একে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকি এবং সবাইকেপ্রস্তুত করে তুলি।

প্রতিরোধ (ভূমিকম্পের আগে করণীয়)

 ঘরেরপ্রস্তুতি – আশ্চর্য মনে হলেও সত্যি যে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মূল কারণ বিল্ডিং ধসে পড়া নয়। বরং আসবাব, ভঙ্গুর কাঠামো অথবা তৈজসপত্রের কারণেই বেশিরভাগ ক্ষতি হয়ে থাকে। জোরাল ভূমিকম্পের সময় মেঝের আগে-পিছে ঝাকুনি সেকেন্ডে কয়েক ফুট পর্যন্ত হতে পারে যার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে এবং ঘরেরমাঝে ছুটন্ত বস্তুর আঘাতেই আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা প্রবল থাকে। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে –

  •   শেলফ ও আলমারিতে বড় ও ভারি মালপত্র নিচের দিকে রাখুন।
  • ভঙ্গুর তৈজসপত্র যেমন বোতল, গ্লাস, কাপ, প্লেট ইত্যাদি বন্ধ ক্যাবিনেটে রাখুন।
  •  দেয়ালে ঝোলানো ভারি শো-পিস যেমন ছবির ফ্রেম, আয়না ইত্যাদি বিছানা, সোফা অথবা অন্য কোন বসার স্থান থেকে দূরে রাখুন।
  •  ত্রুটিযুক্ত বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এবং গ্যাসের লাইন মেরামত করে নিন। এসব স্থান থেকে সহজে আগুন ধরতে পারে।
  •  দেয়ালে বা সিলিং এ ফাটল থাকলে মেরামত করে নিন; এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নেয়ার দরকার হতে পারে।
  •  যেসব বিল্ডিং এখনো তৈরি হয়নি সেগুলো যথাযথ বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি করুন।

ঘরে-বাইরে ভূমিকম্প হতে নিরাপদ স্থানসমূহ চিহ্নিত করুন

  •  ভারি টেবিল বা মজবুত চৌকি বা খাটের নিচে।
  •  ভিতরের দিকের দেয়ালের পাশে (সীমানার দিকের দেয়াল ও জানালার কাছে থাকা বিপজ্জনক)।
  •  জানালা, ছবির ফ্রেম বা আয়না জাতীয় ভঙ্গুর কাঠামো এবং ঝাকুনিতে পড়ে যেতে পারে এমন ভারি আসবাব থেকে দূরে।
  •  ঘরের বাইরে খোলা এলাকা – যা কোন বিল্ডিং এবং বৈদ্যুতিক লাইন থেকে দূরে।

নিজে ও পরিবারের সবাই সচেতন হোন

  •  ভূমিকম্পের আগে, ভূমিকম্পের সময় ও এর পরে কি করণীয় সে বিষয়ে সচেতনতা।
  • ভূমিকম্প হতে নিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত করার যোগ্যতা যাচাই।
  • ভূমিকম্পের সময় কি করতে হবে তার মহড়া।

শুধু নিজে নয়, অপরকেও এসব জানতে সাহায্য করুন

  •   পোস্টার, বিলবোর্ডের মাধ্যমে।
  •  ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এই প্রবন্ধটি শেয়ার করার মাধ্যমে।
  •  স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ঘরে ঘরে অথবা স্কুল-কলেজে প্রচারের মাধ্যমে।

মোকাবেলা (ভূমিকম্পের সময় করণীয়)

ভূমিকম্পের সময় চলাফেরা কঠিন ও বিপজ্জনক। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া প্রয়োজন। দৌড়ে বের হওয়া তখনই উচিত হবে যখন আপনি বাড়ির গেট এর কাছে থাকবেন এবং বাইরে বিল্ডিং ও বৈদ্যুতিক লাইন থেকে দূরে যাওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব। কাজেই, বাইরে বের হওয়া সম্ভব না হলে ঘরের নিরাপদ আশ্রয় ব্যবহার করা প্রয়োজন।

হামাগুড়ি - আশ্রয় ও ধরে রাখার পদ্ধতি

ভেতরের দিকের দেয়ালের কাছে আশ্রয় নেয়া

বাড়ির ভিতরে থাকলে

  •  মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে বসে পড়ুন, ভারি টেবিল বা খাটের নিচে আশ্রয় নিন এবং খাট বা টেবিলের পায়া ধরে রাখুন যাতে করে ঝাকুনিতে তা সরতে না পারে।
  •  নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না পারলে হাত দিয়ে মাথা ঢেকে ভেতরের দিকের কোন দেয়াল বা কোনায় বা কলামের গোড়ায় হামাগুড়ি দিয়ে বসে পড়ুন।
  •  পতনশীল ভারি আসবাব, ছবির ফ্রেম, আয়না, জানালা থেকে দূরে থাকুন।
  •  বিছানায় শোওয়া অবস্থায় থাকলে বিছানা থেকে বেশি দূরে যাবার চেষ্টা করবেননা। খাটের নিচে বা নিকটতম নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
  •  লিফট বা এলিভেটর ব্যবহার করবেননা।
  •  মনে রাখবেন, বিদ্যুত সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে যা কিনা আপনার চলাফেরাকেও ব্যাহত করতে পারে।

বাড়ির বাইরে বা গাড়িতে থাকলে

  •  বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক লাইন, ল্যাম্পপোস্ট থেকে দূরে থাকুন।
  • বড় ভূমিকম্পের পরেও কয়েক দফা মৃদু কম্পন হতে পারে। কাজেই ঝাকুনি শেষ হওয়ার পরেও কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করুন।

ভেঙ্গে পড়া বাড়িতে আটকা পড়লে

  •  আগুন জ্বালাবেননা। গ্যাস লাইন লিক করে থাকলে তা আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত করতে পারে।
  •  ধীরে নড়াচড়া করুন।
  •  কাপড় বা রুমাল দিয়ে নাকমুখ ডেকে নিন ও উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকুন।

প্রতিকার (ভূমিকম্পের পরে করণীয়)

  •   বড় ভূমিকম্পের পরবর্তী মৃদু কম্পনের জন্য প্রস্তুত থাকুন। এ ধরণের কম্পন মূল কম্পনের এক ঘন্টা থেকে এক মাসের মধ্যে যেকোন সময় হতে পারে।
  •  শেলফ, আলমারি খোলার সময় সাবধান থাকুন। মালপত্র সহজেই পড়ে যেতে পারে।
  •  ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থান থেকে দূরে থাকুন যদি না আপনার সাহায্য একান্ত প্রয়োজনীয় হয়।
  •  সমুদ্র এলাকার লোকজন সুনামি বা উচু জোয়ারের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
  •  আটকা পড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত মানুষকে সাহায্য করুন।
  •  গ্যাসের গন্ধ বা নির্গমণের শব্দ পেলে জানালা খুলে দিন ও দ্রুত বের হয়ে যান। যথাশীঘ্র তা মেরামত করার ব্যবস্থা নিন।
  •  বিদ্যুতের স্পার্ক দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন, যাওয়ার পথে পানি থাকলে নিজে মেরামত না করে ইলেক্ট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিন।

শেষ করার আগে বলতে চাই, এই তথ্য সবাইকে জানিয়ে দিন। যেকোন স্থানে শেয়ার করুন। আপনার সামান্য তথ্য শেয়ার হতে পারে অনেক মানুষের জীবন রক্ষার কারণ! ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

এই তথ্য মূলতhttps://i0.wp.com/i276.photobucket.com/albums/kk21/danEMTdan/fema_logo.png থেকে অনূদিত

 

এছাড়াও আরো দু’টি সাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে –

https://i0.wp.com/www.earthquakecountry.info/images/earthquakecountrydotinfo.gif

এবং

https://i0.wp.com/cdn.somewhereinblog.net//gui/banner/lulu_01.jpg

 

মূল তথ্যসূত্রঃ

https://i0.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2010/09/quraneralo-banner.jpg

সত্যিই কী ঘটেছিল ২০০১ সালের এ দিনে?

http://muinebheagvsenglish.files.wordpress.com/2010/03/9-11wtc1.jpg

এর আগে এমন দৃশ্য দেখেনি বিশ্ব। দেখেনি খোদ মার্কিন জনগণও। আজ থেকে১০ বছর আগে, ঠিক এই দিনে, বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছিল বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের ভীত। বিমানের তীব্র ঠুকুনিতে তাসের ঘরের মতো লুটিয়ে পড়েছিল মাথা উঁচু করে থাকা টুইন টাওয়ার। আক্রান্ত হয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনও। আর এ ঘটনাতেই বদলে যায় বিশ্ব রাজনীতি। বিশ্বব্যাপী শুরু হয় সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ। সে যুদ্ধ আজও চলছে।
আজ ৯/১১, বিশ্ব রাজনীতিকে বদলে দেওয়া সেই ৯/১১। কী ঘটেছিল ২০০১ সালের এ দিন? সত্যিই কি আল-কায়েদা সে দিন মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল! নাকি সবই ছিল পাতানো, বিশ্বকে করায়ত্ত করার মার্কিন কূটকৌশলের অংশ! এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাই এ হামলা চালিয়েছে। আল-কায়েদাও অবশ্য এ হামলারদায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে সন্দেহবাদীরা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা আল-কায়েদা কারওবক্তব্যেই আস্থা রাখতে নারাজ। তাদের যুক্তি, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষাব্যূহ, সুতীক্ষ গোয়েন্দা নজরদারিকে ব্যর্থ করে দিয়ে আল-কায়েদার পক্ষে মার্কিন মুলুকে এত বড় হামলা চালানো অসম্ভব। সন্দেহবাদীরা ৯/১১-কে দেখেন বাঁকা চোখে। খুঁজে পান কুটিল ষড়যন্ত্রের গন্ধ। ৯/১১-এর ঘটনা নিয়ে এখনোঅনেকের মনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ঘটনার ১০ বছর পরও সে প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত। এসব প্রশ্নের মধ্যে পাঁচটি সবচেয়ে আলোচিত।
২০০১ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিমানছিনতাই হয়েছিল। সন্দেহবাদীরা প্রশ্ন তোলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আছে বিশ্বেরসবচেয়ে শক্তিশালী বিমানবাহিনী। কিন্তু তারা কেন এই ছিনতাই হওয়া বিমান থামাতে ব্যর্থ হলেন?’

এ প্রশ্নের উত্তরও আছে তাদের কাছে। সন্দেহবাদীরা বলেন, তত্কালীনভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি সামরিক বাহিনীকে নিশ্চুপ এবং বিমান না থামাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন আছে, ‘মাত্র কয়েকটি ফ্লোরে আগুন ধরার পর এত দ্রুত কেন টুইনটাওয়ার ধসে পড়ল?’

এ প্রশ্নের উত্তরে সন্দেহবাদীরা বলেন, আসলে নিয়ন্ত্রিত উপায়েই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ, ভবনে অপেক্ষাকৃত কম সময়ব্যাপী আগুন জ্বলেছিল (বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র ১-এ ১০২ মিনিট এবং বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র ২-এ ৫৬ মিনিট), অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং ধ্বংসের কিছু সময় আগে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।
সন্দেহবাদীরা প্রশ্ন তোলেন,‘একজন প্রশিক্ষণার্থী চালক কীভাবেএকটি বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনা করে পেন্টাগনে হামলা চালালেন?

সন্দেহবাদীরা বলেন, ছোট বিমান ব্যবহার করে পেন্টাগনে হামলা চালানো হয়েছে এবং ওই বিমান আল-কায়েদা নয়, পেন্টাগন নিজেই তা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রশ্ন রয়েছে, ‘পেনসিলভানিয়ার সাংকসভিলে ইউএ ৯৩ বিমান বিধ্বস্তের স্থান কেন এত ছোট এবং সেখানেবিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ কেন দেখা যায়নি?’

সন্দেহবাদী তাত্ত্বিকেরা বলেন, ইউএ ৯৩ বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছিল। এতে মধ্য আকাশেই বিমানটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। ফলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ বৃহত্ এলাকায় ছড়িয়ে যায়।
ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকেরা প্রশ্ন তোলেন, ‘স্টিলের তৈরি অন্য কোনো আকাশচুম্বী ভবন আগুনের কারণে ধ্বংস হয়না। কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র-৭ বিমান হামলায় আক্রান্ত না হয়েও কেন এত দ্রুত ভেঙে পড়ল?’

এ ঘরানার মানুষেরা বলেন,বিস্ফোরক ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র-৭ ধ্বংস করা হয়েছে।

ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের এসব সন্দেহমূলক প্রশ্নের জবাব আছে পেন্টাগনের কাছে। কিন্তু এবিশ্বে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা পেন্টাগনের কথায় খুব কমই আস্থা রাখেন। অবশ্য পেন্টাগনও যে মিথ্যা কথা বলে, তার নজির প্রায়ই মেলে।—বিবিসি অবলম্বনে।

সূত্রঃ  *প্রতিদিনের তাজা খবর [fαcєвook vєяsίoN]*

 

বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া “একই দেশ” নয়

https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash4/304424_137245923038385_115857601843884_182727_1252656641_n.jpg

সৈয়দ আশরাফ বলেছেন,

“ঐতিহাসিকভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে আমরা (ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ) একই দেশের মানুষ, একই দেশের নাগরিক। আমাদের একই সংস্কৃতি, একই ভাষা, একই ধর্ম ও একই ঐতিহ্য।”

কখনই বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া “একই দেশ” নয়, “একই ভাষা” নয়, “একই ধর্ম” নয় ।

বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে বৃহত্তর ইন্ডিয়ার শোষণ থেকে ১৯১১ সালে আমরা মুক্ত হয়েছি। আর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্ত হয়েছি ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া “একই দেশ” এই কথা বলে কি ৩০ লাখ শহীদের রক্তকে অপমান করা হলো না ?

যে ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে সালাম, রফিক, বরকত উষ্ণ রক্ত ঢেলে দিল “একই ভাষা” বলে কি সে ভাষাকে কি অপমান করা হলো না ? ইন্ডিয়ার ৮০.৫% হিন্দু , আর বাংলাদেশের ৯০.৪% মানুষ মুসলমান। আমাদের ধর্ম কি এক হলো ?

আজ যদি কেউ বলে, “ঐতিহাসিকভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে পাকিস্তান ও আমরা একই দেশের মানুষ একই দেশের নাগরিক।” তাকে দেশদ্রোহী ও রাজাকার বলবেন নিশ্চই।

তাহলে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া কে “একই দেশ” বললে তাকে কি বলবেন ?

সূত্রঃ

তুমি অধম , তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন ?

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমীয় বাণী! যা শুনে ইতিহাস নিরবে কাঁদে

By:নাসীরুল ইসলাম 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধাদানকারী
 
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপাদমস্তক একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পূর্ব বাংলার মুসলিম জনগোষ্টির প্রতি যেমনি ছিলেন হিংসূটে তেমনি ছিলেন মারমুখো! বঙ্গবঙ্গের বিরোধীতা করতে গিয়ে, বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধীরা ১৯০৫ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত শুধু পশ্চিমবঙ্গে ৫ হাজারের মত সফল জনসভা করে। এসব জনসভায় হিন্দু নেতারা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে, জনগনকে স্থানীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ও বিক্ষুব্ধ করে তুলেন। প্রত্যেকটি বড় বড় জনসভায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন; বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছেন। হিন্দু মৌলবাদীদের ক্ষোভকে আরো চাঙ্গা করতে, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আগুনের মাঝে পেট্রোল ঢালার কাজটি করেন। তিনি সমবেত জনতার জন্য কবিতা লিখেন, “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই”। তিনি এই কবিতা দাঙ্গা উম্মাদ মারমুখো মানুষগুলোর জন্য উৎসর্গ করেন। তারপর থেকে প্রতিটি সমাবেশ শুরুর প্রাক্ষালে এই কবিতা শুনিয়ে যুবকদের রক্তকে গরম করে দিতেন। যাতে তাদের মাথায় খুন ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় কলিকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ প্রান হারায়। যাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ তথা প্রায় ৪৭ হাজার নিহত মানুষ ছিল মুসলমান। বড় পরিতাপের বিষয় ইতিহাস জ্ঞানে অজ্ঞ বাংলার মানুষ সেই কবিতাকে বাংলাদেশের শহীদ মিনারে, সামরিক বাহিনীর স্মৃতি ফলকে, অঙ্কন ও খোদাই করে কিংবা কাষ্ট ফলকে চির ভাস্কর করে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চরম বাধা দানকারীদের একজন ছিলেন। ঢাকাতে যাতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা হতে না পারে সেজন্য তিনি আমরন অনশন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন ভিসি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদদে এই বিরোধীতায় তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। পশ্চিম বঙ্গের কোন হিন্দু শিক্ষিত নেতা বাকি ছিলেন না, যারা ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করেননি। এই সমস্থ বুদ্ধিজীবি কল্পনাতেও সহ্য করতে পারতেন না, যে পূর্ব বঙ্গের মানুষ, যারা সংখ্যা গরিষ্টতায় মুসলিম, তারাও শিক্ষিত হবে! পূর্ব বঙ্গের মুসলিম যাতে কোন ভাবেই শিক্ষিত হতে না পারে, তা বন্ধে যত উপায়-অবলম্বন ছিল তার সবটাই তারা প্রয়োগ করেছিল। সেটা যত দৃষ্টিকটুই হোক, বাধা দিতে সামান্যতম কার্পন্য তারা করেনি। উদাহরন হিসেবে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ১৯২৪ সালে পাটনা হাইকোর্টের কাছে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন; কেননা তিনি ব্যারীষ্টার সাইয়্যেদ হাসান ইমাম নামের এক অচ্ছুত মুসলীমের কাছে কংগ্রেস পার্টি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। মুসলিম শিক্ষিত হবে দূরের কথা তাদের অস্থিত্ব স্বীকার করাও তাদের কাছে কঠিন ছিল।

অসম্ভব মুসলিম ও পূর্ব বঙ্গ বিদ্ধেষী এসব বুদ্ধিজীবির আচরণের কারনে, দেশটি ধর্মীয় ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। মুসলমানেরা ধর্মীয় ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যেতে কখনও আন্দোলন করেনি। হিন্দু বুদ্ধিজীবি এসব কট্টর, গোঁড়া আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত. ইসলাম বিদ্ধেষী ব্যক্তিবর্গ দ্বিজাতি তত্বের মাধ্যমে দেশ ভাগ হতে, সমুদয় মাল মসল্লা ও উপকরণ যুগিয়েছিল। আমাদের আফসোস! বর্তমানে আমাদের মধ্য থেকেই, মীর জাফর, ঘষেটি বেগমদের জম্ম হচ্ছে, তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য। ধিক্ তাদের অজ্ঞতার প্রতি।

 জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা!
রবী ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা……. গানটি শুনে এবং গেয়ে, সবাই ধারনা করেন তিনি বুঝি বর্তমান বাংলার মানুষের প্রতি খুবই অনুরক্ত ছিলেন। ব্যাপারটি মোটেও তা নয়, কিঞ্চিত পরিমানও সত্যও নয়। পাকিস্থানের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে, বাংলাদেশের স্বপ্ন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত্রেও দেখা হয়নি। তাহলে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৮ সালে বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন কিনা প্রশ্নটিই অবান্তর। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, তিনি কোন বাংলার জন্য কেঁদেছিলেন? যেখানে কবি পাকিস্থান জন্মেরও ৭ বছর আগে ১৯৪১ সালের ৭ই আগষ্ট মৃত্যু বরণ করেন। যখন বাংলাদেশ নামক কোন বস্তুর স্বপ্ন দেখা অলীক কল্পনা ছিল।মূলতঃ ১৯০৫ সালে তদানীন্তন বৃটিশের ভাইসরয় মাউন্টব্যাটেন ঘোষনা করেন, রাষ্ট্রিয় কাজের সুবিধার্থে তথা পূর্ব বঙ্গের মানুষের সুবিধার্থে বঙ্গকে ভেঙ্গে দুভাগ করা হবে। পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিম বঙ্গ। ঢাকা হবে পূর্ববঙ্গের প্রধান কেন্দ্র। এটি কোন স্বাধীনতা কিংবা স্বায়ত্বশাসন ছিলনা, সেরেফ রাষ্ট্রিয় কাজের সুবিধার্থে এই পৃথকিকরণ। তদানীন্তন বাংলার মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসায় পিছিয়ে ছিল। তারা সবাই ছিল চাষা; তাদের উৎপাদিত পাট, চা, বেত কাঁচামাল হিসেবে তৈরী হত এবং তা কলিকাতার মিলে প্রক্রিয়াজাত হয়ে বিদেশে রপ্তানী হত। এসব শিল্প কারখানায় কলিকাতার অভিজাত হিন্দুরা চাকুরী করত। তাদের সন্তানেরা সেখানে লেখাপড়া করে মানুষ হত। অপরদিকে বাংলার চাষারা ছোটখাট মারামারি করলেও কলিকাতা হাইকোট পর্যন্ত ছুটতে হত, এতে তারা গরীবই থেকে যেত। সাধারন একটা পুস্তিকা কিংবা বিয়ের কার্ড ছাপাতে সদূর সিলেট-চট্টগ্রামের মানুষকে কলিকাতা পর্যন্ত ছুটতে হত। এতে কলিকাতায় একটি হিন্দু আইনজীবি শ্রেনীও গড়ে উঠে। যার খদ্দের ছিল বাংলার অভাবী লোকজন। তাই দেশ ভাগ হলে তাদের ভাতের অভাবে মরার ভয় ছিল।

রবী ঠাকুরের দুঃচিন্তা ছিল সবচেয়ে বেশী । কারন তারা ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের মানুষ; আর দেশ ভাগ হলে, তাদের জমিদারী পড়ে যাবে পূর্ব বঙ্গে তথা বর্তমান বাংলাদেশে। এতে করে পশ্চিম বঙ্গ থেকে, পূর্ব বঙ্গে গিয়ে প্রশাসনিক খবরদারী করার অতীত খায়েশ বন্ধ হয়ে যেত। তখন তাকে জমিদারী চালাতে পূর্ব বঙ্গের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হত। ফলে তার জন্য দুটি পথ খোলা থাকে। হয়ত জমিদারী বিক্রি করতে হবে, নয়ত পূর্ব বঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে। এই দুইটির একটি করাও তার জন্য অসম্ভব ছিল। ফলে তার চরম স্বার্থহানীই তার জন্য দুঃখের কারন হয় এবং হৃদয়ে বাংলার মায়া উৎড়ে উঠে। শুরু হয় চড়া গলায় পেরেশানী। এই হতাশায় তিনি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জম্ম হবার ৬৩ বছর আগে, তথা ১৯০৮ সালে রচনা করেন, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি….। যে গানের সূত্রপাত হয়েছিল পূর্ব বঙ্গের মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য। যে গানটি রচনা করা হয়েছিল কবি পরিবারের জমিদারী টিকিয়ে রাখার জন্য। যে গানটি রচনা করা হয়েছিল, রক্তচোষা জমিদারের স্বার্থ সংরক্ষনে। সেই গানটিই হয়ে গেল আমাদের জাতীয় সঙ্গীত! অর্থাৎ জোতার মালা গলায় নিয়ে, জাতির গুনকীর্তন! এটি ইতিহাসের সেরা তামাশার একটি?

আফসোস আমাদের সরকার গুলো এর কোনটাই মূল্যায়ন করেনি। ২০০৮ সালের আওয়ামীলীগ সরকার জানে গানটি খুবই ঠুনকো ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ভবিষ্যতে এটার অস্থিত্ব বিপন্ন হবে। তাই নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে সংসদে বিল আকারে সেটাকে রক্ষা করেছেন। বিলে এতই কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে, যাতে এটা নিয়ে নূন্যতম কোন কথাই তুলতে না পারে। প্রশ্ন রইল এরা কাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে?

 
*********************************************************************************************************

পার্বত্য চট্রগ্রামকে পুর্ব-তিমুর/দক্ষিণ সুদানের মতো বিচ্ছিন্ন করে আরেকটি ইসরাইল বানানো হবে ?

দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কি পুর্ব-তিমুর, দক্ষিন সুদানের মতো বিচ্ছিন্ন করা হবে নাকি আরেকটি ইসরাইল বানানো হবে

ছবিঃ দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কি পুর্ব-তিমুর, দক্ষিন সুদানের মতো বিচ্ছিন্ন করা হবে নাকি আরেকটি ইসরাইল বানানো হবে

আমাদের ক্লাসের সুদানী মেধাবী মেয়ে রাগাত। বাবা-মায়ের সাথে সৌদিতে পড়ালেখা করলেও এখন মাষ্টার্স ছাত্র হিসেবে পড়াশুনা করে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ইউনিভার্সিটিতে। গত মধ্য ফ্রেব্রয়ারীতে তিউনেশিয়া, মিশর বিপ্লবের তাজা ও উদ্দিপনামুলক খবরের মাঝেও তার মন বেশ খারাপ। কারন জিজ্ঞেস করলেই বললো, বিশাল সুদানকে ভেজ্ঞে টুকরো টুকরো করা হচ্ছে। শুধু মাত্র খৃষ্টান অধ্যুষিত হওয়ার কারনেই দক্ষিণ সুদানকে পশ্চিমা শক্তি আলাদা করে এককালের আফ্রিকার বৃহত দেশ (আয়তনে) সুদান ভেজ্ঞে দুর্বল করে ফেললো। রাগাত আরো জানালো, দক্ষিণ সুদানে অনেক খনিজ সম্পদ আছে যা নিয়ন্ত্রন করার জন্য দেশটিকে বহুবছর থেকে পশ্চি্মা খৃষ্টানরা নানা প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধর্মান্তরিকরনের কাজটি করেছে। দক্ষিণ সুদানকে বিশ্বমোড়ল একদিন স্বাধীন করেই দিবে এটা এতোদিন আমরা বিশ্বাস করতে ও বুঝতে না পারলেও এখন বুঝি।যখন বুঝি, তখন কিছুই করার নেই। এরা আসলেই আমাদের টুকুরো টুকরো করার জন্য এতোদিন ধরে কাজ করেছিল।


সদ্য বিচ্ছিন্ন করে ফেলা খৃষ্টান অধ্যষিত দক্ষিণ সুদান

ছবিঃ সদ্য বিচ্ছিন্ন করে ফেলা খৃষ্টান অধ্যষিত দক্ষিণ সুদান

বাসার ফিরতে ফিরতে রাগাতের কথাই ভাবছিলাম। মনে হলো, তার কাছে থেকে দক্ষিণ সুদান সম্পর্কে আরো কিছু জেনে নেই। সাথে মনে পড়ে গেল দুবছর আগে, আমাদের পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে আরেকটি পুর্ব-তিমুর বানানো আশংকার কথা, যা নিয়ে সেই সময় সোনার বাংলাদেশ ম্যাগাজিনে একটি লেখাও লিখেছিলাম। পার্বত্য চট্টগ্রাম কি পূর্ব তিমুরের মতো স্বাধীন হতে যাচ্ছে? দেখুন এখানে, Click this link… । দৈনিক নয়া দিগন্ত সেটা ছেপেও ছিল, দেখুন এখানে, Click this link… । সেটিওকেই রিভাইজ করে মুলত আজকের লেখা।

দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম। শুরু থেকেই সেখানে বাংলা ভাষাভাষী ও পাহাড়ি লোকেরা পাশাপাশি বসবাস করছে। পাশাপাশি বসবাসের পরও সেখানে বাঙালি-পাহাড়িরা তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য সব সময় বজায় রেখেছে। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পাহাড়িদের সে অধিকারে কখনোই কেউ হস্তক্ষেপ করেনি। পাহাড়ি জনপদে মাঝে মাঝেই কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি দেশের ভূখণ্ডগত নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনীও। পার্বত্য এলাকা হওয়ায় এবং দুটি দেশের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় জায়গাটির কৌশলগত গুরুত্বও অনেক।

এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরেই বিগত আমলের কথিত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীর তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়নসহ একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেড এবং ৩৭টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলা হচ্ছে, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আরো ৩৫টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প এবং তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়নসহ একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেড প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে এটিই হবে সর্ববৃহৎ এবং উল্লেখযোগ্য সেনা প্রত্যাহার।

ছবিঃ ধারনা করা হচ্ছে কৌশলগত কারনের পাশাপাশি, পার্বত্য চট্রগ্রামের এই নয়নাভিরাম দৃশ্যের নিচে আছে অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ

কিন্তু কোনো কথাবার্তা আলাপ-আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ কেন এত তাড়াহুড়ো করে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলো। এর পেছনে কোনো পর্যায় থেকে কি কোনো চাপ বা বাধ্যবাধকতা আছে? অনেকে বলছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এবং তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিকট ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থানান্তরিত হবে। আমরা খারাপ দিন অতিক্রম করছি এবং ভবিষ্যতে আরো খারাপ দিন আসছে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভেতরেই পাহাড়িদের আরেকটি রাষ্ট্র বানিয়ে দেয়া হলো। মাত্র ২০ বছরের মাথায় পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা করে দিয়ে জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে একটি আলাদা রাষ্ট্র করে দেয়া হয়। কারণ, পূর্ব তিমুরের অধিকাংশ মানুষ খ্রিষ্টান। এভাবেই হয়ত আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পূর্ব তিমুরের মডেলে স্বাধীন করে দেওয়া হবে।
এগুলো এতো দিন ছিল জল্পনা-কল্পনা। এনিয়ে খোদ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আশংকা প্রকাশ করেছে আনুষ্টানিকভাবে, দেখুন দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত আজকের (১০ এপ্রিল ২০১১)

সেনা সদরের সতর্কবাণী : পার্বত্য চট্টগ্রাম যেন পূর্ব তিমুর না হয়
Click this link…

১.

পার্বত্য চট্টগ্রাম অদুর ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে তার একটা ধারনা পেতে নিচের কিছু টুকরো খবরের দিকে নজর দিতে হবে।

ক. বাংলাদেশের ভিতর থেকে ইসরাইলের মতো আলাদা রাষ্ট্র হবে?

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের আলাদা রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা চেয়ে সিআইএর কাছে চিঠি দিয়েছেন মাইনরিটি কংগ্রেস পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পাদক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন শচীন কর্মকার। ভারতের পূর্ব সীমানা সংলগ্ন বাংলাদেশ ভুখন্ডে ইরাকের কুর্দিস্তানের অনুরূপ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের জন্য একটি পৃথক স্বায়ত্তশাসিত সংখ্যালঘু এলাকা প্রতিষ্ঠায় মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সহায়তা চেয়েছে দলটি। সাবেক ক্যাপ্টেন শচীন কর্মকার গত ২৭ জুলাই ২০০৭ এক ই-মেইল মেসেজের মাধ্যমে সিআইএ পরিচালকের কাছে এই সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদের বিরুদ্ধে সেফটিক ভালভ। তাই �আজ আমাদের সাহায্য করো, আগামীকাল আমরা তোমাদের সহায়তা করবো। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে নাৎসি জার্মানির পরাজয় ও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টি। গত প্রায় ৬০ বছর যাবৎ এই ইসরাইল মৌলবাদী আরব রাষ্ট্রগুলো ও গণতান্ত্রিক পাশ্চাত্যের মধ্যে সাফল্যজনকভাবে একটি বাফার রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করে আসছে। যদি ইসরাইল না থাকত, তাহলে এর মধ্যেই আরবরা পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে আরেকটি ক্রুসেড বা মহাযুদ্ধ চাপিয়ে দিত।

ই-মেইল বার্তায় আরও বলা হয়, সিআইএর সামনে বাংলাদেশে দুটি পথ রয়েছে। এ দুটি পথ হচ্ছে- হয় বাংলাদেশকে বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের জন্য চাপ দাও, অথবা কুর্দিস্তানের মতো পূর্ব ভারত সীমান্ত ঘেঁষে সংখ্যালঘুদের জন্য একটি আলাদা স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গঠন কর। যদি এই দল ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে রাজনৈতিক ও আর্থিক সাহায্য পায়, তাহলে তারা সহজেই এটা পালন করেতে পারবে। (আমার দেশ, ১২ নভেম্বর ২০০৭)

খ. পার্বত্য চট্টগ্রামে পাচ ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের গোপন বৈঠক

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা ২০০৭ সালে রহস্যজনকভাবে পার্বত্য সফর করেন। ২০ থেকে ২২ মার্চ ২০০৭ পর্যন্ত ৩ দিন ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতরা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যান। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা হয়নি। সফরকালে রাষ্ট্রদূতরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি (জেএসএস) ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে দুদফা গোপন বৈঠক করেন। বৈঠককালে জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা রুপায়ন দেওয়ানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক হারুনুর রশিদ খান ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতের পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতরা আমাদের কাছে শুধু নিরাপত্তা চান। তারা আমাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে রয়েছেন ডেনমার্কের জেনসন, নেদারল্যান্ডের মেজিংন্ডার, সুইডেনের ব্রিট হারসন, ফ্রান্সের জেকস এন্ডার, জার্মানির ফ্রাঙ্ক মিয়াকি। এদের নেতৃত্বে ছিলেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ইসি ডেলিগেশন ড:স্টিফেন প্রোইন। জানা গেছে, ২০ মার্চ বিকাল ৩টায় ও ২১ মার্চ বিকাল ৫টায় জেএসএস নেতাদের সঙ্গে তারা দুদুফা মিটিং করেন। ২২ মার্চ এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা মতবিনিময় করেন। ৩টি বাঙালি এনজিওকে আমন্ত্রণ জানালেও রহস্যজনক কারণে মতবিনিময় থেকে তারা বিরত থাকে। বাঙালি ৩টি এনজিও হচ্ছে পাহারা, গেস্নাবাল ভিলেজ ও সাইনিং হিল। (আমার দেশ, ৩১ মার্চ ও ৪ এপ্রিল ২০০৭)

গ. পাহাড়ি জনপদে খ্রিষ্ট্রধর্মে ধর্মান্তরিত করার হিড়িক

নতুন সমস্যা ধর্ম পরিবর্তন, পাহাড়ি জনপদে- ২ তৌফিকুল ইসলাম বাবর প্রেরিত দৈনিক সমকালের এক রিপোর্টে বলা হয়, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে শত শত উপজাতীয় লোক ধর্মান্তরিত হচ্ছে। পাংখোয়া, লুসাই ও বোমাংসহ আরো অনেক উপজাতীয় মানুষের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে। কিছুসংখ্যক চাকমাও আদি ধর্ম ছেড়ে গ্রহণ করেছে খ্রিষ্ট্রধর্ম। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্তিতিতে অস্থির রয়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম। তার ওপর গহিন অরণ্যে পাহাড়িদের মধ্যে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন উপজাতি নেতারা। কারণ এতে পাহাড়িদের মধ্যেই সম্প্রীতিতে ফাটল ধরছে। উপজাতি নেতাদের অভিযোগ, গহিন অরণ্যের দরিদ্র লোকদের ধর্মান্তরিত হতে প্রলোভন দেখিয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ কাজে জড়িত কিছু এনজিও, মিশনারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।

খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের ধর্মান্তরের ঘটনা বেশি। রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানেও আছে। বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রুইথি কারবারি সমকালকে বলেন, সেবার নামে এসে পাহাড়িদের ধর্মান্তরিত করতে প্রকাশ্যে কাজ করছে কিছু এনজিও, মিশনারি সংস্থা। ধর্মান্তরিত করার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে দরিদ্র মানুষদের দুবর্লতাকে। ইতিমধ্যে তাদের প্রলোভনের টোপ গিলেছে বহুসংখ্যক পাংখোয়া, লুসাই, বোমাং এবং কিছুসংখ্যক চাকমা ধর্মাবলম্বী অন্যান্য উপজাতিকে টাগের্ট করেও সংস্থা গুলো কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ পর্যন্ত কত লোক আদি ধর্ম ছেড়ে খিষ্ট্রান হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ হিসাব বলা মুশকিল। তবে ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা ঘন ঘন ঘটছে কোনো না কোনো পাহাড়ি জনপদে। সংখ্যাটা বড়ই হবে।�

তিন পার্বত্য জেলায় রয়েছে ১৪টি জাতিসত্তা। এর মধ্যে চাকমা, মারমা, রাখাইন, তংচইঙ্গা, পাংখোয়া, লুসাই ও বোমাং উল্লেখযোগ্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাংখোয়া, লুসাই ও বোমাং উপজাতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোক ধর্মান্তরিত হয়েছে। খাগড়াছড়ির পানছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, বাঘাইছড়ি ও সাজেক এলাকায় গভীর পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষজনই আকৃষ্ট হচ্ছে ভিন্নধর্মে। এনজিও এবং মিশনারিদের সহায়তায় ধর্ম পরিবর্তনকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ছে। অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে অবহেলিত এসব পাহাড়িবাসী। মিশনারিগুলো সেই দুবর্লতাকে কাজে লাগাচ্ছে। বলা হচ্ছে, খিস্ট্রান হলেই কেউ তাদের জায়গাজমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না। খিস্ট্র ধর্ম গ্রহণকারীরা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করছে বলে জানান। (সমকাল, ১০ মার্চ ২০০৮)

ছবিঃ পুর্ব-তিমুরের মত আদিবাসী ধুয়া তুলে পার্বত্য-চট্রগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করা হবে?

ঘ. Free Jummaland (CHT, Chittagong Hill Tracts) in line with East Timor

পার্বত্য চট্টগ্রামকে যে আরেকটি পূব তিমুর বানানোর চেষ্টা হচ্ছে, এটা প্রথম দেখা যায় Peace Campaign Group নামের পার্বত্য বিছিন্নতাবাদীদের একটি গ্রুপের ইমেইলে ও ওয়েব সাইটে। তাদের মতে পার্বত্য অঞ্চলের গেরিলারা আবার সংগঠিত হচ্ছে একটি নতুন মন্ত্রে, আর সেটি হচ্ছে, পূব তিমুরের আদলে এলাকাটি স্বাধীন করা। ইমেইলটির কিছু অংশ দেখুন, বিশেষ করে শেষ লাইন….
(Peace Campaign Group, Fri Apr 25, 2008, Free Jummaland (CHT) in line with East Timor, Bappi Chakma, Over two and one half decades, the indigenous people of the Chittagong Hill Tracts, mostly Buddhists, Hindus and Christians by faith, fought with Bangladesh for autonomy and for protection of their distinct identity and culture threatened with extinction for the latter�s policy of so-called national integration, locally called �Islamization policy�.
The terrors unleashed by Bangladeshi military forced the indigenous people to accommodate with the state-policy of �islamization� without any protest. It is breeding new problems in the CHT which may drag Bangladesh into a vicious and long-standing cycle of violence and instability. One of such problems is, as developments suggest, regrouping of former guerrillas coupled with new and hot bloods completely dedicated to a new idea – Free CHT or Jummaland in line with East Timor)

ই-মেইলটির পুরোটি দেখুন, Click this link…

 

পার্বত্য-চট্রগ্রাম পুর্ব-তিমুর হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন খোদ সরকারের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন,

পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলেছে। আমরা এখানে পূর্ব তিমুর বা ইসরাইল হতে দিতে চাইনা। কারো হস্তক্ষেপ সহ্য করবো না। বাঙালীরা এখানে থাকবে কি থাকবেনা এটা দেখা আমাদের দায়িত্ব।’ এ কথাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে এরশাদ আর কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। (সুত্র, আরটিএনএন, ১৮/০৯/২০০৯) বিস্তারিত দেখুন এখানে, Click this link…

ঙ. এলাকাটিকে ধীরে ধীরে বাংঙ্গালী শূন্য করা

পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঙ্গালীদেরকে রক্ষা করার জন্য পুর্ববর্তী সরকার গুলো চালূ করেছিল গুচ্ছগ্রাম । গুচ্ছগ্রামগুলোর বর্তমান অবস্থা অকল্পনীয়। বর্তমানে বৃদ্ধ পিতা-মাতার সাথে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান তাদের পালিত পশুসহ একই ঘরে পশুর মতই গাদাগাদি করে থাকছে।
পার্বত্য বাঙালিরা বলেছেন, এ অঞ্চল থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার হলে ওই এলাকায় তারা আর বসবাস করতে পারবেন না। তাদেরকে পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে হবে। এখনো বাঙালিরা পার্বত্য অঞ্চলে চাঁদা দিয়ে বসবাস করেন। কিন্তু সেনাবাহিনী থাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বাঙালিদের কথায় কথায় মারধর করে না। সেনাবাহিনী প্রত্যাহার হলে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বাঙালিদের মারধর করে তাদের ভিটেমাটিছাড়া করবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ছবিঃ গরুর গোয়াল ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করছে পার্বত্য বাংগালী জনগোষ্টি

সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ফলে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তাদের নিরাপত্তা কে দেবে? তারা তখন বিএসএফর আক্রমণের শিকারে পরিণত হবে। ফলে নিরাপত্তার জন্য বাঙালি রিফুজিরা ভেতরে চলে আসছে। ওই এলাকা বাঙালিশূন্য হয়ে যাচ্ছে। আর পার্বত্য এলাকাকে বাঙালিশূন্য করাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের লক্ষ্য। মজার ব্যপার হলো খোদ সন্তুলারমা স্বীকার করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকার ও স্থানীয় পার্বত্য প্রশাসনক প্রচুর অর্থ দিতে চেয়েছিল, যা দিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের সরিয়ে দেশের অন্য জায়গায় পুনর্বাসন করা হয়, এনিয়ে সন্তু লারমার সাক্ষাতটির পড়ুন (প্রথম আলো, ১৬/০৮/২০০৯)কথা হলো পার্বত্য-চট্রগ্রামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন কি স্বার্থ আছে যার কারনে প্রচুর টাকা ঢেলে বাংগালীদের ভিটেমাটি ছাড়া করে শুধু চাকমাদের রাখতে হবে?

কৌশলে বাঙালিদের অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করা হচ্ছে। তাদের কোনো উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছে না। নিজ দেশে পরদেশী হয়ে আছে। যারা এতদিন একরাতে তিন-শ ঘুমন্ত বাঙালিকে হত্যা করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এরাই যদি আবার শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ি পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়, তবে বাঙালি নিধনে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী লাগবে না। তারাই বৈধ অস্ত্র দিয়ে সব বাঙালি নিধন করতে পারবে।

অনেকের মতে, ইউএনডিপি পার্বত্য চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর দরিদ্র বাঙালিদের মাথাপিছু ৫ লাখ টাকা করে দিয়ে বলা হবে, তোমাদের তো এখানে কিছু নেই। থাকো কুঁড়েঘরে, চালাও রিকশা, তোমরা এ টাকা নিয়ে সমতলে চলে যাও। সেখানে তোমরা ভালোভাবে থাকতে পারবে। এভাবে কৌশলে বাঙালিদের বিতাড়ন করে সেখানে উপজাতি খ্রিষ্টানদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে।

চ. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার যুদ্ধ

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার যুদ্ধ নতুন নয়। ১/১১ পর এই প্রচারনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইন্টারনেট সহ সকল মিডিয়াতে এমন একটি ধারণা প্রচার করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশ তাদেরকে পরাধীন করে রেখেছে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেখানে ব্যাপক ভাবে মানবাধিকার লংঘন করেছে।

২৪ এপ্রিল ২০০৯ সম্প্রীতি মঞ্চ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় রায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী ও বাঙালি অধিবাসীদের সরিয়ে আনার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে রাজা দেবাশীষ রায় বলেছেন, আদিবাসীদের সম্পত্তি তথা জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধান রহিত হওয়া উচিত। �বাংলাদেশে আদিবাসী জনগণের প্রচলিত আইনসমূহের সংক্ষিপ্তসার� শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, বছরের পর বছর ধরে ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পার্বত্য এলাকায় সামরিক বাহিনী মোতায়েন সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত।
দেখুন এখানে, Click this link…

এদিকে The Peace Campaign Group নামের পার্বত্য বিছিন্নতাবাদীদের একটি গ্রুপ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ গুলোর কাছে স্বারকলিপি দিয়ে দাবী করেছে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মিলে পার্বত্য অঞ্চলে ইসলামীকরন চালাচ্ছে ও বাংলাদেশ একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র হয়ে গেছে। দেখুন The Peace Campaign Group গ্রুপের ওয়েব সাইটে(Chittagong Hill Tracts: The Peace Campaign Group � Meeting on Bangladesh)
To Bangladesh Development Partners Participating in A Special Meeting on Bangladesh, 23-24 February 2005, Washington
21 February 2005, Our paper, “BANGLADESH DEVELOPMENT FORUM 2004 AND CHALLENGES FOR DEVELOPMENT IN THE CHITTAGONG HILL TRACTS”, that we had emailed to some of the representatives of Bangladesh development partners prior to the start of the last year’s Forum in Dhaka, foretold: “Islamic fundamentalism is on increase in the CHT to an alarming extent”. Within a short span of time this prediction has manifested itself as a real threat not only to the Jumma indigenous people in the CHT, but also to all democratic institutions in Bangladesh. Today, it is the main challenge to any Bangladesh development planning.
The government has been engaged in doing all appropriate for its hidden program of islamization in the CHT. The government, who defines Bangladesh as an “Islamic democracy” to qualify for international aid, has miserably failed to meet its commitments made at the previous Bangladesh Development Forums for good governance, law and order, establishment of a national human rights commission, separation of the judiciary from the legislative and administrative organs of the government and setting up an ombudsmen or anti-corruption mechanism, among others. Prajnalankar Bhikkhu General Secretary)

০০০০—বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনীকে মৌলবাদী আখ্যাদিয়ে পার্বত্য-গ্রুপের প্রচারনা,
Click this link…

০০০০— বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ইন্ডিয়ান মিডিয়া অপপ্রচার,
Click this link…

০০০০— পার্বত্য অঞ্চলের বাংগালী নিহত হওয়ার ঘটনাকে “জেনোসাইড” হিসেবে চালানো হলেও, চাকমা সন্ত্রাসীদের দ্বারায় বাংগালী নিধনকে বেমালুম চেপে যায় এই মিডিয়াগুলো,
Click this link…

০০০০— সেনাবাহিনী বিরোধী প্রচারনায় এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল, Click this link…

০০০০—পার্বত্য- এলাকায় বাংগালীদের বসবাসকে বলা হচ্ছে বৌদ্ধ বিতাড়ন করে মুসলিম আগ্রাসন হিসেবে,
Click this link…

২.

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে উপরের কয়েকটি টুকরো খবর বিশ্লেষনের দাবি রাখে। খরবগুলো আসলেই কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নাকি একটি আরেকটির সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত। এগুলো বিশ্লেষন করা যায় এভাবে…

ক. আরেকটি পুর্ব তিমূর কেন দরকার?

পাশ্চাত্যের বিভিন্ন থিংক ট্যাংক বা গবেষনা প্রতিষ্টান গুলোর ভাষ্যমতে এই শতাব্দীতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দু ইউরোপ-আমেরিকা থেকে স্থানান্তর হয়ে চলে আসছে ও আসবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে চায়না, আসিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে (দেখুনঃ Mapping the Global Future, CIA Report, 2020, Click this link… )। সম্প্রতি জার্মানীতে প্রকাশিত এক রি্পোর্টে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মদক্ষ জনশক্তি দিন দিন মারাত্নকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা মুলত অনেকটাই পুরুন করবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পুর্ব থেকে আসা একঝাক মেধাবী তরুণ। জার্মান সমাজবিঙানীরা তাই দক্ষিণ-এশিয়ার নাম দিয়েছে Future Land South Asia (জার্মান ভাষায় বলা হয়, Zukunft Land Sued Asien)। চীন, আসিয়ান অঞ্চল ও দক্ষিণ এশিয়াকে যেখান থেকে নিয়ন্ত্রন করা যায়, এমন একটি �বাফার রাষ্ট্র� আমেরিকা ও তার সহযোগী ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময়েই খুছতেছিল। এ ক্ষেত্রে সেই রাষ্ট্রটি খৃষ্টান রাষ্ট্র হলেতো সোনায় সোহাগা। ফিলিপিনস, পুর্ব তিমুর ছাড়া এশিয়ায় আর কোন খৃষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্র নেই। ফিলিপিনসে বহু বছর মার্কিন বাহিনী ঘাটি গেড়ে থাকতে পেরেছিল ও চেয়েছিল তার অন্যতম কারন ছিল দেশটি খৃষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট। ওদিকে খবরে প্রকাশ, মায়ানমার চীনের সহযোগীতায় পরমানু অস্ত্র নির্মানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। খবরটি সত্য হলে মার্কিনীদের কাছে বাংলাদেশে তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা দরকার, পশ্চিমা শক্তি চীনকে কাউন্টার দেওয়ার জন্য কিছু দিনের জন্য ভারতের সাথে সখ্য গড়েছে, কিন্ত এই সখ্য বেশি দিন স্থায়ী হবে বলে মনে হয় না। এই সখ্য তত দিন পর্যন্ত থাকবে যতদিন পশ্চিমা শক্তি এই অঞ্চলে তাদের নিজ ধর্মের একটি (খৃষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট) বাফার রাষ্ট্র না পাচ্ছে। ভারতের সেভেন সিসর্টাস এর মনিপুরসহ অনেক রাজ্যই অদুর ভবিষ্যতে খৃষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমা শক্তি এসব রাজ্যের পুর্ব তিমুরের মতো হস্তক্ষেপ করতে চাইলে ভারত সেটা মেনে নেবে না। তাছাড়া ভারতে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির উথ্যান পশ্চিমা বিশ্বের মাথা ব্যাথার কারনও বটে। সম্প্রতি বিজেপির ভাবী প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাকে কল্পনা করা হচ্ছে সেই নরেন্দ মোদীকে আমেরিকা দশ বছরের মধ্যে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে খৃষ্টানদের নির্যাতন, এমনকি পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটছে অহরহ।

অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত বাংলাদেশে পুর্ব তিমুরীয় বা দক্ষিণ সুদান মডেল বাস্তবায়ন যত সহজ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য কোন দেশে তা সম্ভব নয়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত অবস্থানের (geo-political and geo-strategic location) মত আর দ্বিতীয় কোন লোকেশান এই মুহূর্তে পশ্চিমাদের হাতে নেই। ভারতের সেভেন সিসটার্সের সব রাজ্যই ল্যান্ড লকড (যে সব দেশের মূল ভূ-ভাগের সাথে সরাসরি কোন সমুদ্র সংযোগ থাকে না তাদেরকে ল্যান্ড লকড রাষ্ট্র বলা হয়, যেমন, নেপাল, ভুটান, মঙ্গোলিয়া)। সব মিলিয়ে বলা যায়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছে।

খ. আরেকটি পুর্ব তিমূর বা ইসরাইল কি সম্ভব?

১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ক্যাথোলিক খ্রীষ্টানের হার ছিল ৩০-৪০% যা ১৯৯০ এর দিকে বেড়ে দাড়ায় ৯০%। ঠিক তেমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন খ্রিষ্টান মিশনারি এনজিও পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহতায় তৎপরতা চালাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। খ্রিষ্টানাইজেশান প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে মাত্র ২০ বছরের মাথায় পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা করে দিয়ে জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে একটি পৃথক রাষ্ট্র করে দেয়া হল। অথচ কাশ্মীরের মানুষ মুসলমান হওয়ায় তারা ৬০ বছর ধরে সংগ্রাম করলেও জাতিসঙ্ঘ তাদের রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

ছবিঃ ভুমধ্যসাগরের তীর ঘেষে ইসরাইল (উপরে)। ঠিক সাগরের কাছাকাছি পার্বত্য চট্রগ্রামও। আয়তনেও কাছাকাছি।

২০০০ শুরূতে নতুন শতাব্দীর জন্য এক বাণীতে ততকালীন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগূরু পরলোকগত পোপ জন পল একটা গুরূত্বপুর্ন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, �গত শতাব্দীতে আমরা আফ্রিকাতে নজর দিয়েছিলাম। আফ্রিকাতে আমাদের মিশন অনেকটাই শেষ। এই শতাব্দীতে আমাদের নজর থাকবে এশিয়ার দিকে�। পোপ জন পল ঠিকই বলেছেন। আফ্রিকার এককালের অধিকাংশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্র এখন খ্রষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট দেশে পরিনত হয়েছে। আফ্রিকাতে আগের মত যুদ্ধ বিগ্রহ নেই বললেই চলে। এই শতাব্দীর শুরু থেকে ইরাক দখল করে এককালের সম্পদশালী একটি দেশকে মিসকিনে পরিনত করা হল। আফগানিস্তান দখল করা হলো। মজার ব্যাপার হলে, এই দুটি মুসলিম দেশ দখল ও ধবংস করে বলতে গেলে জোর করে ব্যাপক ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে খ্রিষ্টান মিশনারি এনজিও গুলোকে। আফগানিস্তানে তো খোদ মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীকে জনগনের মাঝে বাইবেল বিতরন ও জোর করে খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহন করানোর অভিযোগ উঠছে ব্যাপক ভাবে।

কাকতালীয় ভাবে দেখা যায় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম (আয়তন ১৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার), পূর্বতিমুর ( আয়তন ১৪,৫০০ বর্গ কিলোমিটার) ও ইসরাইলের (দখলকৃত আরব ভূমিসহ বর্তমান আয়তন ২০,৫০০ বর্গ কিলোমিটার) আয়তন প্রায় কাছাকাছি। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের রয়েছে চমতকার ভূরাজনৈতিক অবস্থান যা ইসরাইল ও পূর্বতিমুরের সাথেই সহজেই তুলনা করা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামকে দ্বিতীয় পুর্ব তিমুর বানিয়ে সহজেই ইসরাইল স্ট্যাইলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের কিছু অংশ দখল করে নিতে পারলেই খুব সহজে বঙ্গপোসাগরের সাথে সংযোগ স্থাপিত হবে এই সম্ভাব্য খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রটির। অনেকের ধারনা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকনাফে ২০-৫০ মেয়াদী পরিক্ল্পনা নিয়ে একটি গভীর সমুদ্র বন্দের জন্য বাংলাদেশকে বার বার চাপ দিচ্ছে মুলত ভাবী এই খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রটির কথা মাথায় রেখেই।

গ্লোবাল পলিটিশিয়ান (global politician) নামক ম্যাগাজিনে বলা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরা একইসাথে বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রীষ্ট ধর্ম, হিন্দু ধর্ম ও তাদের নিজস্ব ধর্ম পালন করে থাকে। এখানে উপজাতিদের কত ভাগ খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহন করেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছেই নেই। বিশ্লেষকদের মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ইতিমধ্যেই খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট এলাকায় পরিনত হয়েছে। কৌশলগত কারনে (আরও কিছু সময় দরকার পরিপুর্ন খ্রিষ্টানাইজেশান প্রক্রিয়া শেষ করতে)পশ্চিমা শক্তির পরার্মশে তা কম করে দেখানো হচ্ছে।

গ. উপজাতি যখন আদিবাসী

আমরা এতদিন থেকে অবাংগালী অধিবাসীদের উপজাতি (Tribal) হিসেবেই জানতাম। ইতিহাসবিদ ও নৃবিঙানীরাও (anthropologists) বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা এদেশের উপজাতি । বাংগালীরা হাজার বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের অবাংগালীরা মাত্র তিন-চার শত বছর আগে সেখানে বসবাস শুরু করেন। বাংলাদেশ সংবিধানও বলে এরা উপজাতি। বিশ্ববি্দ্যালয় পড়ার সময় শুনেছি পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু সহপাঠী উপজাতী কোটায় ভর্তি হয়েছে। কোন দিন ওদের আদিবাসী বলা হত বলে জানতাম না। ১৫-২০ আগেও এদের উপজাতি বলা হতো। এখন দাবী করা হচ্ছে এরা নাকি আদিবাসী (Aborginals)। আর এই কোরাসের সাথে যোগ দিয়েছে মস্তিক বিক্রি কারি কিছু মিডিয়া। যাই হোক উপজাতি- আদিবাসী নিয়ে বির্তক করা আমাদের এই লেখার মুল থিম নয়।

মুলত গত এক দশক ধরে ঢাক ডোল পিটিয়ে এদের বলা হচ্ছে আদিবাসী। প্রতিদিনেই যাক-জমকের সাথে পালন করা নানান কিছিমের অনুষ্টান। তোলা হচ্ছে নানান সব দাবী দাওয়া। তাদের দিতে হবে আলাদা সংবিধান, আলাদা ভাষা। তার পর আলাদ রাষ্ট্র। এসব দাবীর উপর দেওয়া হচ্ছে ব্যাপক মিডিয়া কভারেজ। ভাবখানা দেখে মনে হয় এত দিন উপজাতিরা বাংলাদেশে সুখে শান্তিতে বসবাস করতো। হটাত করে কিছু দিন আগে বাংগালীরা বাংলাদেশে এসে তাদের (কথিত আদিবাসীদের )বিতাড়ন করেছে, তাই আমেরিকা-ইউরোপ আসুক, দেখুক আর তাদের জন্য একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের ব্যাবস্থা করে দিক। বিদেশের টাকায় পরিচালিত কিছু এনজিও, মস্তিক বিক্রি কারি কিছু মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীদের অবিরত প্রচেষ্টা বৃথা যায়নি। সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারী সব নথি পত্রে উপজাতি শব্দের পরিবর্তে আদিবাসী সংযোজন করা হবে।

মনে করা হয়, সন্তু লারমারা মুলত স্বশত্র সংগ্রাম ত্যাগ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের থিংক ট্যাংক বা গবেষনা প্রতিষ্টান গুলোর পরার্মশে। তারা বুঝে যায় স্বশত্র সংগ্রাম করে পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে চাল দিতে হবে ধীরে ধীরে খ্রিষ্টানাইজেশান প্রক্রিয়া ও আদিবাসী কার্ড। এই দুটি বিষয়কে হাইলাইটস করলেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে এসে বাংলাদেশকে বাধ্য করবেন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীনতা দিতে। ঠিক যেমন করা হলো পূর্ব তিমুরে।

উপজাতীয়দের নামে মূলত সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে চাকমারা। তারা ৮৬ শতাংশ শিক্ষিত। বাঙালিরা মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষিত এবং অন্যান্য যেসব উপজাতি রয়েছে তারা কোনো হিসাবের মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় জমি অধিগ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে রাষ্ট্র। কিন্তু শান্তিচুক্তির নামে রাষ্ট্র নিজের পাহাড়ে এ অধিকার হারিয়েছে। এমনকি খনিজসম্পদ উত্তোলনের বিষয়ে বিদেশীদের সাথে চুক্তি করারও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সন্তুদের।

উল্লেখ্য পার্বত্য চট্রগামের উপজাতিরা কখনোই আদিবাসী (Indigeneous) ছিলো না। ইতিপুর্বের কোন নথিপত্রে এদের আদিবাসী হিসেবে দেখনো হয়নি, বলা হয়েছে এরা মুলত উপজাতি (Tribal/Sub-caste)।

০০০০এনিয়ে দেখুন, বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য-বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইট। সেখানে উপজাতিদের (Tribals) আদিবাসি (Indigeneous) বলা হয়নি,
এমনকি ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তিতেও উপজাতিদের আদিবাসি বলা হয়নি
Click this link…

oooo—রা উপজাতি, আদিবাসী নয়, এনিয়ে বিশিষ্ট গবেষক চট্রগ্রাম বিশ্বদ্যালয়ের অধ্যাপক ড হাসান মোহাম্মদের কলামটি পড়ুন,
Click this link…

০০০০—-প্রখ্যাত নৃবিজ্ঞান গবেষক, ড এবনে গোলাম সামাদ, পার্বত্য তিন জেলা নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখোঃ দেশবাসী সচেতন হও, শীর্ষক কলামে

এখানে এমন অনেক উপজাতির বাস, যারা ইংরেজ আমলের আগে ছিল না। ইংরেজ আমলে প্রধানত আরাকান থেকে এখানে উপনিবিষ্ট হয়েছে। এদিক থেকে বিচার করলে এখানে তাদের বলতে হয় পরদেশি। ওই অঞ্চলের ভুমিজ সন্তান তারা নয়। অনেকে না জেনে তাদের মনে করেন আদিবাসী। চাকমা, মারমা প্রভৃতিকে আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা খুবই বিভ্রান্তিকর।
(দেখুন, আমার দেশ, ২০০৯-০৫-০৬)

০০০০—সেকুলার (আওয়ামী)পন্থি বুদ্ধিজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর, বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘Most of the tribal people move into this land from areas now in Myanmar (former Burma) during the period from the 15th to the mid-nineteenth centuries. The tribes belonging to the Koki group were the earliest to settle, and the Chakmas came much later (War and Peace in the Chittagong Hill Tracts, P.5, published by Agamee Prakashni Dhaka, 1999).

০০০০—-নৃতত্তবিদ T.H Lewin-এর মতে, ‘A great portion of the Hill tribes, at present living in the Chittagong Hills, undoubtedly came about two generations ago from Arakan. This is asserted both by their own traditions and by records in the Chittagong Collectroate (1869, P. 28)„

রাঙামাটিতে সাংস্কৃতিক উৎসব সংবিধানে ‘আদিবাসী’ না বলায় যোগ দেননি অনেকে
Click this link…

ঘ. পুর্ব তিমূর বাস্তবায়নে সহযোগী যারা

আরেকটি পূর্ব তিমূর বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, ইউরোপীয় কমিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও তার প্রচার মাধ্যম। বিপুল সার্কুলেশানের অধিকারী একটি পত্রিকা, তার ইংরেজী সহযোগীসহ প্রায় সব প্রিন্ট, ইলেট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া। টেলিভিশন অনবরত বলছে, পাহাড়িরা নিগৃহীত। তাদের রক্ষা করতে হবে। ইউএনডিপি সেখানে পাহাড়িদের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে। খবরে প্রকাশ, দু�টি প্রভাবশালী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সেখানে এজেন্সি খুলে বসেছে। চরম বাংলাদেশ বিরোধী হিসেবে পরিচিত বৃটিশ লর্ড সভার মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান লর্ড এরিক এভেরি্র নেতৃতে গঠিত কথিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশান সারা বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ গুলোতে ব্যাপক প্রচারনা চালাচ্ছে, বাংলাদেশের আদিবাসী(?)দের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সেখানে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে ইত্যাদি।

 

ছবিঃ শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করছেন লর্ড এভেরি
Click this link…

লর্ড এরিক এভেরি সম্পর্কে জানুন এখানে,
Click this link…

তার ব্লগেই দেখুন, লেখা হয়েছে তিনি Founder, Parliamentarians for East Timor, 1988; এই এভেরী ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশন গঠন করে পুর্ব তিমুর বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে অন্যতম ভুমিকা পালন করেছিলেন।

এরিক এভেরির কমিশন নিয়ে আরো পড়ুন,
Click this link…

 

 

 

ছবিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশানে লর্ড এরিক এভেরি্র সাথে আছেন এদেশীয় ড. জাফর ইকবাল (উপরে), এ্যাড সুলতানা কামাল চক্রবর্তী (স্বামী শ্রী রঞ্জন চক্রবর্তী) (২য় ছবি), ড. স্বপন আদনান (সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), ব্যারিষ্টার সারা হোসেন (স্বামী ডেভিড বার্গমান) (৩য় ছবি), ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরদা (শেষের ছবিতে বাম পাশের মহিলা) প্রমুখ

এর সাথে যোগ হয়েছে মুক্তমনা নামের পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার অর্থে পরিচালিত কিছু গ্রুপ, যাদের মুল কাজেই হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো। সম্প্রীতি মঞ্চ ও অজয় রায়রা (বামপন্থি বুদ্ধিজীবী অজয় রায় ইন্টারনেট ভিত্তিক গ্রুপ মুক্ত-মনার প্রধান উপদেষ্টা। এদের মুল কাজেই হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী ছড়ানো) হচ্ছেন সেই গ্রুপ গুলোর বাংলাদেশী সহযোগী। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বলা যায়, পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে শুধু নিরাপত্তার জন্য, সেখানে কোনো উপনিবেশ কায়েমের জন্য নয়। তারা সেখানে কোনো ধরনের অন্যায় কাজেও লিপ্ত নয়। একটি দেশের সেনাবাহিনী নিজের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। �এ কেমন দাবি!

ভারতীয় সেভেন সিস্টার্সে ৪০ বছর ধরে প্রায় ৪ লাখ সৈন্য মোতায়েন আছে। কাশ্মীরে গত দুই দশক ধরে পাচ লাখেরও বেশী ভারতীয় সেনা মোতায়েন আছে। এসবের বিরুদ্ধে কথিত কোন মানবাধিকার গ্রুপ টু শব্দ করতেও দেখা যায় না। আর পাহাড়ে আমাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগও নেই। তাহলে কেন তাদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হবে? তাহলে সম্প্রীতি মঞ্চের এ দাবির উদ্দেশ্য কী? তারা কি দেশের এক-দশমাংশ ভূমির নিরাপত্তা চায় না? তারা কী বাংলাদেশের এক-দশমাংশ এলাকা অরক্ষিত অবস্থায় পেলেই খুশি হবে?

ঙ. ১/১১ কি একটি রিহার্সেল ছিল?

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কারনেই গত তিন দশকে সন্তু লারমাদের ব্যাপক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিছিন্নতাবাদীদের স্বর্গ রাজ্য হতে পারেনি। এক্ষেত্রে পাহাড়ী ও বাংগালীরা সেনাবাহিনীর কারনে নিরাপদে নিজস্ব জীবনযাত্রা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে পাশা পাশি বসবাস করছে। বলতে গেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই অনেক ত্যাগের বিনিময় পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করেছে। সুতরাং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ অঞ্চলটি রক্ষার অন্যতম শক্তি। তাই তাদেরই মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে হবে। এ কাজ করা হয়েছে মুলত ১/১১ আগে ও পরে। জাতি সংঘের শান্তি মিশন থেকে সেনা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এই ভয়ে (যদিও অনেকে বলছেন ভয়টি ছিল ভুয়া) যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মইন টাইপের উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি বিদেশী কূটনৈতিক সহায়তায় ১/১১ তৈরী করতে পারে, তাহলে তো সত্যি সত্যি শান্তি মিশন থেকে সেনা ফিরিয়ে দিলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সেনা পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে তো বটেই খোদ স্থায়ী ক্যান্টনমেন্ট ছেড়েই চলে আসবে।

মজার ব্যাপার হলো, ১/১১ পরপরেই পাচ ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত গোপন সফরে পার্বত্য চট্টগ্রাম গেছেন। ১/১১ পর থেকেই উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে। লর্ড এরিক এভেরি নেতৃতে গঠিত কথিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশানও বেশ জোরে শোরে সারা বিশ্বে চিতকার শুরু করেছে সেখানে মানবাধিকার গেল বলে। তাহলে কি বলা যায় ১/১১ শুধু বাংলাদেশে বিদেশী কুটনৈতিকদের অবাদ বিচরণ ক্ষেত্রই করেনি, পার্বত্য চট্টগ্রামকে আরেকটি পুর্ব তিমূর, দক্ষিণ বা ইসরাইল করার পথও সুগম করে দিয়েছে?

ছবিঃ এভাবেই দেশের এক-দশমাংশ এলাকা পার্বত্য-চট্রগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে? আর আমরা সুদানী রাগাতের মত চেয়ে চেয়ে দেখবো?

ভারত রাগ হয়ে গেছে

Source : Daily Sangram

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ভারতের চাওয়ার চাইতে অধিক অনেক কিছু দিয়ে দিয়েছে। ভারতের ব্যাপারে সম্ভবত না বলতে পারে না শেখ হাসিনার সরকার। এমন কি ভারতীয় সংবাদপত্রগুলোও সোল্লাসে বলেছে যে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ভারতকে একেবারে উজাড় করে দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, কাকাবাবুদের এখন আর চাইতেই হয় না। তার আগেই শেখ হাসিনার সরকার তাদের সব কিছুই দিয়ে দিচ্ছে। তাতেও কাকাবাবুদের খাঁই মেটে না। তাদের আরও চাই। আরও চাই। এখানে দেশের স্বার্থের কী হল, অতো সব বিষয় ভাবনারও বোধ করি সরকারের সময় নেই। না চাইতেই যা পাওয়া যাচ্ছে তা দেখে কাকুরা এতো কিছু চাইতে শুরু করেছেন যে সরকারের প্রায় দিশেহারা হওয়ার অবস্থা।

রাষ্ট্রের কী হল না হল ভারতকে উজাড় করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জেদ ও লাভালাভ অনেকখানি নিশ্চিত হয়েছে। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নিজের জেহাদ ঘোষণায় ভারতের মৌন সম্মতি মিলেছে। কারণ ইউনূসের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি এও জানিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনার সরকারকে কীভাবে ক্ষমতায় আসীন করা হয়েছে, শেখ হাসিনা যেন সে কথা মনে রাখেন তার ঐ বক্তব্য থেকে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সরকার ভোটের মাধ্যমে নয়, যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একাধিকবার বলেছেন যে, তেল-গ্যাস বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে চাননি বলে ২০০১ সালের নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসীন হতে পারেননি। তবে তিনি খোলাসা করে বলেননি যে, এবার ক্ষমতায় আসীন হতে তারা এসব প্রভুকে কী কী দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর এটাও তো সত্য যে, ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসীন বিএনপি তেলগ্যাস বিদেশীদের হাতে তুলে দেননিঅর্থাৎ তারা জিতবেন না জেনেও তেল গ্যাসের বিনিময়ে তাদের ক্ষমতায় বসাবার একটি ষড়যন্ত্র তখনও ছিল। বিএনপি তথা চারদলীয় জোটকে ঐসব প্রভুদের ধার ধারতে হয়নি। তারা প্রকৃতই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়েছিলেন। ধর্মের ঢাক এভাবে আপনাআপনিই বেজে ওঠে।

আর সম্ভবত সেকারণেই যুক্তরাষ্ট্র-ভারতকে কেবল দিয়েই যেতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। কিন্তু ফ্যাসাদ বেঁধেছে এক শ’ কোটি ডলার ভারতীয় ঋণ নিয়ে। এই ঋণচুক্তি যখন করা হয় তখন বাংলাদেশ ব্যাংক ১১শ কোটি টাকার রিজার্ভের ওপর বসে তা’ দিচ্ছিল। পড়েছিল অলস টাকা। বিনিয়োগ নেই, ক্যাপিটাল মেশিনারির আমদানি নেই। কোন চিন্তাভাবনাও নেই। রাখাল গভর্নর সে টাকা নিয়ে যখন বিপাকে, তখন সরকার ভারতের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি সুদে এক শ’ কোটি ডলার ঋণ নিল। এ ঋণের পয়সায় যা কিছু কাজ হবে, তার সব কিছুই হবে ভারতের স্বার্থের অনুকূলে। ইট-পাথর-রড-সিমেন্ট-লোকজন সব কিছুই আসবে ভারত থেকে। ভারতের যা নেই, তাও জোগাড় করে দেবে ভারতই। সেখানে আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। আমাদের লোকেরা সম্ভবত সেখানে কুলি-মজুরের কাজ পাবে। কিংবা হতে পারে, কুলি-মজুরও আসবে ভারত থেকে।

https://i0.wp.com/upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/c/c3/Sheikh_Hasina.jpg

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনার সরকারকে কীভাবে ক্ষমতায় আসীন করা হয়েছে, শেখ হাসিনা যেন সে কথা মনে রাখেন।

ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া হয়েছে। সেই ট্রানজিট পথে ভারতের ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার জন্য এই ঋণ। ভারত যখন ট্রানজিটের রাস্তাঘাট ব্যবহার করবে, তখন ঐ পথে বাংলাদেশের কাকপক্ষীও চলতে পারবে না। রাষ্ট্র আমার, ভূমি আমার, ঋণ নিয়েছি আমি। সে ঋণ শোধও করতে হবে আমাকেই। তারপরও আমি আমার নিজস্ব ভূ-খন্ড ব্যবহার করতে পারব না। ভারতের এমন শর্তের কাছে শেখ হাসিনা সরকার আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু তাতে বিপদ হয়েছে ভারী। এখন ভারত রকেটের দ্রুততায় ঐ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

https://i0.wp.com/www.weeklyvoice.com/wp-content/uploads/2010/09/Manmohan-Singh_57.jpg

মনমোহন সিংয়ের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরকালে শেখ হাসিনা ভারতকে আর কি কি সুবিধা দিবেন সেটি তিনি ছাড়া তার অফিসের ঘনিষ্ঠ কেউই সম্ভবত জানেন না

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত যখন দিল্লীতে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী কাকাবাবু প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তখন ফের প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে চাপ দেয় ভারত। আর পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই চাপের অংশ হিসেবেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফর কেবলই পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। গত বছরের শেষাশেষে মি. সিংয়ের ঢাকা সফরের কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ধীরগতি হওয়ায় সে সফল বিলম্বিত করে দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বোঝাবার চেষ্টা করছেন যে, ভারতের সঙ্গে তার সখ্যতা কত গভীর। চাপ সৃষ্টির কারণও তাই। সম্পর্কের গভীরতাকে যদি ব্যবহার করতে চাও, তাহলে ভারতের অনুকূলে করিডোর কার্যক্রম দ্রুততর করো। এর আগে গতবছর জানুয়ারীতে শেখ হাসিনার দিল্লী সফর ঘোষণার পর ১৩ মাস বিলম্বিত হয়েছিল। এই সফরের আগেই ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার কৌশলগত স্বার্থ চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিল। তারপর আসে ৫১ দফা যৌথ ইশতেহার। এই ইশতেহারে বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূল একটি ধারাও নেই। মনমোহন সিংয়ের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরকালে শেখ হাসিনা ভারতকে আর কি কি সুবিধা দিবেন সেটি তিনি ছাড়া তার অফিসের ঘনিষ্ঠ কেউই সম্ভবত জানেন না। এদিকে শুকনো মওসুম শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু বহুল ঢাক পেটানো পানি বণ্টন চুক্তির কোন সম্ভাবনাই নেই।

উপরন্তু ভারত শতবার কথা দিয়েছে যে, সে দেশের বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারত কোন বাধা সৃষ্টি করবে না। সেজন্য ৬১টি পণ্যের তালিকাও করা হয়েছিল। কিন্তু তার কোন পণ্যই ভারত তার দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। শেখ হাসিনার সরকার হয়তো আশা করেছিল যে, ভারতকে সবকিছু উজার করে দেয়ার বিনিময়ে যদি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা যায়, যদি ভারতের অনুকূলে ৩০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি সামান্য কমিয়ে আনা যায়, তাহলে সেটা বলেই হয়তো জনগণকে প্রবোধ দেয়া যেত। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারও কোন সুরাহা হচ্ছে না। এছাড়া ভারত বাংলাদেশের উপর দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন ট্রানজিট ফি দিতে অস্বীকার করে বসেছে। ট্রানজিটের লাভ সম্পর্কে বোগি আওয়াজকারীরা একযোগে বলছিল যে, ভারতকে ট্রানজিট করিডোর দিলে বাংলাদেশ প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ফি পাবে, লাভবান হবে। এখন দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি ডলার তো দূরের কথা, ফি বাবদ ভারত এক পয়সাও দিতে রাজি নয়। ভারতের এই ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন বাংলাদেশ ভারতের সুবিধার্থে ফেনী নদীর উপরে ভারতকে সেতু নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। এই সেতু নির্মিত হলে ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। এদিকে আমাদের সুদর্শনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে, ছিটমহলসহ সকল ঝুলে থাকা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এমনকি ভারতকে এ কথা বোঝাতে পারছেনা যে, সরকারের উপর এত চাপ সৃষ্টি শেষ পর্যন্ত ভারতের অনুকূলে যাবে না। জনগণ, সরকার তো বটেই, একসময় ভারতের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবে ও রুখে দাঁড়াবে।

ভারতের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মহলেও অনুকূল প্রভাব ফেলেনি। সরকার অনুগত ও সরকারের ঢাক বাদনকারী ব্যবসায়ীরা এখন দেখছে যে, ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রকল্প থেকে তাদের এক পয়সাও লাভবান হওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। শুরুতে তারা হয়তো ভেবেছিলেন যে, এধরনের অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ শুরু হলে তা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। ফলে এই চুক্তি ও তার বাস্তবায়নের ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গভীরভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন। আমলাতন্ত্রসহ সকল মহলে এখন আলোচনা একটাই। ভারতকে ট্রানজিট-করিডোর দিলে কি লাভ? কারণ এই প্রকল্পের ইট-সিমেন্ট-রড পর্যন্ত ভারত থেকে আনতে হবে। এমনই এক দাসখত লিখে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। সরকার এমনকি আওয়ামী লীগ সমর্থকদেরও শেয়ালের রা-য়ের মতো ভেবেছে। তাদের ধারণা ভারতকে সবকিছু কোন বিনিময় ছাড়াই দিয়ে দেয়া বিষয়টি সকল আওয়ামী লীগারই সমর্থন করবে। ট্রানজিট ফি দিতে ভারতের অস্বীকৃতি এবং সরকারের তা মেনে নেয়া, এমন কি আওয়ামী লীগাররাও ভাল চোখে দেখছে না। সাধারণ মানুষ একে দেখছে বাংলাদেশ বিরোধী ভারতীয় চক্রান্ত হিসেবে। এখন বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের প্রটেক্টরেট ভুটানেরও নিচে চলে গেছে। যে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ শেখ হাসিনা নিয়েছেন, তার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক পয়সাও লাভ হবে না। বাণিজ্য হবে না। কর্মসংস্থান হবে না। সবটুকু লাভ লুটে নেবে ভারত। আর ভারতের এই লাভের জন্য আমাদের সুদসহ পরিশোধসহ পরিশোধ করতে হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনার ক্ষমতার উন্মত্ত মোহে এই বাস্তবতা ভুলতে বসেছে যে, তাদের এই অবস্থান রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে। এদেশের মানুষ কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশ বিরোধী এত বড় চক্রান্ত মেনে নেবে না। তারা রুখে দেবেই।