• Categories

  • Archives

  • Join Bangladesh Army

    "Ever High Is My Head" Please click on the image

  • Join Bangladesh Navy

    "In War & Peace Invincible At Sea" Please click on the image

  • Join Bangladesh Air Force

    "The Sky of Bangladesh Will Be Kept Free" Please click on the image

  • Blog Stats

    • 327,567 hits
  • Get Email Updates

  • Like Our Facebook Page

  • Visitors Location

    Map
  • Hot Categories

দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশী সিনেমা ‘ব্ল্যাক’

মুহাম্মদ আমিনুল হক

বিতর্কিত লেখক ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় এবার তৈরী করছেন ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিনেমা। যার মাধ্যমে তিনি শরীয়া আইন, জিহাদ, বোরখা, পাথর ছুঁড়ে মারা, বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহ ও শিরচ্ছেদের প্রসঙ্গ টেনে ইসলামের বিরুদ্ধে দেশ বিদেশে জনমত তৈরী করতে চাচ্ছেন। ব্ল্যাক সিনেমার প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে এ ছবির নির্মাতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জাতিকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করছি।

https://i0.wp.com/www.ishr.org/uploads/RTEmagicC_Bangladesch-Shoaib_Choudhury-durdesh.net.jpg.jpg

বিতর্কিত লেখক ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় এবার তৈরী করছেন ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিনেমা

https://i0.wp.com/www.weeklyblitz.net/images/logo.gif

''Weekly Blitz' এর মাধ্যমেই সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী তার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন

https://i0.wp.com/www.follow-islam.com/wp-content/uploads/2011/07/Jihad-In-Islam3.jpg

বিশেষকরে ইসলামের অন্যতম বিধান জিহাদের বিরুদ্ধে বিষোদগারমূলক বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর সাপ্তাহিক পত্রিকাটি মানুষের কাছে ইসলাম বিরোধী পত্রিকা (Anti-Islamic Newspaper) হিসেবে পরিচিতি পায়

‘Weekly Blitz’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী বেশ পরিচিত। ”Weekly Blitz’ এর মাধ্যমেই তিনি তার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের বিরুদ্ধে তার লেখনীতে কখনো ছেদ পড়েনি। বিশেষকরে ইসলামের অন্যতম বিধান জিহাদের বিরুদ্ধে বিষোদগারমূলক বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে তার সাপ্তাহিক পত্রিকাটি মানুষের কাছে ইসলাম বিরোধী পত্রিকা (Anti-Islamic Newspaper) হিসেবে পরিচিতি পায়।

তিনি ১৯৮৯ সনে সাংবাদিকতা শুরু করেন সোভিয়েট ইউনিয়নের ’তাস’ (TASS) নিউজ এজেন্সিতে। ১৯৯১ সনে তিনি ইটার তাস (Iter-Tass) নিউজ এজেন্সির বাংলাদেশ শাখার প্রধান সংবাদদাতা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সোভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পর বিভিন্ন দেশে ইটার তাসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে তিনি ১৯৯৬ সনে ওখান থেকে চাকুরী ছেড়ে বাংলাদেশে প্রথম প্রাইভেট টিভি চ্যানেল ২১শে টিভি প্রতিষ্ঠা করেন। তখনকার সময়ে একুশে টিভিও ইসলাম বিরোধী টিভি হিসেবে পরিচিতি পায়। বাংলা ও ইংরেজীতে তার কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ২০০৭ সালে প্রকাশিত হওয়া একটি বইয়ের শিরোণাম হচ্ছে- “Injustice & Jihad” (অবিচার এবং জিহাদ)। বইয়ের নাম দিয়েই অনুধাবন করা যায় ইসলাম নিয়ে তার কত জ্বালাপোড়া! বইটি ২০০৮ সালে Non Sono Colpevole নামে ইতালিয়ান ভাষায়ও প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সনে Inside Madrassa (মাদরাসার অভ্যন্তরে) নামক বইটি প্রকাশিত হয়। উক্ত বইয়ের মাধ্যমে তিনি মাদরাসার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করেন।

তিনি বাংলাদেশে ইসরাইল ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম গঠন করেন। বাংলাদেশে আল-কায়েদা সংগঠনের বিস্তার সম্পর্কে তিনি অনেক আজগুবি লেখাও উপহার দেন। তার লেখনীতে বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইসরাইল বিরোধীদের মনোভাব সম্পর্কেও তথ্য উঠে আসে। ইসলাম বিদ্বেষী এই বাম সাংবাদিকের আসল বন্ধু হচ্ছে- ইসরাইল ও তার দোসররা। এদেশে চৌধুরী সাহেব নিন্দিত হলেও ইসলাম বিরোধী শক্তি তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দিচ্ছে। ২০০৫ সনে PEN USA তাকে মুক্ত লেখনীর জন্য পুরুস্কৃত করে। ২০০৬ সনের মে মাসে American Jewish Committee তাকে পুরুস্কৃত করতে চাইলে তৎকালীন সরকার তাকে যুক্তরাষ্ট্র যেতে বাধা প্রদান করে। ২০০৭ সনে তাকে Prince Albert of Monaco এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

https://i0.wp.com/www.darkgovernment.com/news/wp-content/uploads/2009/02/mossad-seal.jpg

ইসরাইলের একান্ত দোসর শোয়েব চৌধুরীকে ইসরাইল-মোসাদ কানেকশন ও দেশ বিরোধী তৎপরতার দায়ে ২৯ নভেম্বর ২০০৩ সনে তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০০৩ তেলআবিবে অনুষ্ঠিতব্য এক কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তার লাগেজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ তথ্য সম্বলিত অনেক ডকুমেন্ট ও সিডি উদ্ধার করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত নানান ভৌতিক তথ্যও ছিল তাতে। তার গ্রেফতার সম্পর্কিত খবর পরের দিন ইংরেজী পত্রিকা Daily Star পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়।

Man with ‘Mosad links’ held at ZIA শিরোনামের খবরে বলা হয় :

A man was arrested at Zia International Airport yesterday morning on his way to Tel Aviv for his alleged Mossad connection. A leader of Bangladesh chapter of ‘Iflaq’, a Haifa-based organisation, Salauddin Shoib Chowdhury was carrying compact discs (CD‘s) and papers containing write-ups on some sensitive issues including ‘minority repression and the al Qaeda network in Bangladesh’, police said. Shoaib was managing director of the planned Inquilab Television until he was sacked last year…….

এরপর চৌধুরী সাহেব একাধারে ১৭ মাস জেল খাটেন। চৌধুরী সাহেব কিছুদিন ইনকিলাব পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভি প্রতিষ্ঠা করার জন্যও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভির এম.ডি হিসেবে নিযুক্ত হন। ইনকিলাব টিভিতে তার প্রায় এক মিলিয়ন টাকার মোট ৩০% শেয়ার ছিল বলে দাবী করেন। ইনকিলাব পত্রিকা যখন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেও ইনকিলাব টিভির সর্বোচ্চ পদে ঘাপটি মেরে ছিল দেশ ও জাতির শত্রু এবং ইসরাইলের এ চর! এ ঘটনা থেকে কি বি.এন.পি. ও ইসলামী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো শিক্ষা নেবে?

https://i0.wp.com/www.dailyinqilab.com/images/name.gif

১৯৬৫ সনে সিলেটে জন্ম নেয়া এ নরাধম, পাপিষ্ট, দেশদ্রোহী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এখনও নির্বিঘ্নে তাদের কলুষিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এবার তারা তৈরী করতে যাচ্ছে ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিরিজ সিনেমা। যা তার ভাষ্যমতে, এ বছরের এপ্রিল মাসে (১৪১৮ বাংলা নববর্ষে) পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামকে বিশ্ববাসীর কাছে বিকৃতভাবে তুলে ধরা। বাংলা ভাষায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হলেও ইংরেজী, হিন্দি, উর্দূ ও ফ্রেন্স ভাষায় এর সাব টাইটেল লিখে আন্তর্জাতিক বাজারে ছাড়া হয়েছে। ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন মডেল কন্যা শতাব্দি।

https://i0.wp.com/www.washingtonbanglaradio.com/images03/bengali-actress-shatabdi.jpg

ব্ল্যাক ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন মডেল কন্যা শতাব্দি

ছবিটি নিয়ে নায়িকা শতাব্দি বলেন:

“ছবির স্ক্রিপ্টে খুবই ভালো লেগেছে আমাকে। শোয়েব চৌধুরী ও তার দলের মত আন্তর্জাতিক মানের টিমের সাথে কাজ করতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের”।

ছবিতে গান গেয়েছেন সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা, আগুন, এস.আই টুটুল, অনিমা ডি কস্তা ও ফকির শাহাবুদ্দিন।

কী আছে এই সিনেমায়?

শান্তিগ্রাম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম। পয়ত্রিশ বছর আগে এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের লোকজন বেশ শান্তিতে বসবাস করত। কিন্তু কয়েক দশক থেকে পুরো গ্রামে ইসলাম পন্থীদের ইসলামী কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মসজিদ মাদরাসার হুজুরদের প্রভাব দিন দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা নিজেরাই শরীয়া আইন চালু করে জনগণের জীবন যাত্রা বিভীষিকাময় করে তুলেছে। মোল্লারা গ্রামের পুরুষদের একাধিক বিবাহে উৎসাহ দিচ্ছে। এভাবে একাধিক স্ত্রী যাদের আছে তারা সেইসব স্ত্রীদের সাথে দাসীর মতো আচরণ করছে এবং সেই একাধিক স্ত্রীদের কৃষিকাজসহ নানা কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু যখন কোন মহিলা অসুস্থ হচ্ছে, তখন তাকে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এই অজুহাতে যে হাসপাতালগুলো শয়তানের আড্ডাখানা যেখানে নারী-পুরুষ পর্দা ছাড়াই অবাধে মেলামেশা করে। গ্রামে মোল্লা ও মাতব্বরদের সমন্বয়ে শরীয়া কমিটি করে দোররা মারাসহ বিভিন্ন শারীরিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিয়মিত। এই গ্রামেই বাস করে কিছু বাউল সম্প্রদায়ের লোক। এরা মূলত: হিন্দু ও সূফী মুসলিম গোত্রের মানুষ। বাউলরা ধর্মের সম্প্রীতির বাণী শুনাতো। গ্রামের উগ্র ইসলামপন্থীদের প্রভাবে তাদের জীবনেও নেমে আসে বিভীষিকা। মোল্লারা তাদের আল্টিমেটাম দেয়, হয় মুসলিম হও না হয় এই এলাকা ত্যাগ কর। এদিকে গ্রামে ইসলামী এনজিওদের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পায়। তারা হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধসহ অন্যান্য অমুসলিমদের ইসলাম গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রলোভন দেয়, ঋণ দেয়। তাতে কাজ না হলে ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। এতেও কাজ না হলে ঐসব অমুসলিম পরিবারের যুবক-যুবতীদের অপহরণ করে জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করে। এভাবে একদিন দেখা যায় যে, গ্রামটি অমুসলিমশূন্য হয়ে গেল। ব্ল্যাক সিনেমায় দেখানো হচ্ছে কিভাবে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া শরীয়া আইন মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে সাথে সাথে সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়কে নির্মূল করছে।

https://i0.wp.com/www.weeklyblitz.net/pics/1170.jpg

শোয়েব চৌধুরীর এই সিরিজ সিনেমাটি যে দেশ ও ইসলাম বিরোধী ভয়ানক প্রোপাগান্ডার অংশ, এতে কোন সন্দেহ নেই। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ ও মুসলিম জনগোষ্ঠিকে হেয় করার জন্য এই জঘন্য ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। ইসলাম সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র একাডেমিক জ্ঞান নেই তার দ্বারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করা কূপমণ্ডুকতার শামিল। তিনি ডাহা মিথ্যা কথা দিয়ে এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। যে সমস্ত তথ্য এ সিনেমাটিতে দেয়া হয়েছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

গত ১২ জানুয়ারী ওয়াশিংটন বাংলা রেডিওতে শোয়েব চৌধুরী তার নির্মিতব্য ব্ল্যাক সিনেমা নিয়ে যে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন তাও মিথ্যা দিয়ে ভরা। তিনি বলেন,

“A secular government came to power in the year 2008 but things really didn’t change much at Bangladesh. Every year almost sixteen thousand Hindu Women in Bangladesh are kidnapped and converted to Islam forcefully. The numbers have not changed in the year 2011 also”.

অর্থাৎ-

“২০০৮ সনে বাংলাদেশে সেক্যুলার সরকার ক্ষমতায় এলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ অবস্থার বাস্তবিক কোন পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশে প্রত্যেক বছর প্রায় ১৬ হাজার হিন্দু মহিলা অপহৃত হয় এবং তারা বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ২০১১ তে এসেও এই সংখ্যা কমেনি মোটেও”।

এর চেয়ে জঘন্য মিথ্যাচার আর কি হতে পারে! সেক্যুলার সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পরিবর্তনের নামে ইসলাম ধ্বংসের মহোৎসবকে আড়াল করা কিংবা এর মাত্রা আরও বৃদ্ধির জন্যই কি তার এ আয়োজন? শোয়েব চৌধুরী কি নির্দিষ্ট করে ঐ প্রত্যেক বছর অপহৃত হওয়া এবং বাধ্য হয়ে মুসলিম হয়ে যাওয়া হিন্দু মহিলার নাম বলতে পারবেন? তারা কোন গ্রামের এবং কোন বাপের সন্তান তার তথ্য কি চৌধুরীর কাছে আছে? বিশ্ব বিখ্যাত পপশিল্পী ক্যাট স্টিভেন (ইউসুফ ইসলাম), টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা লরা বুথসহ উন্নত বিশ্বের লাখো লাখো অমুসলিমকে কোন বাংলাদেশী মুসলিমরা ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করছে?

তিনি এরকম আজগুবি আরো অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন:

The oppression of the religious minorities at Bangladesh continues unabated. There were many incidents of attacks on the Hindu mandirs during the Durga puja, this year. None were reported and the governments at Bangladesh is least bothered to take up the causes for minorities.

তিনি সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করে বলেন:

The purpose of making the film is not at all commercial but to make people aware of what happens with the woman; once she is abducted and converted. The girl’s family is not aware of what the girl goes through after kidnapping. The film tries to answer this and in the process make people aware of the evil of this practice and the suffering of humanity.

শয়তানের ভালো কথার মধ্যে যেরকম শয়তানীতে ভরপুর থাকে; কল্যাণের কিছু থাকে না, তেমনি শোয়েব চৌধুরীও তার দোসরদের নিয়ে বাংলাদেশ ও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম নিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ধর্মদ্রোহী এই কুলাঙ্গারের চোখের সামনে শত শত মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড হলেও তা তার চোখকে স্পর্শ করে না। ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠী যে অবর্ণনীয় দু:খ-কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে তা নিয়ে তিনি কি কোনদিন ভেবেছেন? সভ্যতার এই চরম উৎকর্ষের যুগে গুজরাটে কয়েক হাজার মুসলিমকে পুড়িয়ে মারলেও চৌধুরীদের রক্ত পিপাসা মেটে না, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে আরেক গুজরাট বানাতে চান। বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়াকে অসাম্প্রদায়িক(?) চৌধুরী সাহেব কী বলবেন? কাশ্মীর, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, ইরাকে প্রতিদিন শতশত নর-নারী যে নির্মমতার শিকার হয় তা কি এই বিকৃত মস্তিস্কওয়ালা বিপথগামী সাংবাদিককে কখনো ব্যাথিত করে? জারজ রাষ্ট্র ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনী নাগরিকদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে, নারীদের ধর্ষণ করে, শান্তির জনপদকে অশান্ত করে, অবরোধ করে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নষ্ট করে তখন তা নিয়ে চৌধুরী সাহেব সিনেমা তৈরী করেন না কেন? বসনিয়া, কসোভোর কসাইদের নিয়ে তার কেন মাথা ব্যথা নেই? ইসলামবিরোধীচক্র বিশেষত ইসরাইলের পালকপুত্রের কাছে ওগুলো কোন অন্যায় নয়। ওগুলোর বিরুদ্ধে বললেতো আর প্রভূদের থেকে ভিক্ষা পাওয়া যাবে না!

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে কারা উপজাতীয়দের খ্রীষ্টান বানায় তা সবাই জানে। শুধু তাই নয় অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে মুসলমান বালক-বালিকাদেরকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ আছে। স্কুলে বালক-বালিকাদের চোখ বন্ধ করে চকলেট দিয়ে আবার চোখ খোলার পরে জিজ্ঞেস করা হয় কে এই চকলেট দিল? সবাই যখন উত্তর দেয় ম্যাডাম দিয়েছে; তখন তাদেরকে চোখ বুজে আল্লাহর কাছে চকলেট চাইতে বলা হয় এবং চকলেট না পাওয়া গেলে বলা হয় আল্লাহ বলতে কিছু নেই। কিন্তু এসব দৃশ্যকে এড়িয়ে গিয়ে ইসলামী এনজিওর বিরুদ্ধে সর্বৈব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যে সিনেমা বানানো হলো তা এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করবে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ম্যাসেজ যাবে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলসহ অন্যরাষ্ট্রগুলো আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হবে। চৌধুরী সাহেব জিহাদের কি বোঝেন? জিহাদ মানে যুদ্ধ ও হত্যা নয়। জিহাদ অর্থ হচ্ছে- জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মুসলিমকে ইসলামের উপর টিকে থাকার চেষ্টা করা। নফস, শয়তান ও তাগুতের বিপক্ষে সত্যের পক্ষে অটল থাকার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার নাম জিহাদ। জিহাদ হচ্ছে- ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জান মাল ও সবকিছু দিয়ে একান্ত চেষ্টা করা। হিজাব নারীর অলংকার। এটি নারীকে শোয়েব চৌধুরীর মত শয়তানদের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। হিজাব কখনো নারীর কোন অধিকারকে ক্ষুন্ন করে না। তবে হ্যাঁ হিজাব চৌধুরী সাহেবদের মতো ভোগবাদীদের লাম্পট্যকে বাধাগ্রস্থ করে।

ইসলাম পুরুষের চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য বিবাহের ব্যবস্থা করেছে। প্রয়োজন হলে শর্ত সাপেক্ষে একসাথে চারটি বিয়ের অনুমতিও দেয়া হয়েছে। তবে ইসলামের শর্ত মেনে একসাথে চারজন স্ত্রী ঘরে রাখা মোটামুটি অসম্ভব। শোয়েব চৌধুরী মূলত: বহু বিবাহের নামে ইসলামের বিবাহ নামক পবিত্র প্রথাকে বিলোপ করার চেষ্টা করছেন। ঘরে বৈধ বৌ থাকলে যে অবাধে নাইট ক্লাবে গমন, বহু নারীর সংস্পর্শ পাওয়া খুব কঠিন তা তিনি ভালো করে জানেন বিধায় বিবাহ উচ্ছেদের এই পরিকল্পনা। তার আরেক দোস্ত তসলিমা নাসরিন তার এক বইতে চৌধুরীর মতো বাবার বয়সী প্রগতিশীল পুরুষদের মহৎ(?) চরিত্রের বয়ান লিখে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের আরেক দিকপাল তার মেয়ের বান্ধবীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে সকল লাজ লজ্জা ফেলে বিয়েই করে ফেললেন। আরেক বিখ্যাত বৃদ্ধ কবির (এখন মরহুম) কাছে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা রাত যাপন করার আবদার করতেন এবং তা তিনি ফেলতে পারতেন না তার মহত্বের গুণে। শোয়েব চৌধুরী কি বলতে পারবেন বাংলাদেশের কোন কোন মোল্লা একাধিক স্ত্রী রেখে তাদেরকে দিয়ে কৃষি কাজ করান? কোন মোল্লার বউ চিকিৎসার অভাবে ঘরে বসে মারা গেছেন? অবশ্য অভাবগ্রস্থ সাধারণ বাংলাদেশীদের অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যেতে পারেন, সেটি কোন বিশেষ গেষ্ঠির জন্য নির্দিষ্ট নয়। তিনি যে কাল্পনিক শান্তিগ্রামের কথা বলেছেন সে রকম কি কোন বাস্তবিক গ্রামের অস্তিত্ব এদেশে আছে?

বাংলাদেশে আবহমান কাল ধরে হিন্দু, খ্রীষ্টান, উপজাতি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে মুসলমানদের যে সদ্ভাব বিদ্যমান আছে তার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। এদেশে উপজাতির জন্য সরকারীভাবে কোটা পদ্ধতি চালু আছে। হিন্দুরা এদেশে মন্ত্রিত্ব করছে, এম.পি হচ্ছে। পুলিশ অফিসার, ডিসি, এসপিসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে হিন্দুদের উপস্থিতি কম নয়। বরং কখনো কখনো তাদের ভাব দেখলে মনে হয় না তারা এদেশে সংখ্যালঘু। তারপরও শোয়েব চৌধুরীর হিন্দুদের নিয়ে যে এত উদ্বেগ তার পিছনে রহস্য কি? তিনি শুধু সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলে সংখ্যাগুরু নির্যাতনের বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মিশর, তিওনিসিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুগের পর যুগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠি সেক্যুলার শক্তির দ্বারা নির্যাতিত হলেও ওদিকে তাকানোর সুযোগ চৌধুরীর নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হলেও বাংলাদেশেও আজ কী ঘটছে? গুটিকয়েক নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের ক্ষমতার দাপটে ইসলামী চেতনা, ইসলামী শিক্ষা, ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী সংগঠন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস ও চেতনার প্রতীক মাহমুদুর রহমানরা আজ বন্দীশালায় ধুকেধুকে মরছে, আর তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সাংবাদিক তৌহিদী জনতার চোখে ধুলা দিয়ে বাংলাদেশে বসেই ইসলামের বিরুদ্ধে ছবি নির্মাণ করে তামাশা দেখছে! এরা মূলত সংখ্যালঘুর দোহাই তুলে সংখ্যাগরিষ্ঠকে নির্মূলের আয়োজন করছে। পরিসংখ্যান বলছে, যে এলাকায় মাদরাসা বেশী সেই এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা বেশী। সে এলাকায় তুলনামূলকভাবে অপরাধ সংঘটিত কম হয়। সারাদেশে এত ইভটিজিং, নারী-ধর্ষণ, এসিড সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতন কারা করছে? ঐসব ঘটনায় কয়জন মাদরাসার ছাত্র জড়িত? রেকর্ড বলছে মাদরাসার ছাত্ররা এসব কাজে জড়িত নেই বললেই চলে। তারপরও মাদরাসার বিরুদ্ধে এত বিষোদগার কেন? কারণও সবার জানা। হান্টিংটনের গবেষণায় আগামী শতাব্দীতে পাশ্চাত্যের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমান। অতএব বিভিন্ন ছলনায় এদেরকে নির্মূল করা চাই। বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধন করতে তথাকথিত মুসলিম সহযোদ্ধাদের বিকল্প নেই। শোয়েব চৌধুরীরাতো ঐ দলেরই গর্বিত সদস্য।

যাইহোক ব্ল্যাক ছবিতে শোয়েব চৌধুরী যে বিষয়গুলোর অবতারণা করেছেন তার সাথে বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা ছাড়া বাস্তবতার কোন মিল নেই। শুধুমাত্র বিকৃত মস্তিস্ক সম্পন্ন বিবেকহীন নির্বোধ দিয়েই এরকম বাস্তবতা বিবর্জিত দেশ ও ইসলাম বিরোধী ছবি নির্মাণ করা সম্ভব। গত ১লা বৈশাখ তিনি ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় জনতাকে তার এই হীন প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে। দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল অপতৎপরতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ তারা যেন এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্ল্যাক সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে দেশ ও ইসলামের ভাবমূর্তি রক্ষায় এগিয়ে আসেন।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

 

 http://www.sonarbangladesh.com/articles/MuhammadAminulHaque
 

সূত্রঃ

https://i0.wp.com/www.sonarbangladesh.com/images/sbheader_village_sun.jpg

 

নীতিহীন সংবাদপত্রঃ দেশ জাতি রাষ্ট্রের স্বার্থ উপেক্ষিত যেখানে

মুহাম্মদ আমিনুল হক

‘সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ’, ‘সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ’, ‘সংবাদপত্র গণতন্ত্রের অন্যতম হাতিয়ার’ এরকম অনেক কথাই দেশে দেশে প্রচলিত। এ কথাগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশ, জাতি, রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের কল্যাণে সংবাদপত্রের অনবদ্য ভূমিকার কারণে। সংবাদপত্রের কল্যাণে অনেক রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। স্বৈরতন্ত্র বিদায় করে পেয়েছে গণতন্ত্রের স্বাদ। জালিম সরকারের মসনদ প্রকম্পিত হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সমাজের প্রায় প্রত্যেকটি খাতের উন্নয়নে অবদান রেখেছে এই সংবাদপত্র।

কিন্তু সময়ের আবর্তে সংবাদপত্রের ঐসব সোনালী ইতিহাস মুছে যেতে বসেছে এক শ্রেণীর নীতি বিবর্জিত, স্বার্থান্বেষী, নষ্ট সংবাদপত্রের কারণে। যাদের কাছে নীতি নৈতিকতার কোন মূল্য নেই। নেই দেশীয় স্বার্থের কোন মূল্য। ব্যক্তি, দল ও কোম্পানীর গোলামী করাই এদের মূল কাজে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ পত্র-পত্রিকা পড়ে কোন মানুষের পক্ষে সত্য তথ্য উদঘাটন করা প্রায় অসম্ভব। বিশ্বব্যাপী তথ্য সন্ত্রাসের ঢেউ বাংলাদেশী মিডিয়ায়ও লেগেছে দারুণভাবে। এখানে নিউজ হয় সিন্ডিকেটেড। নিজস্ব মতাদর্শের বাইরে অন্য মতাদর্শের পজিটিভ কোন নিউজ সেটা যত বড় হোক না কেন সাংবাদিকদের চোখে তা তো পড়েই না বরং তাদেরকে দেশ-জাতির কাছে ছোট করার সর্ব রকম প্রচেষ্টা থাকে প্রতিনিয়ত। তবে এরা নিজ মতাদর্শের ব্যাপারে একশত ভাগ কমিটেড। তাদের পন্থী একটি ইঁদুরেরও কিছু হলে তা নিয়ে তাদের মাতামাতির শেষ থাকে না। একটি নন ইস্যুকে ইস্যু বানানো আবার ইস্যুকে নন ইস্যু বানানো তাদের পক্ষে কোন ব্যাপারই না।

সংবাদপত্রের এই নীতিহীন পথচলার কারণে আমাদের জাতীয় স্বার্থ আজ হুমকির মূখে, সাম্রাজ্যবাদ আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, গণতন্ত্র বিদায়ের পথে ও অপশক্তিরা সবখানে তাদের আসন পাকাপোক্ত করছে। শুধু কি তাই? সংবাদপত্রের চরম আদর্শহীনতার কারণে খোদ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বার্থ পর্যন্ত থাকছে উপেক্ষিত। সংবাদপত্র জগতের এমন দেউলিয়াত্ব দেখে দেশপ্রেমিক হিসেবে চরমভাবে লজ্জিত ও শঙ্কিত হই। কেননা যেখানে সংবাদপত্রের এমন দূর্দশা হয়; যেখানে কেউ সত্য জানতে পারে না, সেখানে মানবতা ও গণতন্ত্রের নিশ্চিত মৃত্যু ঘটে। নিম্নের কয়েকটি বিষয়ে আমাদের সংবাদপত্রগুলোর অবস্থান বিশ্লেষণ করলে যে কোন বিবেকবান পুরুষ হতভম্ভ হবেন।

১৬ ই জুন সংবাদপত্রের কালো দিবসঃ

জানার কোন সাধ্য নেই: ১৬ ই জুন ফজরের নামাজ আদায় করেই প্রত্যেকদিনের মত ইন্টারনেটে পত্রিকা ঘাটতে শুরু করলাম। এই দিনটি সংবাদপত্র জগতের বিশেষ দিন হওয়াতে কোন পত্রিকা কিভাবে নিউজ করে সেটা দেখার মানসে খুব মনেযোগ সহকারে ইত্তেফাক, ইনকিলাব, প্রথম আলো, সমকাল, যুগান্তর, কালের কন্ঠ, সকালের খবর, সংগ্রাম, আমার দেশ ও নয়া দিগন্তসহ প্রায় সব জাতীয় পত্রিকা ঘাটাঘাটি করতে থাকলাম। সংবাদপত্রের কালো দিবসের সংবাদ তালাশ করতে গিয়ে অধিকাংশ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত কোন নিউজ দেখতে পেলাম না। এতে খুব একটা বিরক্ত ও রাগান্বিত হইনি। কারণ দুটি। এক: পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমি আগ থেকেই ধরে নিয়েছিলাম যে, গণতন্ত্রের ফেরীওয়ালারা ও বর্তমান সরকারের চরম গোলামেরা এ সম্পর্কে মনের ভুলেও কোন খবর ছাপাবে না। দুই: তবে এতটুকু আত্মবিশ্বাস ছিল যে, অন্তত দু একটি পত্রিকা এ সম্পর্কে জাতিকে খবর না দিয়ে পারবে না; যারা দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশী মূল্য দেয়। আমার অনুমান মিথ্যা হয়নি। ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে একমাত্র আমার দেশ পত্রিকা বিশেষ সংখ্যা বের করে এ সম্পর্কে আদ্যোপান্ত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। প্রথম পাতায় গুরুত্ব সহকারে খবর ছাপা হয়েছে। সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়তেও বিষদভাবে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। নয়া দিগন্ত কোন বিশেষ আয়োজন না করলেও কালো দিবসের খবর, সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়তে বিষয়টি তুলে ধরেছে।

https://i0.wp.com/www.amardeshonline.com/img/amardesh.png

https://i0.wp.com/www.dailynayadiganta.com/images/logo.gif

তবে বিস্মিত হয়েছি চটকদার চটকদার শ্লোগানওয়ালা প্রগতিশীল পত্রিকাগুলোর নির্লজ্জ নিশ্চুপতা দেখে। ১৯৭৫ সনের ১৬ ই জুন মাত্র চারটি পত্রিকা সরকারের বগলের তলায় রেখে বাকী সংবাদপত্রগুলোকে মুহূর্তেই কবর দেয়া হল; অসংখ্য সাংবাদিকের জীবনে নেমে আসল চরম অনিশ্চয়তা; গণতন্ত্রের প্রধান হাতিয়ারকে ধ্বংস করা হল অথচ এ সম্পর্কে নব প্রজন্মকে এতটুকু জানানোর কোন দায়বোধ তাদের মধ্যে জাগ্রত হল না। দল ও স্বার্থের কাছে যারা বিবেক বিক্রি করে তারা কিভাবে এ খবর জাতিকে জানাবে? এ তো লজ্জার খবর। এই খবর জানালে তো আওয়ামী লীগের বদনামী হয়ে যায়। এ কি করে সম্ভব? সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছি ইত্তেফাকের অবস্থা দেখে। তৎকালীন সময়ে ইত্তেফাক পত্রিকার ওপর থেকেও কম ঝড় যায়নি; অথচ পত্রিকাটি এখন একদম চুপ। নিজ মতাদর্শের গোলামী এখন এমন পর্যায় পৌছে গেছে যে, পত্রিকার সাংবাদিকদের উপর আঘাত আসলেও তা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট পত্রিকাটি।

https://i0.wp.com/new.ittefaq.com.bd/addons/themes/ittefaq/img/logo.jpg

স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। পত্র-পত্রিকা হচ্ছে স্বাধীন মত প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। সেই প্রধান মাধ্যমটির অস্তিত্ব বিলীন হলে তো গণতন্ত্র কল্পনা করা যাবে না। রক্ষা হবে না দেশীয় স্বার্থ। অতীব দু:খের বিষয় হচ্ছে- আমাদের সংবাদপত্রগুলো তাদের নিজ স্বার্থ রক্ষা করতে চান না। তারা জাতিকে অতীতের কঠিন ইতিহাস মনে করিয়ে বর্তমানেও যাতে এমন বিপদে পড়তে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করতে চান না। তাদের এই হীন মানসিকতার কারণেই চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করতে পেরেছে সরকার। যমুনা টেলিভিশনের পরীক্ষামূলক সম্প্রচারও বন্ধ হয়েছে। দৈনিক আমার দেশকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। অসংখ্য সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

ভারতকে ভূমি হস্তান্তরের খবরঃ

পত্রিকায় খবর নেই: আমাদের বাংলাদেশে দেশ প্রেমিকের অভাব নেই। মিছিল মিটিং ও শ্লোগানে দেশ নিয়ে কত কথা। ‘এক ফোটা রক্ত থাকতে দেশের এক ইঞ্চি মাটিও অন্যকে দখল করতে দেব না’, ‘দেশের জন্য জীবন দেব‘, ‘দেশকে মায়ের মত ভালবাসি’ ইত্যাদি বাক্য শুনতে শুনতে তো আম জনতার কান ব্যথা হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা উল্টা। দেশ নিয়ে ভাবেন এ রকম মানুষ খুবই কম। গত ২১ জুন দৈনিক আমার দেশনয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতায় যথাক্রমে “সিলেট সীমান্তে জনতার প্রতিরোধে এবার রক্ষা পেল ৫০ একর জমি” “জনতার প্রতিরোধ :

গোয়াইনঘাটে বাংলাদেশের ভূমি আবার ভারতের হাতে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া ভন্ডুল”। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জনগণকে না জানিয়ে গোপনে ভারতকে বাংলাদেশের জমি হস্তান্তরের খবর যেকোন বিচারে লিড নিউজ পাওয়ার দাবী রাখে। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি রক্ষার দায়িত্ব নিশ্চয়ই সরকারের। তাদের রয়েছে সেনা বাহিনী, রয়েছে বর্ডার গার্ড। সরকারের দায়িত্ব হীনতায় কিংবা তাদের মদদে যখন দেশের মাটি ভারত কেড়ে নিচ্ছেলো তখন দেশ প্রেমিক জনতার প্রতিরোধে তা ভন্ডুল হয়ে যায়। এ সময় উচিত ছিল আমাদের জাতীয় মাধ্যমগুলোতে এ সম্পর্কে লিড নিউজ করা। তাহলেই বোঝা যেত সংবাদপত্রগুলো দেশকে ভালবাসে, দেশ রক্ষায় তাদের কত আন্তরিকতা। কিন্তু বিস্ময়করভাবে প্রায় সকল জাতীয় পত্রিকায় এ সম্পর্কে কোন নিউজ দেয়া হয়নি। অথচ ঐ দিন ভারতীয় সেনা প্রধানের নিউজ সকল পত্রিকার প্রথম কিংবা শেষের পাতায় ছাপা হয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় সেনা প্রধানের খবর আমাদের জাতীয় স্বার্থের খবরের চেয়ে বড় হয়ে দাড়িয়েছে। যারা দেশ রক্ষার প্রহরী হিসেবে পরিচিত; সেই সংবাদপত্র যদি সরকারের দেশ বিরোধী গোপন তৎপরতা সম্পর্কে জনগনকে সজাগ করতে না পারেন তাহলে এরচেয়ে দূর্ভাগ্য আর কী হতে পারে?

https://i0.wp.com/www.bdinn.com/wp-content/uploads/2011/06/bangladeser-songay-bharo.jpg

https://i0.wp.com/29.media.tumblr.com/tumblr_ljrggiRgA61qelvyvo1_500.jpg

জাতীয় চেতনার প্রতীক নজরুল উপেক্ষিত আমাদের সংবাদপত্রে: কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। কালজয়ী ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ যেমনিভাবে তাঁর সাহিত্য দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন; তেমনিভাবে ধন্য করেছেন তাঁর দেশপ্রেম, সততা, মানবতাবোধ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চেতনা দিয়ে। তাঁর লেখনীতে দেশের কথা, গরিবের কথা, জালিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা, মানুষের মনে সাহস যোগানোর কথা ও সাম্যের কথা ফুটে উঠেছে সাবলীলভাবে। কিন্তু আমাদের জাতীয় এ সম্পদ উপেক্ষিত এদেশের মিডিয়া জগতে। নজরুলকে নিয়ে ততটা মাতামাতি নেই যতটা আছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। আমাদের দেশে এ বছর রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যত মাতামাতি হয়েছে তার সিকিভাগও হয়নি তার নিজভূমে। রবীন্দ্রনাথের জন্মসার্ধশত বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় লিড নিউজের শিরোনাম ছিল ‘রবীন্দ্রময় দেশ’। নি:সন্দেহে কবি রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি কিন্তু তাঁকে নিয়ে যে স্তুতি গাওয়া হয় তা কি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে না? বিশেষ করে জাতীয় কবিকে উপেক্ষা করে যখন এটা করা হয় তখন তো তা বেশ বেমানান লাগে বৈ কি? আমাদের গুণীজনকে আমরা যদি মূল্যায়ন না করতে পারি তাহলে অন্যরা করবে কিভাবে? কিন্তু আমাদের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম বিষয়টি ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক এড়িয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা দেশত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে। পত্রিকাটি এ বছরের মে মাসের শেষ ১৫ দিন প্রথম পাতায় বাম পাশে এক কলাম জুড়ে ‘চির উন্নত মমশীর’ নামে ধারাবাহিকভাবে নজরুলের উপর বিজ্ঞজনদের লেখা ছাপিয়েছে। দৈনিক আমার দেশের সাহিত্য সাময়িকীতেও গুরুত্বের সাথে নজরুলকে তুলে ধরা হয়েছে। নজরুলকে তুলে ধরতে গিয়ে পত্রিকাটি রবীন্দ্রনাথকেও ভুলে যায়নি। যথাযথ মর্যাদায় তাঁর সম্পর্কে নিউজ কভার করেছে পত্রিকাটি।

দুটি বর্বরতাঃ

একটির খবর আসে আরেকটির খবর আসে না: দুটি জঘন্যতম বর্বরতার ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশে। একটি হল- ২০০৪ সনের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনা। আরেকটি হল- ২০০৬ সনের ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি বৈঠা দিয়ে প্রকাশ্যে জীবন্তমানুষ হত্যা করার ঘটনা। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত বিধায় বাস্তব কারণেই বর্তমান সরকার এ বিষয়ে কোন বিচার-আচার করবে না, এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে, যেখানে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই সেখানে ঐ ঘটনার ন্যায় বিচার কল্পনা করা যায় না। কিন্তু পত্রিকাগুলো তো আর সরকার নয় কিংবা কোন পক্ষের নয়। তাদের কাজ সমাজের সকল ন্যায় অন্যায় মানুষের সামনে তুলে ধরা। মানবতার খাতিরে বিরোধী কেউ হলেও তাকে এড়িয়ে না চলা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের জাতীয় পত্রিকাগুলো ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম ঘটনাকে সম্পূর্ন এড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ তারও দু’বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের আরেক বর্বরতাকে নিয়ে পত্রিকাগুলোর বিস্তর লেখালেখি চলছে এখনো। এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০১০ সনের ২৮ অক্টোবর দৈনিক আমার দেশ, নয়া দিগন্ত ও সংগ্রাম ছাড়া আর কোন জাতীয় পত্রিকা পল্টনের বর্বরতার কোন নিউজ করার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি। অথচ আওয়ামী সরকারের ঘোর সমালোচক পত্রিকাসহ সকল পত্রিকা ২০০৪ সনের ২১ আগস্টের খবর গুরুত্বের সাথে ছাপিয়েছে। কোন কোন পত্রিকা একাধিক লিড নিউজ, কভার স্টোরি ও ফলোআপ রিপোর্ট করেছে। সংবাদপত্র নাকি সমাজের দর্পণ? সমাজের সকল সত্য ঘটনা তুলে ধরা নাকি সংবাদ পত্রের কাজ? তাহলে একটি ঘটনাকে হাই লাইট অন্য ঘটনাকে ডিম লাইট করার উদ্দেশ্য কী? মানবতাও কি বর্ণ, গোত্র ও দলের কাছে বন্দি হয়ে গেল? তাই যদি হয় তাহলে ‘অসংকোচ প্রকাশের দূরন্ত সাহস’, ‘আংশিক নয় পুরো সত্য’, ‘পনের কোটি মানুষের জন্য প্রতিদিন’ ‘Your right to know’ ইত্যাদি মিথ্যা শ্লোগানের আশ্রয় নেয়ার দরকার কি? জাতির সাথে এ ধরনের প্রতারণা আর কতদিন চলবে?

আমাদের জাতীয় পত্রিকাগুলোর নৈতিকতা নিয়ে এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যাবে। সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র লীগ যে অস্ত্রবাজি, মারামারি, হত্যা ও লুট করছে তা ঐসব প্রগতীশীল পত্রিকার নজরে সন্ত্রাসী কিংবা জংগিবাদী কার্যক্রম হিসেবে পরিগণিত হয় না; কিন্তু ইসলামী সংগঠনগুলোর নিছক মিছিল মিটিংকে ঠিকই তারা সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গী কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত করতে কুন্ঠাবোধ করে না। কয়েকদিন পর পর ঢাবি, চবি, জাবি, ইবি ও রাবিতে ছাত্রলীগের নিয়মিত অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। সর্বশেষ রাবির এক হল থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের রুম তল্লাশি করে ব্যাপক অস্ত্র উদ্ধার হলেও এ নিয়ে মিডিয়ার চোখ প্রায় অন্ধ। গদ বাধা ও দায়সারা কিছু সংবাদ প্রকাশ করেই ক্ষ্যন্ত। অথচ এই একই মিডিয়া রাজশাহীতে ফারুক হত্যাকান্ডের পর একের পর এক আজগুবি ও মিথ্যা রিপোর্ট করে সরকারের মাথা খারাপ করে ফেলেছিল। সারাদেশে শুরু হয়েছিল শিবির নিধন কর্মসূচী। দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানই কেবল ঝুঁকি নিয়ে মানবতার পক্ষে কলম ধরেছিলেন। তিনি ‘ওরা মানুষ নয় শিবির’ নামে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখে সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।

সংবাদপত্রের এই দেউলিয়াত্ব দেখে আমরা দেশ প্রেমিক জনতা খুবই শঙ্কিত। কেননা যেখানে সরকারের কোন নীতি নৈতিকতা নেই, বিচার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, প্রশাসনের বেহাল দশা সেখানে যদি সংবাদপত্রও বিলীন হয়ে যায় তাহলে আমাদের সাগরের অতল গহবরে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। সংবাদপত্র যদি সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ আর অগণতান্ত্রিক শক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে তাহলে এদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না এ কথা হলফ করে বলা যায়। আমরা তাই সকল সংবাদপত্রকে অনুরোধ করছি- আপনারা দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নিউজ করুন। সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগনের পাশে দাঁড়ান। দলীয় গোড়ামীর উর্ধ্বে উঠে সকলের জন্য কাজ করুন। কোন অপশক্তি আপনাদের ক্ষতি পারবে না।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

http://www.sonarbangladesh.com/articles/MuhammadAminulHaque
 

সূত্রঃ

https://i0.wp.com/www.sonarbangladesh.com/images/sbheader_village_sun.jpg

 

কতিপয় সংবাদপত্রের হলুদ সাংবাদিকতা!!

সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সমাজের যে কোন অন্যায় কর্মকান্ড সাংবাদিকরা তুলে আনেন নিখুতভাবে। সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভও বলা হয়। সমাজ পরিবর্তনে সংবাদপত্রের ভূমিকাও অনবদ্য।

কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে কিছু কিছু সংবাদপত্র মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তারা কখনো কখনো প্রকৃত সংবাদকে উল্টা করে উপস্থাপন করে। আবার কখনো কখনো সত্যর সাথে আংশিক মিথ্যা লাগিয়ে পরিবেশন করে। আবার কখনো কখনো সত্য সংবাদটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যার মাধ্যমে তারা তাদের মতাদর্শগত ফায়দা লুটে এবং সমাজের বিশাল অংশের কাছে ভুল ম্যাসেজ প্রদান করে। এর পরিণতি ভাল হয় না। সমাজে ভুল বোঝাবুঝি তৈরী হয়। কিছু মানুষ এদের চাতুরতা ধরতে পারলেও তারা কিন্তু আম জনতাকে সত্য খবর পৌছে দিতে পারে না। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়।

যাই হোক, কোন সংবাদকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করাকে আমরা হলুদ সাংবাদিকতা বলি। আমি ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি পোস্টে আমাদের দেশের পত্রিকাগুলোর হলুদ সাংবাদিকতার কিছু নমুনা পেশ করব।

আজকে একটি বিষয় শেয়ার করছি

 

প্রথমে এই খবরটি পড়ুন:

এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে দেশে পাঁচ হাজার ৮৩৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০১১ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ওখানে আরো জানানো হয় যে, ৫৮৩৯ টি নারী নির্যাতনের মধ্যে ৫৪ টি ফতোয়ার ঘটনাও ছিল।

এই সংবাদটি সংবাদপত্রে স্বাভাবিকভাবে এভাবে শিরোনাম হতে পারে-
‘সারাদেশে গত দশ মাসে ৫৮৩৯ টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা’
অথবা
‘দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক’
অথবা
‘বেড়েই চলছে নারী নির্যাতন: সারাদেশে গত দশ মাসে ৫৮৩৯ টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে’

কিন্তু দেখুন প্রথম আলো সংবাদটিকে কিভাবে কভার করেছে! তারা আসল খবরকে পাশ কাটিয়ে ঐ সংবাদের ক্ষুদ্র একটি অংশকে শিরোনাম করেছে এভাবে:

মহিলা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, ১০ মাসে ৫৪টি ফতোয়া

এরপর প্রথম আলো ফতোয়া নিয়েই পুরো রিপোর্টটিই তুলে ধরে। ৫৮৩৯ টি নারী ও শিশু নির্যাতনের মধ্যে ৫৪টি ফতোয়ার ঘটনা অতি সামান্য। প্রথম আলো ৫৭৮৫ ঘটনা তাদের কাছে বড় নয়, বড় হচ্ছে- ৫৪!!!

এখন দেখুন কালের কন্ঠ কিভাবে রিপোর্টটি করেছে। তাদের শিরোনাম দেখুন

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য, ১০ মাসে ৫৮৩৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা

কালের কন্ঠে ফতোয়ার ঐ ৫৪টি ঘটনার কোন কথাই উল্লেখ করা হয়নি।

কোন পাঠক যদি প্রথম আলোর রিপোর্টটি পড়ে তাহলে তিনি অবশ্যই বিভ্রান্ত হবেন। তিনি ফতোয়াবাজির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হবেন। এবং আলেম ওলামাদের উপর ক্ষিপ্ত হবেনকেননা ফতোয়াবাজি আসলে গ্রামের অশিক্ষিত মোড়লরা করলেও ঘটনাগুলিকে একদল বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক বন্ধুরা আলেমদের কাজ বলে তাদের বিরুদ্ধে ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন।

এভাবেই চলে হলুদ সাংবাদিকতা। সমাজ বদলে যায়। বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা ওদের খপ্পরে পড়ে নিজেদেরকে বদলে ফেলে………………..
এক সময় একে অপরকে দেখলে ওরা সালাম দিত। এখন ওরা সালাম দেয় না; হাই, বাই, টাটা শব্দগুলো এখন সালামের জায়গা দখল করেছে।
আগে ছোটরা বড়দের সমীহ করত। বাসে কোন বৃদ্ধ ওঠলে ছোটরা জায়গা করে দিত। এখন ওরা নিজেদের অধিকার বোঝে। বুড়াদের পছন্দ করে না। তাদের জায়গা এখন বৃদ্ধাশ্রম!!!!!
আগের ছেলে মেয়েরা ইসলাম না মানলেও ইসলামের প্রতি তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা ছিল প্রবল। এখন ওরা ইসলামের নামও শুনতে পারে না। ইসলামের বিধি-বিধানকে ওরা ভাবে বর্বর আইন।
আগেরকার ছেলে মেয়েরা প্রেম-ভালবাসা বলতে কিছু বুঝত না। এখন ওরা লিভ টুগেদার বোঝে। বিয়ের আগে ‘ইয়ে নাকি বিয়ের পরে ইয়ে’ এ নিয়ে এখন টক শো হয়। পত্রিকায় পাতায় বিতর্কের ঝড় ওঠে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখন ওরা যুবক-যুবতীরা কোলাকুলি করে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেয়। এটাই ওদের কাছে প্রগতীশীলতা। যারা এগুলো করে না তারা পিছিয়ে পড়া মানুষ, সেকেলে।
নারীরা পর্দা করবে কেন? পর্দা যে প্রগতীর অন্তরায়!!!
ইসলামের খাটি অনুসারীরা মিছিল করলেই সেটি জঙ্গি মিছিল হয়। অস্ত্র হাতে দামাল ছেলে রাস্তাঘাটে খুন খারাবি আর মাস্তানী করলে সেটা জঙ্গিপনা হয় না।
নারীরা এখন অনেক স্বাধীন। ওরা মডেলিং করে। নাটক করে ছি:নেমা করে। আদৃতার মত হারিয়ে গেলেও ওদের কিছু হয় না। ওদের কাছে পবিত্রতা আর স্বতিত্বের এখন কোন মূল্য নেই। যে কোন মূল্যে এগিয়ে যেতে হবে।
যিনা ব্যাভিচার, পতিতাবৃত্তি এখন কোন অন্যায় নয়। ওরা এখন আন্দোলন করছে পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি ও অধিকার আদায়ের!!!

প্রিয় বন্ধুরা!
চোখ কান খোলা রাখুন। সত্যের পথে থাকুন। সত্য জানার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুনঃ

 

সূত্রঃ

https://i0.wp.com/www.sonarbangladesh.com/blog/images/sbblogheader_village_2.jpg

বিজয়ের মাসে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে ভারতীয় ছবি

বিপুল হাসান
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘এ যে ভারি রঙ্গ যাদু, এ যে ভারি রঙ্গ’, রঙ্গ নয়তো কী ! বেছে বেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকেই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় ছবি মুক্তি চুড়ান্ত করা হলো? একে তো স্যাটেলাইটের কল্যাণে বোকা বাক্সে অবাধে দেখানো হচ্ছে ভারতীয় ছবি। এবার ধুঁকতে থাকা চলচ্চিত্র শিল্পকে বিজাতীয় করার আকাঙ্খায় প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় ছবি প্রদর্শণের পাঁয়তারা, তাও মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই।

সকল যুক্তি-আপত্তি তুচ্ছ করে চলতি বছরের জুলাইতে আইনের ফাঁক দিয়ে দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে প্রদর্শনের জন্য আমদানি করা হয় তিনটি ভারতীয় ছবি। ‘জোর’, ‘সংগ্রাম’ ও ‘বদলা’ নামের এ তিনটি ভারতীয় বাংলা ছবি বেশ কয়েকদিন আগে পেয়েছে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ডিসেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে ছবি তিনটি একে একে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এইসব ছবির আমদানীকারক ও এজেন্টরা ভারতীয় ছবিগুলো মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সঙ্গে এখন শেষ মুহূর্তের কথাবার্তা বলছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও যশোরের অভিজাত কয়েকটি সিনেমা হলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভারতীয় বাংলা ছবি ‘জোর’ মুক্তি দেওয়ার জন্য বুকিং দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় ছবি প্রদর্শণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমদানীকারক ও পরিবেশকরা আরো ৯টি ভারতীয় ছবি আমদানীর প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। একই আইনের আওতায় অনাপত্তি পত্র পাওয়ার যোগ্য বলিউডের সুপারহিট ছবিগুলোর মধ্যে আছে দিলওয়ালা দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গম, কাভি আল বিদা না কেহনা, মাই নেম ইজ খান, ওম শান্তি ওম, থ্রি ইডিয়টস ও দাবাং।

ভারতীয় ছবি আমদানী ও প্রদর্শনের ব্যাপারে শোনা যায়, নানা মুনির নানা মত। সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক, প্রায় ৩৯ বছর পর কোন প্রক্রিয়ায় ছবিগুলো দেশে এসেছে এবং প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যেভাবে ভারতীয় ছবি আমদানী হলো

Flim

দেশীয় চলচ্চিত্রের স্বার্থ রক্ষায় স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় ছবি প্রদর্শন নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় ছবি আমদানি ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয ছবি প্রবেশের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি নীতিমালার বাধা নিষেধ তুলে নেয়। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশীয় চলচ্চিত্রের পরিচালক-প্রযোজক ও শিল্পী-কলাকুশলীরা প্রবল আপত্তি জানান এবং আন্দোলন গড়ে তোলেন। চলচ্চিত্রশিল্পী, কলাকুশলী ও  নির্মাতাদের এই আপত্তির মুখে সরকার ভারতীয় ছবি আমদানির ওপর পুনরায় বিধিনিষেধ আরোপ করে।

সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমদানিকারক ও প্রদর্শকরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন জানান। আদালতের নির্দেশে উল্লেখিত সময় যেসব ছবি আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়, সেসব ছবিকে তথ্য মন্ত্রণালয় অনাপত্তিপত্র দেয়। এই অনাপত্তিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় তিনটি ভারতীয় বাংলা ছবি আমদানী করা হয়। পরবর্তীতে ছবি তিনটি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর এখন এগুলো মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগেই ঋণপত্র খোলার অজুহাত দেখিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আরো ৯টি ভারতীয় ছবি আমদানীর।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন শুরু থেকেই ভারতীয় ছবি আমদানী ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষ করে প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে হুশিয়ারী জানানো হয়েছে, যেসব সিনেমা হলে ভারতীয় ছবি প্রদর্শন করবে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে এসব সিনেমা হলে বাংলাদেশী ছবি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ভারতীয় ছবি আমদানী ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদশর্নের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র শিল্পী-কলাকুশলীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে চলচ্চিত্র ঐক্য পরিষদ। কিছুদিন আগে এই পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা সবসময় সুবিধাভোগী। তাঁরা কখনোই লোকসান দেন না। একটি ছবির ব্যবসা খারাপ হলেও তাদের কোনো লোকসান দিতে হয় না। অথচ প্রযোজক লোকসান দিয়েও ছবি তৈরি করেন। সেখানে প্রদর্শকেরা দেশের স্বার্থ বিকিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র আনতে চান।

পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য

বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রর্দশনের জন্য ভারতীয় ছবি আমদানী প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এসব আলোচনা-সমালোচনা থেকে নির্বাচিত কিছু উক্তি তুলে ধরা হলো।

‘বাংলাদেশের ছবির প্রযোজকরা বলেছেন, ভারতীয় ছবি বাংলাদেশে এলে বাংলাদেশের ছবির বারোটা বেজে যাবে। প্রতিযোগিতায় আমরা টিকতে পারব না। আইন করে আমাদের প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে হবে। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুও আমাদের প্রটেকশন দিয়েছেন, ইত্যাদি। সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট বলে যে কথাটি আছে আমাদের দেশে চিত্র নির্মাতা সেটা জানেন না। এই দেশের আইন হলো আনফিটকে সারভাইভ করার সুযোগ দেওয়া। এরচেয়ে হাস্যকর কিছু হতে পারে বলে আমি মনে করি না।’ –কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ

‘ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র আমাদের দেশে আসা মানে, আমাদের নিজস্ব যে সংস্কৃতি আছে, সেটুকুও শেষ হয়ে যাওয়া।’ – নায়করাজ রাজ্জাক

‘পাকিস্তানে ভারতীয় ছবি প্রদর্শনের ফলে সে দেশের চলচ্চিত্রশিল্প রুগ্ন হয়ে গেছে। বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের সুযোগ দেয়া এ দেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা হবে আরো করুণ। আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পের অস্তিত্ব হবে হুমকির সম্মুখিন।’ – চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম

‘এদেশে বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভিত্তিপ্রস্তর গড়ে এফডিসি নির্মাণ করেছিলেন, সেটাও আর থাকবে না।’ – নায়ক আলমগীর

‘দুই দেশের মধ্যে একটা বিনিময়চুক্তি হতে পারে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে আমাদের দেশ থেকে তারা বাংলা ছবি নেবে, তবেই আমরা তাদের দেশ থেকে বাংলা ছবি আনতে পারি। হয়তো সেখানে বছরে কয়েকটি হিন্দি ভালো ছবি আসতে পারে। দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়ে অবশ্যই ভারসাম্য থাকতে হবে।’ – চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম

‘সেন্সর পাওয়া ছবিগুলো প্রদর্শনে কোনো আইনগত বাধা নেই। শিগগিরই আমরা ভারতীয় ছবির প্রদর্শনী শুরু করতে পারব। বন্ধ হওয়া প্রেক্ষাগৃহগুলো আবারও চালু হবে।’ – চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কেএমআর মঞ্জুর

‘সিনেমা হলের ট্যাক্স, বিদ্যুৎ খরচ, স্টাফদের বেতন এবং অন্যান্য খরচ হিসেব করলে এখন কোনোভাবেই সিনেমা হল মালিকরা ব্যবসা করতে পারছেন না। কালেভদ্রে দু’একটি সিনেমা ব্যবসা করলেও এতে সিনেমা হল বাঁচবে না। সিনেমা হলের পরিবেশ ঠিক করার জন্য নতুন করে সিনেমা হল মালিক লগ্নি করতে চান না। এমনিতে লোকসান, তারপর আবার লগ্নি? সরকার সিনেমা হলের ট্যাক্স কমালে হয়তো কিছুটা সমস্যার সমাধান হতো। কিন্তু সরকার ট্যাক্স কমানোর পক্ষে কোনো আশ্বাস দেয়নি। যে কারণে সিনেমা হলকে বাঁচাতে আমরা ভারতীয় ছবি আমদানি ও প্রদর্শনের পক্ষে।’
চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির নেতা ও সিনেমা হল মালিক সফর আলী ভূঁইয়া

‘দেশের বেশিরভাগ সিনেমা হলের প্রজেক্টর মেশিন খারাপ। জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এতে করে প্রিন্টেরও ক্ষতি হচ্ছে। পর্দা পরিষ্কার করা হয় না বলে ছবি ঘোলা দেখা যায়। সাউন্ড সিস্টেমের কোনো উন্নতি হয়। সিনেমা হল মালিকরা কোনো রকমে দায়সারাভাবে সিনেমা প্রদর্শন করছেন। সাধারণ দর্শক না বুঝে আমাদের গালমন্দ করছে। একই সিনেমা আপনি পূরবী বা আনারকলিতে দেখে যদি মধুমিতা বা বলাকায় আবার দেখেন তাহলে পার্থক্যটি সহজেই বোঝা যাবে। পারিবারিক দর্শকদের সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হল মালিকদেরই কোনো উদ্যোগ নেই। শুধু সিনেমার মানের দোহাই দেয়া হচ্ছে!’  – পরিচালক ও পরিচালক সমিতির মহাসচিব এফ আই মানিক

অবস্থা পর্যবেক্ষণ

চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ অনেকেই মনে করছেন, উল্লেখিত  ভারতীয় ছবিগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বিষয়টি একধরণের পর্যবেক্ষণ হিসেবে গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্টরা। তারা দেখতে চাচ্ছে, ভারতীয় ছবিগুলো কীভাবে গ্রহণ করে বাংলাদেশের দর্শকেরা। যদি ছবিগুলো বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখে, তবে আমদানিকারক আর পরিবেশকরা এটি নিয়মিত রাখতে গ্রহণ করবেন জোর পদক্ষেপ। নির্মাতা-পরিচালক- শিল্পী পরিবেশকরা মনে করছেন, বড় মাছ যেমন ছোট মাছ গিলে খায়, তেমনি ভারতীয় ছবিও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হলে তা ধ্বংশ করে দিবে দেশীয় চলচ্চিত্রকে। কারণ বিনিয়োগ আর বাজার, দু দিক থেকেই ভারতীয় ছবির ধারে কাছে নেই আমাদের চলচ্চিত্র। এ এক অসম প্রতিযোগিতা।

টেস্ট কেস হিসেবে হলেও বিজয়ের মাসে কেনো প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় ছবি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্নটিই এখন জোড়ালো হয়ে ওঠেছে। একইভাবে যদি ভাষা আন্দোলনের মাস আগামী ফেব্রুয়ারিতে যদি প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে জাতীয় চেতনা বলে থাকলোটা কী!

সূত্রঃ  https://i0.wp.com/www.banglanews24.com/images/common/logo-bn.gif

ফেসবুকে পারসোনার একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মন্তব্য

https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/295713_158176190939902_157983590959162_286166_335610261_n.jpg

ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ’ ফ্যান পেইজে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মন্তব্যের স্ক্রিণ শট দেয়া হয়েছে।
এই ইংরেজি বক্তব্যের বাংলা অর্থ করলে বক্তব্যটি এমন –

আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম, যখন আপনার বনানী ব্রাঞ্চে ঘটনাটি চলছিল। সেই মহিলা স্পা ট্রিটমেন্ট নিচ্ছিলেন, ক্যামেরাটি সরাসরি তার দিকে ফোকাস করা ছিল যেমনটি তিনি বলেছেন। তিনি রিসিপশনে এ নিয়ে জানতে চান, তারা তর্ক করে, বলে, না, এটা প্রবেশ পথের দিকে ফোকাস করা। তথাপি তিনি সন্তুষ্ট হননি, তাই তিনি তার স্বামীকে ফোন করে আসতে বলেন দেখার জন্য। তিনি আসেন এবং সিসিক্যামেরা রেকর্ড চেক করে দেখেন এবং সংক্ষিপ্ত পোষোকে তার স্ত্রীর পুরো স্পা ট্রিটমেন্ট ভিডিও পান। তিনি সকল মহিলাদের এবং আমাদের সেই সিসিক্যামেরা কক্ষে আসতে বলেন ও ভিডিওটি দেখতে বলেন। কিন্তু আমরা যাবার আগেই এটা বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে আমরা কিছু দেখতে পারিনি। ম্যানেজার অথবা ইনচার্জ মহিলা জানায়, তারা গতকাল ক্যামেরা ফিক্স করেছে এবং সেই টেকনিশিয়ান এর ভুলে এটা ভুল দিকে ফোকাস হয়েছে, আসলে হওয়ার কথা ছিল প্রবেশ মুখে।

এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো দেখা যাক –

সিসিক্যামেরা এনট্রান্স বা প্রবেশ মুখে দিকে থাকার কথা ছিল। স্প্যা ট্রিটমেন্ট নেয়া গ্রাহকের দিকে নয়। এই এ্যানট্রেন্স/প্রবেশ পথ কিসের? স্পা কক্ষের? নাকি পারসোনার প্রধান এ্যানট্রেন্স। প্রধান প্রবেশ মুখ হলে সমস্যা নেই কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, এটা স্পা কক্ষের এ্যানট্রেন্স। এরকম জায়গায় সিসি ক্যামেরা ফোকাস করে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় পারসোনার? নারী গ্রাহকরা অনেক সময়ই স্পা সার্ভিস শেষ করে অন্য কোন সার্ভিস এরিয়াতে যাওয়ার সময় স্পা পোষাক পরিহিত অবস্থায় কক্ষ দিয়ে বার হন। তার মানে এই অবস্থাটি কিন্তু অবলীলায় ক্যামেরাবন্দী হয়!!!!

https://i0.wp.com/a1.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/s320x320/316768_288398387839385_250157688330122_1260952_1337246697_n.jpg

পারসোনার বনানী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার/ইনচার্জ মহিলা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্রুততার সাথে ক্যামেরা টেকনিশিয়ানের উপর দোষ চাপিয়ে দিলেন! তাতে মনে হয় ক্যামেরার ফোকাস ঘুরে যাওয়ার বিষয়টা তিনি জানতেন আগেই! (অথবা ক্যামেরাটা ঘোরানোই থাকে ওভাবে!!!!!)
যদি, টেকনিশয়ানের ভুলের কারণে ক্যামেরা ঘুরতে থাকে, তবে তা ওই স্পা ট্রিটমেন্ট নিতে থাকা মহিলা কর্তৃক ক্যামেরা দেখা আগেই হয়েছে। তাহলে, অভিযোগ জানানোর আগেই কেন সিসি ক্যমেরা পর্যবেক্ষণকারী কর্মচারীরা এ ব্যাপারে রিপোর্ট করেনি?
ব্রাঞ্চের ম্যানেজার/ইনচার্জ মহিলা উপস্থিতভাবে টেকনিশিয়ানের উপর দায় চাপিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, পরবর্তীতে কানিজ আলমাসও সেই একই ব্যাখ্যা মুখস্ত বুলির মত বলে গেছেন!

একটা বিশেষ প্রশ্ন –

যে দুই পুরুষকর্মী পেন ড্রা্ইভে করে ভিডিও ফুটেজ সরিয়ে নিচ্ছিল তাদের নাম প্রকাশ অত্যন্ত জরুরী। গণমাধ্যমগুলোতে এদের নাম অপ্রকাশিত কেন??

সূত্রঃ

সিলেটে ‘বার্গার কিং’-এর আড়ালে ‘সেক্স মিশন’

ছোট ছোট বুথ। পাশাপাশি দু’টি টুল। চারদিকে রঙিন গ্লাস। রয়েছে থাই উডও। এরকম কয়েকটি বুথ। বুথের আগে ছিল বিছানা। বেশি দৃষ্টিকটু। এ কারণে হলো পরিবর্তন। পরিবর্তন করে করা হয় ছোট ছোট বুথ। এই বুথের ভাড়া ঘণ্টায় ৬০০ টাকা। বুথের ভেতরে কিছুই নেই। আছে পাশাপাশি দুটি চেয়ার। একটি ছোট টেবিল। নাম ‘বার্গার কিং’। একটি ফাস্টফুডের দোকান। সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারেই এই বার্গার কিংয়ের অবস্থান।

 

সিলেট শহরের উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের কাছে বার্গার কিং এক নামেই পরিচিত। ৬০০ টাকা ঘণ্টায় ভাড়া নিয়েই এখানে প্রেমিকাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তা করা যায়। স্রেফ রেস্টুরেন্ট ভেবে প্রেমিকের হাত ধরে ওখানে উঠেছেন অনেক তরুণী। কিন্তু ভেতরে গিয়ে অনেকেই হয়েছে প্রতারিত। পরে সব হারিয়ে কেঁদে কেঁদে বের হতে দেখা যায় অনেক তরুণীকেই। আর ওখানে যারা যেতেন তাদের বেশির ভাগই স্কুল কিংবা কলেজ ছাত্রী। ভেতরে সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় প্রেমিকের হাতেই বহু মেয়ে সম্ভ্রম হারিয়েছে।

 

https://i0.wp.com/rapedattufts.info/wordpress/wp-content/uploads/2010/01/Rape__by_little_pretty.png

এমনটা জানিয়েছেন খোদ বার্গার কিংয়ের আশপাশের ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, যেসব মেয়েরা এখানে যাতায়াত করতো তারা ভালো পরিবারের। সবাই স্কুল-কলেজের পড়ুয়া মেয়ে। অভিভাবকদের ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে এখানে এসে তারা হারিয়েছে সবকিছু। বুথের ভেতরে প্রেমিকের নির্যাতনে তারা সব কিছু হারানোর পর সম্মানহানির ভয়ে মুখ খুলেননি। নীরবে সয়ে গেছেন সবকিছু। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা বার বার রেস্টুরেন্টের মালিককে বললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গত দুই দিন আগে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা আকস্মিক এই রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা বুথের ভেতরে অস্বাভাবিক অবস্থায় যুবক-যুবতীদের দেখতে পান।

 

ব্যবসায়ীরা জানান, যে অবস্থায় তাদের পাওয়া গেছে তা সিলেটে কল্পনা করা যায় না। এ দৃশ্য দেখে অনেক ব্যবসায়ীরা মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ার হাত থেকে সিলেটের আলোচিত এই বার্গার কিং দুই দিন থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের আগে বার্গার কিংয়ে বুথ ছিল না। ছিল বিছানাপাতি। ফুসলিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে এসে এখানে সর্বনাশ করা হতো। এভাবে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করা হয় বলে ধারণা করেন তারা। এর বাইরেও কিছু কিছু জুটি এখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো। তারা নিরাপদ ডেটিং কিংবা সেক্স মিশনের নিরাপদ স্থান হিসেবে ‘বার্গার কিং’কে ব্যবহার করতো। বুথ ব্যবহারকারী এক যুবক জানান, এখানে সাইবার ক্যাফের মতো ছোট ছোট বুথ বানিয়ে ভাড়া দেয়া হয় আগত জুটিদের। যাদের বেশির ভাগই স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী।

 

 

ঘণ্টা ৬শ’ টাকা হারে ভাড়া নির্ধারণ করে এসব রুম বরাদ্দ দেয়া হয় তাদের। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টিনেজাররা অনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে এই বুথগুলোকে। জিন্দাবাজারস্থ ‘বার্গার কিং’ ফাস্টফুডের দোকানে অনেকদিন ধরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছিল এমন অভিযোগ ছিল জিন্দাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কাছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এর আগেও বেশ কয়েকবার এই প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। মঙ্গলবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লায়েছ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এহছানুল হক তাহের গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

 

এ ব্যাপারে বার্গার কিংয়ের স্বত্বাধিকারী রোটারিয়ান একেএম শামসুল হক দীপু সাংবাদিকদের জানান, প্রতিষ্ঠানটি তার নিজের হলেও তিনি এটি পরিচালনা করেন না। লোক দিয়ে পরিচালনা করায় তারা ভুল করে ফেলতে পারে। কিন্তু তিনি স্বীকার না করলেও প্রতিষ্ঠান আজ থেকে বন্ধ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু তার এই অভিযোগের বিরোধিতা করে সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও জিন্দাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লায়েছ উদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তিনি নিজেই পরিচালনা করেন। এবং এসব কাজে তার সহযোগিতা রয়েছে। না হলে তাকে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও এরকম কর্মকাণ্ড পরিচালনা হওয়ার কথা নয়।

 

জিন্দাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক তাহের জানান, সিলেট একটি পবিত্র এলাকা। এখানে এরকম কর্মকাণ্ড ব্যবসায়ীরা মেনে নেননি। তিনি জানান, বার্গার কিংকে স্রেফ রেস্টুরেন্ট মনে করে অনেক টিনেজ মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে উঠতো। উঠার সময় হাসি মুখে উঠলেও নামার সময় কেঁদে কেঁদে নীরবে চলে যেতো।

 

 

 

এটা শুধু সিলেটেই হচ্ছে না। এটা বর্তমানে বাংলাদেশের সব বড় শহরের ছবি।  একটি মেয়ে ধর্ষিতা হলে সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে।তার আন্তবিশ্বাস চলে যায়।কাউকেই সে বিশ্বাস করতে পারে না এমনকি আন্তিয় স্বজনদেরও না। সমাজকে সে এই ঘটনার জন্য দোষ দিতে থাকে এবং  আত্নহত্যার দিকে এগিয়ে যায়।

 

মেয়েদের উচিত এই ব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া। সব সময় নিজের প্রিয়জনকে বিশ্বাস করবেন না। নিজেকে নিরাপদ রাখতে চেষ্টা করুন। বিশেষত teenage মেয়েরা। এই রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জীবন ধ্বংশ করে দিতে পারে।এখন কিন্তু অধিকাংশ ধর্ষণই ঘটে BOY FRIEND নামক বস্তু দ্বারা।

সূত্রঃ

https://i0.wp.com/profile.ak.fbcdn.net/hprofile-ak-snc4/277160_172596859484167_1651448288_n.jpg

আল্লাহ তায়ালার পাকড়াও থেকে নিশ্চিন্ত হওয়া উচিত নয়

আল্লাহ তায়ালার বাণী,“তারা কি আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত [নির্ভয়] হয়ে গেছে? বস্তুতঃ আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচার ব্যাপারে একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়া অন্য কেউ ভয়হীন হতে পারে না”।(সূরা আল-আরাফঃ৯৯)

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, “একমাত্র পথভ্রষ্ট লোকেরা ছাড়া স্বীয় রবের রহমত থেকে আর কে নিরাশ হতে পারে?” (টীকা-১ দ্রঃ) (সূরা হিজরঃ৫৬)

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণণা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কবীরা গুণাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাবে বলেছেন, ‘কবীরা গুনাহ হচ্ছে – আল্লাহর সাথে শরীক করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া এবং আল্লাহ পাকের পাকড়াও থেকে নির্ভয় হওয়া”। (টীকা-২ দ্রঃ) (মুসনাদে বাজ্জার, হাদীস নং ১০৬; মাযমাউয যাওয়াহিদ,১০৪)

আবদুল্লাহ ইবন মাসিউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় গুনাহ হল- আল্লাহর সাথে শরীক করা, আল্লাহর শাস্তি থেকে নির্ভিক হওয়া এবং আল্লাহর করুণা থেকে বঞ্চিত মনে করা’। (টীকা-৩ দ্রঃ) (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, ১০/৪৫৯; তাবারানীম হাদীস নং ৮৭৮৭)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়,

সূরা আরাফের ৯৯নং আয়াতের তাফসীর
সূরা হিজরের ৫৬ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহর পাকড়াও থেকে নির্ভিক ব্যক্তির জন্য কঠোর শাস্তির ভয় প্রদর্শন
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়াকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে

_______________________________________

ব্যাখ্যা- অত্র অধ্যায়ে দুটি আয়াতের উল্লেখ আছে এবং আয়াত দুটির পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। প্রথমত আয়াতে বলা হয়েছে যে, মুশরিকদের স্বভাব হল যে তারা আল্লাহর শাস্তির পাকড়াও থেকে নিজেদের নিরাপদ মনে করে অর্থাৎ তারা আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে না। আর আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ মনে করা, ভয় না পাওয়া ‘ভয়-ভীতির ইবাদত’ পরিহার করারই ফল। অথচ ভয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘ইবাদত। আয়াতে উল্লিখিত ‘মকর’ কৌশল অবলম্বনের তাৎপর্য হল, আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য যাবতীয় কাজ এমন সহজ করে দেন যে, সে এমন ধারণা করে ফেলে যে সে বর্তমানে সম্পূর্ণ নিরাপদ, তার আর কোন ভয় নেই। প্রকৃতপক্ষে এ হল আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে অবকাশ দেয়া। আল্লাহ মানুষকে সবকিছুই দেন, কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, সে নিরাপদে রয়েছে। এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘যখন তোমরা দেখবে যে আল্লাহ কোন বান্দাকে অনেক নিয়ামত দিয়েছেন অথচ সে সদা পাপ কাজে লিপ্ত, তবে তোমরা জেনে রেখো যে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে অবকাশ দিচ্ছেন”। আল্লাহ তায়ালা এ কৌশল অবলম্বন তাদের সাথেই করে থাকেন যারা তাঁর নবী, অলীদের ও তাঁর দ্বীনের সাথে গোপনে চক্রান্ত ও ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেয়। এ কৌশল অবলম্বন আল্লাহর পরিপূর্ণ গুণাবলী। কেননা এ সময় তিনি স্বীয় ইজ্জত, কুদরত ও প্রভাব প্রকাশ করেন।

১- এখানে আল্লাহ পথভ্রষ্টদের স্বভাব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন যে, তারা আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে নিরাশ ও উদাসীন। মোটকথা মুত্তাক্বীন ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের গুণাবলী হচ্ছে যে, তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না অথচ আল্লাহ তায়ালাকে তারা ভয়ও করে। আল্লাহকে ভয় করা বান্দার অপরিহার্য কর্তব্য। আশা আকাংক্ষা এবং ভয় ভীতি এ উভয় গুণের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর ভয়-ভীতি ও আশা আকাংক্ষা থাকা বান্দার জন্যে ওয়াজিব। তবে অন্তরে ভয়-ভীতি ও আশা আকাংক্ষার মাঝে কোনটি প্রাধান্য পাবে?

শারীরিকভাবে সুস্থ পাপীর জন্য ভয়-ভীতির দিক আশা-আকাঙ্ক্ষার চেয়ে প্রাধান্য পায়, আর মৃত্যুর সম্মুখীন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে আশা-আকাঙ্ক্ষার দিক প্রাধান্য পায়। তবে সঠিক ও কল্যাণের পথে ধাবমান অবস্থায় ভয়-ভীতি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা সমপর্যায়ের হয়ে থাকে। যেমন, আল্লাহর বাণীঃ ‘তারা নেকির কাজে দ্রুতগামী এবং আমাকে তারা আশা আকাঙ্ক্ষা ও ভয়-ভীতির সাথে আহবান(ইবাদত) করে ও আমাকেই তারা ভয় করতে থাকে’। (সূরা আম্বিয়াঃ ৯০)

২- আল্লাহর ভয়-ভীতি ও আশা আকাঙ্ক্ষার ইবাদত পরিত্যাগ করা হল নিরাশ হওয়া আর আল্লাহর ভয়-ভীতির ইবাদত ত্যাগ করা হল তাঁর শাস্তি থেকে নির্ভীক হওয়া। অতএব, উভয়টি বান্দার অন্তরে একত্রিত হওয়া ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত আর উভয়টি বান্দার অন্তর থেকে বিদায় হওয়া বা হ্রাস পাওয়া হল পরিপূর্ণ তাওহীদের হ্রাস পাওয়া।

৩- আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া অধিকাংশ লোকের মধ্যে বিদ্যমান। রহমত আল্লাহর নেয়ামত-অনুগ্রহসূহ অর্জন ও বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর হাদীস বর্নিত শব্দ ‘রাওহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাওয়াই নেয়া হয়ে থাকে।

উৎসঃ কিতাবুত তাওহীদ ও এর ব্যাখ্যা – অধ্যায় ৩৩
মুহাম্মদ বিন সুলায়মান আত-তামীমী(রাহিমাহুল্লাহ)

ব্যাখ্যাকারঃ শায়খ সালেহ বিন আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আলে শায়েখ
ভাষান্তরঃ মুহাম্মদ আবদুর বর আফফান, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

মূল তথ্যসূত্রঃ

http://sorolpath.files.wordpress.com/2011/08/sorol1.jpg

ভূমিকম্পের করণীয় – সবাইকে জানতে সাহায্য করুন

বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঘটনা একের পর এক ঘটে গেলেও তা আমাদের তেমন একটা সচেতন করতে পারেনি। যে দূর্যোগের কোন পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব নয় তার থেকে বাচতে হলে প্রয়োজন এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। চলুন আমরা আমাদের জীবন-মরণ প্রশ্ন নিয়ে হেলাফেলা না করে একে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকি এবং সবাইকেপ্রস্তুত করে তুলি।

প্রতিরোধ (ভূমিকম্পের আগে করণীয়)

 ঘরেরপ্রস্তুতি – আশ্চর্য মনে হলেও সত্যি যে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মূল কারণ বিল্ডিং ধসে পড়া নয়। বরং আসবাব, ভঙ্গুর কাঠামো অথবা তৈজসপত্রের কারণেই বেশিরভাগ ক্ষতি হয়ে থাকে। জোরাল ভূমিকম্পের সময় মেঝের আগে-পিছে ঝাকুনি সেকেন্ডে কয়েক ফুট পর্যন্ত হতে পারে যার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে এবং ঘরেরমাঝে ছুটন্ত বস্তুর আঘাতেই আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা প্রবল থাকে। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে –

  •   শেলফ ও আলমারিতে বড় ও ভারি মালপত্র নিচের দিকে রাখুন।
  • ভঙ্গুর তৈজসপত্র যেমন বোতল, গ্লাস, কাপ, প্লেট ইত্যাদি বন্ধ ক্যাবিনেটে রাখুন।
  •  দেয়ালে ঝোলানো ভারি শো-পিস যেমন ছবির ফ্রেম, আয়না ইত্যাদি বিছানা, সোফা অথবা অন্য কোন বসার স্থান থেকে দূরে রাখুন।
  •  ত্রুটিযুক্ত বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এবং গ্যাসের লাইন মেরামত করে নিন। এসব স্থান থেকে সহজে আগুন ধরতে পারে।
  •  দেয়ালে বা সিলিং এ ফাটল থাকলে মেরামত করে নিন; এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নেয়ার দরকার হতে পারে।
  •  যেসব বিল্ডিং এখনো তৈরি হয়নি সেগুলো যথাযথ বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি করুন।

ঘরে-বাইরে ভূমিকম্প হতে নিরাপদ স্থানসমূহ চিহ্নিত করুন

  •  ভারি টেবিল বা মজবুত চৌকি বা খাটের নিচে।
  •  ভিতরের দিকের দেয়ালের পাশে (সীমানার দিকের দেয়াল ও জানালার কাছে থাকা বিপজ্জনক)।
  •  জানালা, ছবির ফ্রেম বা আয়না জাতীয় ভঙ্গুর কাঠামো এবং ঝাকুনিতে পড়ে যেতে পারে এমন ভারি আসবাব থেকে দূরে।
  •  ঘরের বাইরে খোলা এলাকা – যা কোন বিল্ডিং এবং বৈদ্যুতিক লাইন থেকে দূরে।

নিজে ও পরিবারের সবাই সচেতন হোন

  •  ভূমিকম্পের আগে, ভূমিকম্পের সময় ও এর পরে কি করণীয় সে বিষয়ে সচেতনতা।
  • ভূমিকম্প হতে নিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত করার যোগ্যতা যাচাই।
  • ভূমিকম্পের সময় কি করতে হবে তার মহড়া।

শুধু নিজে নয়, অপরকেও এসব জানতে সাহায্য করুন

  •   পোস্টার, বিলবোর্ডের মাধ্যমে।
  •  ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এই প্রবন্ধটি শেয়ার করার মাধ্যমে।
  •  স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ঘরে ঘরে অথবা স্কুল-কলেজে প্রচারের মাধ্যমে।

মোকাবেলা (ভূমিকম্পের সময় করণীয়)

ভূমিকম্পের সময় চলাফেরা কঠিন ও বিপজ্জনক। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া প্রয়োজন। দৌড়ে বের হওয়া তখনই উচিত হবে যখন আপনি বাড়ির গেট এর কাছে থাকবেন এবং বাইরে বিল্ডিং ও বৈদ্যুতিক লাইন থেকে দূরে যাওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব। কাজেই, বাইরে বের হওয়া সম্ভব না হলে ঘরের নিরাপদ আশ্রয় ব্যবহার করা প্রয়োজন।

হামাগুড়ি - আশ্রয় ও ধরে রাখার পদ্ধতি

ভেতরের দিকের দেয়ালের কাছে আশ্রয় নেয়া

বাড়ির ভিতরে থাকলে

  •  মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে বসে পড়ুন, ভারি টেবিল বা খাটের নিচে আশ্রয় নিন এবং খাট বা টেবিলের পায়া ধরে রাখুন যাতে করে ঝাকুনিতে তা সরতে না পারে।
  •  নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না পারলে হাত দিয়ে মাথা ঢেকে ভেতরের দিকের কোন দেয়াল বা কোনায় বা কলামের গোড়ায় হামাগুড়ি দিয়ে বসে পড়ুন।
  •  পতনশীল ভারি আসবাব, ছবির ফ্রেম, আয়না, জানালা থেকে দূরে থাকুন।
  •  বিছানায় শোওয়া অবস্থায় থাকলে বিছানা থেকে বেশি দূরে যাবার চেষ্টা করবেননা। খাটের নিচে বা নিকটতম নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
  •  লিফট বা এলিভেটর ব্যবহার করবেননা।
  •  মনে রাখবেন, বিদ্যুত সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে যা কিনা আপনার চলাফেরাকেও ব্যাহত করতে পারে।

বাড়ির বাইরে বা গাড়িতে থাকলে

  •  বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক লাইন, ল্যাম্পপোস্ট থেকে দূরে থাকুন।
  • বড় ভূমিকম্পের পরেও কয়েক দফা মৃদু কম্পন হতে পারে। কাজেই ঝাকুনি শেষ হওয়ার পরেও কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করুন।

ভেঙ্গে পড়া বাড়িতে আটকা পড়লে

  •  আগুন জ্বালাবেননা। গ্যাস লাইন লিক করে থাকলে তা আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত করতে পারে।
  •  ধীরে নড়াচড়া করুন।
  •  কাপড় বা রুমাল দিয়ে নাকমুখ ডেকে নিন ও উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকুন।

প্রতিকার (ভূমিকম্পের পরে করণীয়)

  •   বড় ভূমিকম্পের পরবর্তী মৃদু কম্পনের জন্য প্রস্তুত থাকুন। এ ধরণের কম্পন মূল কম্পনের এক ঘন্টা থেকে এক মাসের মধ্যে যেকোন সময় হতে পারে।
  •  শেলফ, আলমারি খোলার সময় সাবধান থাকুন। মালপত্র সহজেই পড়ে যেতে পারে।
  •  ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থান থেকে দূরে থাকুন যদি না আপনার সাহায্য একান্ত প্রয়োজনীয় হয়।
  •  সমুদ্র এলাকার লোকজন সুনামি বা উচু জোয়ারের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
  •  আটকা পড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত মানুষকে সাহায্য করুন।
  •  গ্যাসের গন্ধ বা নির্গমণের শব্দ পেলে জানালা খুলে দিন ও দ্রুত বের হয়ে যান। যথাশীঘ্র তা মেরামত করার ব্যবস্থা নিন।
  •  বিদ্যুতের স্পার্ক দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন, যাওয়ার পথে পানি থাকলে নিজে মেরামত না করে ইলেক্ট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিন।

শেষ করার আগে বলতে চাই, এই তথ্য সবাইকে জানিয়ে দিন। যেকোন স্থানে শেয়ার করুন। আপনার সামান্য তথ্য শেয়ার হতে পারে অনেক মানুষের জীবন রক্ষার কারণ! ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

এই তথ্য মূলতhttps://i0.wp.com/i276.photobucket.com/albums/kk21/danEMTdan/fema_logo.png থেকে অনূদিত

 

এছাড়াও আরো দু’টি সাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে –

https://i0.wp.com/www.earthquakecountry.info/images/earthquakecountrydotinfo.gif

এবং

https://i0.wp.com/cdn.somewhereinblog.net//gui/banner/lulu_01.jpg

 

মূল তথ্যসূত্রঃ

https://i0.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2010/09/quraneralo-banner.jpg

সত্যিই কী ঘটেছিল ২০০১ সালের এ দিনে?

http://muinebheagvsenglish.files.wordpress.com/2010/03/9-11wtc1.jpg

এর আগে এমন দৃশ্য দেখেনি বিশ্ব। দেখেনি খোদ মার্কিন জনগণও। আজ থেকে১০ বছর আগে, ঠিক এই দিনে, বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছিল বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের ভীত। বিমানের তীব্র ঠুকুনিতে তাসের ঘরের মতো লুটিয়ে পড়েছিল মাথা উঁচু করে থাকা টুইন টাওয়ার। আক্রান্ত হয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনও। আর এ ঘটনাতেই বদলে যায় বিশ্ব রাজনীতি। বিশ্বব্যাপী শুরু হয় সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ। সে যুদ্ধ আজও চলছে।
আজ ৯/১১, বিশ্ব রাজনীতিকে বদলে দেওয়া সেই ৯/১১। কী ঘটেছিল ২০০১ সালের এ দিন? সত্যিই কি আল-কায়েদা সে দিন মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল! নাকি সবই ছিল পাতানো, বিশ্বকে করায়ত্ত করার মার্কিন কূটকৌশলের অংশ! এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাই এ হামলা চালিয়েছে। আল-কায়েদাও অবশ্য এ হামলারদায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে সন্দেহবাদীরা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা আল-কায়েদা কারওবক্তব্যেই আস্থা রাখতে নারাজ। তাদের যুক্তি, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষাব্যূহ, সুতীক্ষ গোয়েন্দা নজরদারিকে ব্যর্থ করে দিয়ে আল-কায়েদার পক্ষে মার্কিন মুলুকে এত বড় হামলা চালানো অসম্ভব। সন্দেহবাদীরা ৯/১১-কে দেখেন বাঁকা চোখে। খুঁজে পান কুটিল ষড়যন্ত্রের গন্ধ। ৯/১১-এর ঘটনা নিয়ে এখনোঅনেকের মনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ঘটনার ১০ বছর পরও সে প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত। এসব প্রশ্নের মধ্যে পাঁচটি সবচেয়ে আলোচিত।
২০০১ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিমানছিনতাই হয়েছিল। সন্দেহবাদীরা প্রশ্ন তোলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আছে বিশ্বেরসবচেয়ে শক্তিশালী বিমানবাহিনী। কিন্তু তারা কেন এই ছিনতাই হওয়া বিমান থামাতে ব্যর্থ হলেন?’

এ প্রশ্নের উত্তরও আছে তাদের কাছে। সন্দেহবাদীরা বলেন, তত্কালীনভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি সামরিক বাহিনীকে নিশ্চুপ এবং বিমান না থামাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন আছে, ‘মাত্র কয়েকটি ফ্লোরে আগুন ধরার পর এত দ্রুত কেন টুইনটাওয়ার ধসে পড়ল?’

এ প্রশ্নের উত্তরে সন্দেহবাদীরা বলেন, আসলে নিয়ন্ত্রিত উপায়েই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ, ভবনে অপেক্ষাকৃত কম সময়ব্যাপী আগুন জ্বলেছিল (বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র ১-এ ১০২ মিনিট এবং বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র ২-এ ৫৬ মিনিট), অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং ধ্বংসের কিছু সময় আগে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।
সন্দেহবাদীরা প্রশ্ন তোলেন,‘একজন প্রশিক্ষণার্থী চালক কীভাবেএকটি বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনা করে পেন্টাগনে হামলা চালালেন?

সন্দেহবাদীরা বলেন, ছোট বিমান ব্যবহার করে পেন্টাগনে হামলা চালানো হয়েছে এবং ওই বিমান আল-কায়েদা নয়, পেন্টাগন নিজেই তা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রশ্ন রয়েছে, ‘পেনসিলভানিয়ার সাংকসভিলে ইউএ ৯৩ বিমান বিধ্বস্তের স্থান কেন এত ছোট এবং সেখানেবিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ কেন দেখা যায়নি?’

সন্দেহবাদী তাত্ত্বিকেরা বলেন, ইউএ ৯৩ বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছিল। এতে মধ্য আকাশেই বিমানটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। ফলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ বৃহত্ এলাকায় ছড়িয়ে যায়।
ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকেরা প্রশ্ন তোলেন, ‘স্টিলের তৈরি অন্য কোনো আকাশচুম্বী ভবন আগুনের কারণে ধ্বংস হয়না। কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র-৭ বিমান হামলায় আক্রান্ত না হয়েও কেন এত দ্রুত ভেঙে পড়ল?’

এ ঘরানার মানুষেরা বলেন,বিস্ফোরক ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র-৭ ধ্বংস করা হয়েছে।

ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের এসব সন্দেহমূলক প্রশ্নের জবাব আছে পেন্টাগনের কাছে। কিন্তু এবিশ্বে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা পেন্টাগনের কথায় খুব কমই আস্থা রাখেন। অবশ্য পেন্টাগনও যে মিথ্যা কথা বলে, তার নজির প্রায়ই মেলে।—বিবিসি অবলম্বনে।

সূত্রঃ  *প্রতিদিনের তাজা খবর [fαcєвook vєяsίoN]*

 

বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া “একই দেশ” নয়

https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash4/304424_137245923038385_115857601843884_182727_1252656641_n.jpg

সৈয়দ আশরাফ বলেছেন,

“ঐতিহাসিকভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে আমরা (ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ) একই দেশের মানুষ, একই দেশের নাগরিক। আমাদের একই সংস্কৃতি, একই ভাষা, একই ধর্ম ও একই ঐতিহ্য।”

কখনই বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া “একই দেশ” নয়, “একই ভাষা” নয়, “একই ধর্ম” নয় ।

বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে বৃহত্তর ইন্ডিয়ার শোষণ থেকে ১৯১১ সালে আমরা মুক্ত হয়েছি। আর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্ত হয়েছি ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া “একই দেশ” এই কথা বলে কি ৩০ লাখ শহীদের রক্তকে অপমান করা হলো না ?

যে ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে সালাম, রফিক, বরকত উষ্ণ রক্ত ঢেলে দিল “একই ভাষা” বলে কি সে ভাষাকে কি অপমান করা হলো না ? ইন্ডিয়ার ৮০.৫% হিন্দু , আর বাংলাদেশের ৯০.৪% মানুষ মুসলমান। আমাদের ধর্ম কি এক হলো ?

আজ যদি কেউ বলে, “ঐতিহাসিকভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে পাকিস্তান ও আমরা একই দেশের মানুষ একই দেশের নাগরিক।” তাকে দেশদ্রোহী ও রাজাকার বলবেন নিশ্চই।

তাহলে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া কে “একই দেশ” বললে তাকে কি বলবেন ?

সূত্রঃ

তুমি অধম , তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন ?