দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশী সিনেমা ‘ব্ল্যাক’

মুহাম্মদ আমিনুল হক

বিতর্কিত লেখক ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় এবার তৈরী করছেন ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিনেমা। যার মাধ্যমে তিনি শরীয়া আইন, জিহাদ, বোরখা, পাথর ছুঁড়ে মারা, বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহ ও শিরচ্ছেদের প্রসঙ্গ টেনে ইসলামের বিরুদ্ধে দেশ বিদেশে জনমত তৈরী করতে চাচ্ছেন। ব্ল্যাক সিনেমার প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে এ ছবির নির্মাতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জাতিকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করছি। বিতর্কিত লেখক ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণায় এবার তৈরী করছেন ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিনেমা ''Weekly Blitz' এর মাধ্যমেই সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী তার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন বিশেষকরে ইসলামের অন্যতম বিধান জিহাদের বিরুদ্ধে বিষোদগারমূলক বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর সাপ্তাহিক পত্রিকাটি মানুষের কাছে ইসলাম বিরোধী পত্রিকা (Anti-Islamic Newspaper) হিসেবে পরিচিতি পায় ‘Weekly Blitz’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী বেশ পরিচিত। ”Weekly Blitz’ এর মাধ্যমেই তিনি তার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের বিরুদ্ধে তার লেখনীতে কখনো ছেদ পড়েনি। বিশেষকরে ইসলামের অন্যতম বিধান জিহাদের বিরুদ্ধে বিষোদগারমূলক বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে তার সাপ্তাহিক পত্রিকাটি মানুষের কাছে ইসলাম বিরোধী পত্রিকা (Anti-Islamic Newspaper) হিসেবে পরিচিতি পায়। তিনি ১৯৮৯ সনে সাংবাদিকতা শুরু করেন সোভিয়েট ইউনিয়নের ’তাস’ (TASS) নিউজ এজেন্সিতে। ১৯৯১ সনে তিনি ইটার তাস (Iter-Tass) নিউজ এজেন্সির বাংলাদেশ শাখার প্রধান সংবাদদাতা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সোভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পর বিভিন্ন দেশে ইটার তাসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে তিনি ১৯৯৬ সনে ওখান থেকে চাকুরী ছেড়ে বাংলাদেশে প্রথম প্রাইভেট টিভি চ্যানেল ২১শে টিভি প্রতিষ্ঠা করেন। তখনকার সময়ে একুশে টিভিও ইসলাম বিরোধী টিভি হিসেবে পরিচিতি পায়। বাংলা ও ইংরেজীতে তার কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ২০০৭ সালে প্রকাশিত হওয়া একটি বইয়ের শিরোণাম হচ্ছে- “Injustice & Jihad” (অবিচার এবং জিহাদ)। বইয়ের নাম দিয়েই অনুধাবন করা যায় ইসলাম নিয়ে তার কত জ্বালাপোড়া! বইটি ২০০৮ সালে Non Sono Colpevole নামে ইতালিয়ান ভাষায়ও প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সনে Inside Madrassa (মাদরাসার অভ্যন্তরে) নামক বইটি প্রকাশিত হয়। উক্ত বইয়ের মাধ্যমে তিনি মাদরাসার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করেন। তিনি বাংলাদেশে ইসরাইল ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম গঠন করেন। বাংলাদেশে আল-কায়েদা সংগঠনের বিস্তার সম্পর্কে তিনি অনেক আজগুবি লেখাও উপহার দেন। তার লেখনীতে বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইসরাইল বিরোধীদের মনোভাব সম্পর্কেও তথ্য উঠে আসে। ইসলাম বিদ্বেষী এই বাম সাংবাদিকের আসল বন্ধু হচ্ছে- ইসরাইল ও তার দোসররা। এদেশে চৌধুরী সাহেব নিন্দিত হলেও ইসলাম বিরোধী শক্তি তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দিচ্ছে। ২০০৫ সনে PEN USA তাকে মুক্ত লেখনীর জন্য পুরুস্কৃত করে। ২০০৬ সনের মে মাসে American Jewish Committee তাকে পুরুস্কৃত করতে চাইলে তৎকালীন সরকার তাকে যুক্তরাষ্ট্র যেতে বাধা প্রদান করে। ২০০৭ সনে তাকে Prince Albert of Monaco এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ইসরাইলের একান্ত দোসর শোয়েব চৌধুরীকে ইসরাইল-মোসাদ কানেকশন ও দেশ বিরোধী তৎপরতার দায়ে ২৯ নভেম্বর ২০০৩ সনে তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০০৩ তেলআবিবে অনুষ্ঠিতব্য এক কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তার লাগেজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ তথ্য সম্বলিত অনেক ডকুমেন্ট ও সিডি উদ্ধার করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত নানান ভৌতিক তথ্যও ছিল তাতে। তার গ্রেফতার সম্পর্কিত খবর পরের দিন ইংরেজী পত্রিকা Daily Star পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়। Man with ‘Mosad links’ held at ZIA শিরোনামের খবরে বলা হয় : A man was arrested at Zia International Airport yesterday morning on his way to Tel Aviv for his alleged Mossad connection. A leader of Bangladesh chapter of ‘Iflaq’, a Haifa-based organisation, Salauddin Shoib Chowdhury was carrying compact discs (CD‘s) and papers containing write-ups on some sensitive issues including ‘minority repression and the al Qaeda network in Bangladesh’, police said. Shoaib was managing director of the planned Inquilab Television until he was sacked last year……. এরপর চৌধুরী সাহেব একাধারে ১৭ মাস জেল খাটেন। চৌধুরী সাহেব কিছুদিন ইনকিলাব পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভি প্রতিষ্ঠা করার জন্যও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভির এম.ডি হিসেবে নিযুক্ত হন। ইনকিলাব টিভিতে তার প্রায় এক মিলিয়ন টাকার মোট ৩০% শেয়ার ছিল বলে দাবী করেন। ইনকিলাব পত্রিকা যখন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেও ইনকিলাব টিভির সর্বোচ্চ পদে ঘাপটি মেরে ছিল দেশ ও জাতির শত্রু এবং ইসরাইলের এ চর! এ ঘটনা থেকে কি বি.এন.পি. ও ইসলামী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো শিক্ষা নেবে? ১৯৬৫ সনে সিলেটে জন্ম নেয়া এ নরাধম, পাপিষ্ট, দেশদ্রোহী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এখনও নির্বিঘ্নে তাদের কলুষিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এবার তারা তৈরী করতে যাচ্ছে ব্ল্যাক (Black) নামে একটি সিরিজ সিনেমা। যা তার ভাষ্যমতে, এ বছরের এপ্রিল মাসে (১৪১৮ বাংলা নববর্ষে) পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামকে বিশ্ববাসীর কাছে বিকৃতভাবে তুলে ধরা। বাংলা ভাষায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হলেও ইংরেজী, হিন্দি, উর্দূ ও ফ্রেন্স ভাষায় এর সাব টাইটেল লিখে আন্তর্জাতিক বাজারে ছাড়া হয়েছে। ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন মডেল কন্যা শতাব্দি। ব্ল্যাক ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন মডেল কন্যা শতাব্দি ছবিটি নিয়ে নায়িকা শতাব্দি বলেন: “ছবির স্ক্রিপ্টে খুবই ভালো লেগেছে আমাকে। শোয়েব চৌধুরী ও তার দলের মত আন্তর্জাতিক মানের টিমের সাথে কাজ করতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের”। ছবিতে গান গেয়েছেন সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা, আগুন, এস.আই টুটুল, অনিমা ডি কস্তা ও ফকির শাহাবুদ্দিন। কী আছে এই সিনেমায়? শান্তিগ্রাম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম। পয়ত্রিশ বছর আগে এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের লোকজন বেশ শান্তিতে বসবাস করত। কিন্তু কয়েক দশক থেকে পুরো গ্রামে ইসলাম পন্থীদের ইসলামী কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মসজিদ মাদরাসার হুজুরদের প্রভাব দিন দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা নিজেরাই শরীয়া আইন চালু করে জনগণের জীবন যাত্রা বিভীষিকাময় করে তুলেছে। মোল্লারা গ্রামের পুরুষদের একাধিক বিবাহে উৎসাহ দিচ্ছে। এভাবে একাধিক স্ত্রী যাদের আছে তারা সেইসব স্ত্রীদের সাথে দাসীর মতো আচরণ করছে এবং সেই একাধিক স্ত্রীদের কৃষিকাজসহ নানা কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু যখন কোন মহিলা অসুস্থ হচ্ছে, তখন তাকে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এই অজুহাতে যে হাসপাতালগুলো শয়তানের আড্ডাখানা যেখানে নারী-পুরুষ পর্দা ছাড়াই অবাধে মেলামেশা করে। গ্রামে মোল্লা ও মাতব্বরদের সমন্বয়ে শরীয়া কমিটি করে দোররা মারাসহ বিভিন্ন শারীরিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিয়মিত। এই গ্রামেই বাস করে কিছু বাউল সম্প্রদায়ের লোক। এরা মূলত: হিন্দু ও সূফী মুসলিম গোত্রের মানুষ। বাউলরা ধর্মের সম্প্রীতির বাণী শুনাতো। গ্রামের উগ্র ইসলামপন্থীদের প্রভাবে তাদের জীবনেও নেমে আসে বিভীষিকা। মোল্লারা তাদের আল্টিমেটাম দেয়, হয় মুসলিম হও না হয় এই এলাকা ত্যাগ কর। এদিকে গ্রামে ইসলামী এনজিওদের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পায়। তারা হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধসহ অন্যান্য অমুসলিমদের ইসলাম গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রলোভন দেয়, ঋণ দেয়। তাতে কাজ না হলে ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। এতেও কাজ না হলে ঐসব অমুসলিম পরিবারের যুবক-যুবতীদের অপহরণ করে জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করে। এভাবে একদিন দেখা যায় যে, গ্রামটি অমুসলিমশূন্য হয়ে গেল। ব্ল্যাক সিনেমায় দেখানো হচ্ছে কিভাবে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া শরীয়া আইন মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে সাথে সাথে সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়কে নির্মূল করছে। শোয়েব চৌধুরীর এই সিরিজ সিনেমাটি যে দেশ ও ইসলাম বিরোধী ভয়ানক প্রোপাগান্ডার অংশ, এতে কোন সন্দেহ নেই। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ ও মুসলিম জনগোষ্ঠিকে হেয় করার জন্য এই জঘন্য ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। ইসলাম সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র একাডেমিক জ্ঞান নেই তার দ্বারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করা কূপমণ্ডুকতার শামিল। তিনি ডাহা মিথ্যা কথা দিয়ে এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। যে সমস্ত তথ্য এ সিনেমাটিতে দেয়া হয়েছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। গত ১২ জানুয়ারী ওয়াশিংটন বাংলা রেডিওতে শোয়েব চৌধুরী তার নির্মিতব্য ব্ল্যাক সিনেমা নিয়ে যে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন তাও মিথ্যা দিয়ে ভরা। তিনি বলেন, “A secular government came to power in the year 2008 but things really didn’t change much at Bangladesh. Every year almost sixteen thousand Hindu Women in Bangladesh are kidnapped and converted to Islam forcefully. The numbers have not changed in the year 2011 also”. অর্থাৎ- “২০০৮ সনে বাংলাদেশে সেক্যুলার সরকার ক্ষমতায় এলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ অবস্থার বাস্তবিক কোন পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশে প্রত্যেক বছর প্রায় ১৬ হাজার হিন্দু মহিলা অপহৃত হয় এবং তারা বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ২০১১ তে এসেও এই সংখ্যা কমেনি মোটেও”। এর চেয়ে জঘন্য মিথ্যাচার আর কি হতে পারে! সেক্যুলার সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পরিবর্তনের নামে ইসলাম ধ্বংসের মহোৎসবকে আড়াল করা কিংবা এর মাত্রা আরও বৃদ্ধির জন্যই কি তার এ আয়োজন? শোয়েব চৌধুরী কি নির্দিষ্ট করে ঐ প্রত্যেক বছর অপহৃত হওয়া এবং বাধ্য হয়ে মুসলিম হয়ে যাওয়া হিন্দু মহিলার নাম বলতে পারবেন? তারা কোন গ্রামের এবং কোন বাপের সন্তান তার তথ্য কি চৌধুরীর কাছে আছে? বিশ্ব বিখ্যাত পপশিল্পী ক্যাট স্টিভেন (ইউসুফ ইসলাম), টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা লরা বুথসহ উন্নত বিশ্বের লাখো লাখো অমুসলিমকে কোন বাংলাদেশী মুসলিমরা ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করছে? তিনি এরকম আজগুবি আরো অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন: The oppression of the religious minorities at Bangladesh continues unabated. There were many incidents of attacks on the Hindu mandirs during the Durga puja, this year. None were reported and the governments at Bangladesh is least bothered to take up the causes for minorities. তিনি সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করে বলেন: The purpose of making the film is not at all commercial but to make people aware of what happens with the woman; once she is abducted and converted. The girl’s family is not aware of what the girl goes through after kidnapping. The film tries to answer this and in the process make people aware of the evil of this practice and the suffering of humanity. শয়তানের ভালো কথার মধ্যে যেরকম শয়তানীতে ভরপুর থাকে; কল্যাণের কিছু থাকে না, তেমনি শোয়েব চৌধুরীও তার দোসরদের নিয়ে বাংলাদেশ ও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম নিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ধর্মদ্রোহী এই কুলাঙ্গারের চোখের সামনে শত শত মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড হলেও তা তার চোখকে স্পর্শ করে না। ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠী যে অবর্ণনীয় দু:খ-কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে তা নিয়ে তিনি কি কোনদিন ভেবেছেন? সভ্যতার এই চরম উৎকর্ষের যুগে গুজরাটে কয়েক হাজার মুসলিমকে পুড়িয়ে মারলেও চৌধুরীদের রক্ত পিপাসা মেটে না, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে আরেক গুজরাট বানাতে চান। বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়াকে অসাম্প্রদায়িক(?) চৌধুরী সাহেব কী বলবেন? কাশ্মীর, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, ইরাকে প্রতিদিন শতশত নর-নারী যে নির্মমতার শিকার হয় তা কি এই বিকৃত মস্তিস্কওয়ালা বিপথগামী সাংবাদিককে কখনো ব্যাথিত করে? জারজ রাষ্ট্র ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনী নাগরিকদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে, নারীদের ধর্ষণ করে, শান্তির জনপদকে অশান্ত করে, অবরোধ করে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নষ্ট করে তখন তা নিয়ে চৌধুরী সাহেব সিনেমা তৈরী করেন না কেন? বসনিয়া, কসোভোর কসাইদের নিয়ে তার কেন মাথা ব্যথা নেই? ইসলামবিরোধীচক্র বিশেষত ইসরাইলের পালকপুত্রের কাছে ওগুলো কোন অন্যায় নয়। ওগুলোর বিরুদ্ধে বললেতো আর প্রভূদের থেকে ভিক্ষা পাওয়া যাবে না! বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে কারা উপজাতীয়দের খ্রীষ্টান বানায় তা সবাই জানে। শুধু তাই নয় অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে মুসলমান বালক-বালিকাদেরকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ আছে। স্কুলে বালক-বালিকাদের চোখ বন্ধ করে চকলেট দিয়ে আবার চোখ খোলার পরে জিজ্ঞেস করা হয় কে এই চকলেট দিল? সবাই যখন উত্তর দেয় ম্যাডাম দিয়েছে; তখন তাদেরকে চোখ বুজে আল্লাহর কাছে চকলেট চাইতে বলা হয় এবং চকলেট না পাওয়া গেলে বলা হয় আল্লাহ বলতে কিছু নেই। কিন্তু এসব দৃশ্যকে এড়িয়ে গিয়ে ইসলামী এনজিওর বিরুদ্ধে সর্বৈব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যে সিনেমা বানানো হলো তা এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করবে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ম্যাসেজ যাবে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলসহ অন্যরাষ্ট্রগুলো আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হবে। চৌধুরী সাহেব জিহাদের কি বোঝেন? জিহাদ মানে যুদ্ধ ও হত্যা নয়। জিহাদ অর্থ হচ্ছে- জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মুসলিমকে ইসলামের উপর টিকে থাকার চেষ্টা করা। নফস, শয়তান ও তাগুতের বিপক্ষে সত্যের পক্ষে অটল থাকার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার নাম জিহাদ। জিহাদ হচ্ছে- ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জান মাল ও সবকিছু দিয়ে একান্ত চেষ্টা করা। হিজাব নারীর অলংকার। এটি নারীকে শোয়েব চৌধুরীর মত শয়তানদের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। হিজাব কখনো নারীর কোন অধিকারকে ক্ষুন্ন করে না। তবে হ্যাঁ হিজাব চৌধুরী সাহেবদের মতো ভোগবাদীদের লাম্পট্যকে বাধাগ্রস্থ করে। ইসলাম পুরুষের চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য বিবাহের ব্যবস্থা করেছে। প্রয়োজন হলে শর্ত সাপেক্ষে একসাথে চারটি বিয়ের অনুমতিও দেয়া হয়েছে। তবে ইসলামের শর্ত মেনে একসাথে চারজন স্ত্রী ঘরে রাখা মোটামুটি অসম্ভব। শোয়েব চৌধুরী মূলত: বহু বিবাহের নামে ইসলামের বিবাহ নামক পবিত্র প্রথাকে বিলোপ করার চেষ্টা করছেন। ঘরে বৈধ বৌ থাকলে যে অবাধে নাইট ক্লাবে গমন, বহু নারীর সংস্পর্শ পাওয়া খুব কঠিন তা তিনি ভালো করে জানেন বিধায় বিবাহ উচ্ছেদের এই পরিকল্পনা। তার আরেক দোস্ত তসলিমা নাসরিন তার এক বইতে চৌধুরীর মতো বাবার বয়সী প্রগতিশীল পুরুষদের মহৎ(?) চরিত্রের বয়ান লিখে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের আরেক দিকপাল তার মেয়ের বান্ধবীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে সকল লাজ লজ্জা ফেলে বিয়েই করে ফেললেন। আরেক বিখ্যাত বৃদ্ধ কবির (এখন মরহুম) কাছে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা রাত যাপন করার আবদার করতেন এবং তা তিনি ফেলতে পারতেন না তার মহত্বের গুণে। শোয়েব চৌধুরী কি বলতে পারবেন বাংলাদেশের কোন কোন মোল্লা একাধিক স্ত্রী রেখে তাদেরকে দিয়ে কৃষি কাজ করান? কোন মোল্লার বউ চিকিৎসার অভাবে ঘরে বসে মারা গেছেন? অবশ্য অভাবগ্রস্থ সাধারণ বাংলাদেশীদের অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যেতে পারেন, সেটি কোন বিশেষ গেষ্ঠির জন্য নির্দিষ্ট নয়। তিনি যে কাল্পনিক শান্তিগ্রামের কথা বলেছেন সে রকম কি কোন বাস্তবিক গ্রামের অস্তিত্ব এদেশে আছে? বাংলাদেশে আবহমান কাল ধরে হিন্দু, খ্রীষ্টান, উপজাতি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে মুসলমানদের যে সদ্ভাব বিদ্যমান আছে তার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। এদেশে উপজাতির জন্য সরকারীভাবে কোটা পদ্ধতি চালু আছে। হিন্দুরা এদেশে মন্ত্রিত্ব করছে, এম.পি হচ্ছে। পুলিশ অফিসার, ডিসি, এসপিসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে হিন্দুদের উপস্থিতি কম নয়। বরং কখনো কখনো তাদের ভাব দেখলে মনে হয় না তারা এদেশে সংখ্যালঘু। তারপরও শোয়েব চৌধুরীর হিন্দুদের নিয়ে যে এত উদ্বেগ তার পিছনে রহস্য কি? তিনি শুধু সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলে সংখ্যাগুরু নির্যাতনের বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মিশর, তিওনিসিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুগের পর যুগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠি সেক্যুলার শক্তির দ্বারা নির্যাতিত হলেও ওদিকে তাকানোর সুযোগ চৌধুরীর নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হলেও বাংলাদেশেও আজ কী ঘটছে? গুটিকয়েক নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের ক্ষমতার দাপটে ইসলামী চেতনা, ইসলামী শিক্ষা, ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী সংগঠন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস ও চেতনার প্রতীক মাহমুদুর রহমানরা আজ বন্দীশালায় ধুকেধুকে মরছে, আর তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সাংবাদিক তৌহিদী জনতার চোখে ধুলা দিয়ে বাংলাদেশে বসেই ইসলামের বিরুদ্ধে ছবি নির্মাণ করে তামাশা দেখছে! এরা মূলত সংখ্যালঘুর দোহাই তুলে সংখ্যাগরিষ্ঠকে নির্মূলের আয়োজন করছে। পরিসংখ্যান বলছে, যে এলাকায় মাদরাসা বেশী সেই এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা বেশী। সে এলাকায় তুলনামূলকভাবে অপরাধ সংঘটিত কম হয়। সারাদেশে এত ইভটিজিং, নারী-ধর্ষণ, এসিড সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতন কারা করছে? ঐসব ঘটনায় কয়জন মাদরাসার ছাত্র জড়িত? রেকর্ড বলছে মাদরাসার ছাত্ররা এসব কাজে জড়িত নেই বললেই চলে। তারপরও মাদরাসার বিরুদ্ধে এত বিষোদগার কেন? কারণও সবার জানা। হান্টিংটনের গবেষণায় আগামী শতাব্দীতে পাশ্চাত্যের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমান। অতএব বিভিন্ন ছলনায় এদেরকে নির্মূল করা চাই। বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধন করতে তথাকথিত মুসলিম সহযোদ্ধাদের বিকল্প নেই। শোয়েব চৌধুরীরাতো ঐ দলেরই গর্বিত সদস্য। যাইহোক ব্ল্যাক ছবিতে শোয়েব চৌধুরী যে বিষয়গুলোর অবতারণা করেছেন তার সাথে বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা ছাড়া বাস্তবতার কোন মিল নেই। শুধুমাত্র বিকৃত মস্তিস্ক সম্পন্ন বিবেকহীন নির্বোধ দিয়েই এরকম বাস্তবতা বিবর্জিত দেশ ও ইসলাম বিরোধী ছবি নির্মাণ করা সম্ভব। গত ১লা বৈশাখ তিনি ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় জনতাকে তার এই হীন প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে। দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল অপতৎপরতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ তারা যেন এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্ল্যাক সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে দেশ ও ইসলামের ভাবমূর্তি রক্ষায় এগিয়ে আসেন। লেখক: সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

http://www.sonarbangladesh.com/articles/MuhammadAminulHaque

সূত্রঃ

Pakistan and “The Haqqani Network” : The Latest Orchestrated Threat to America and The End of History

by Dr. Paul Craig Roberts | Global Research,

Have you ever before heard of the Haqqanis? I didn’t think so. Like Al Qaeda, about which no one had ever heard prior to 9/11, the “Haqqani Network” has popped up in time of need to justify America’s next war–Pakistan.

President Obama’s claim that he had Al Qaeda leader Osama bin Laden exterminated deflated the threat from that long-serving bogyman. A terror organization that left its leader, unarmed and undefended, a sitting duck for assassination no longer seemed formidable. Time for a new, more threatening, bogyman, the pursuit of which will keep the “war on terror” going.

Now America’s “worst enemy” is the Haqqanis. Moreover, unlike Al Qaeda, which was never tied to a country, the Haqqani Network, according to Admiral Mike Mullen, chairman of the US Joint Chiefs of Staff, is a “veritable arm” of the Pakistani government’s intelligence service, ISI. Washington claims that the ISI ordered its Haqqani Network to attack the US Embassy in Kabul, Afghanistan, on September 13 along with the US military base in Wadak province.

Washington claims that the ISI ordered its Haqqani Network to attack the US Embassy in Kabul, Afghanistan.

Senator Lindsey Graham, a member of the Armed Services committee and one of the main Republican warmongers, declared that “all options are on the table” and gave the Pentagon his assurance that in Congress there was broad bipartisan support for a US military attack on Pakistan.

As Washington has been killing large numbers of Pakistani civilians with drones and has forced the Pakistani army to hunt for Al Qaeda throughout most of Pakistan, producing tens of thousands or more of dislocated Pakistanis in the process, Sen. Graham must have something larger in mind.

The Pakistani government thinks so, too. The Pakistani prime minister,Yousuf Raza Gilani, called his foreign minister home from talks in Washington and ordered an emergency meeting of the government to assess the prospect of an American invasion.

 Meanwhile, Washington is rounding up additional reasons to add to the new threat from the Haqqanis to justify making war on Pakistan: Pakistan has nuclear weapons and is unstable and the nukes could fall into the wrong hands; the US can’t win in Afghanistan until it has eliminated sanctuaries in Pakistan; blah-blah.

Washington has been trying to bully Pakistan into launching a military operation against its own people in North Waziristan. Pakistan has good reasons for resisting this demand. Washington’s use of the new “Haqqani threat” as an invasion excuse could be Washington’s way of overcoming Pakistan’s resistance to attacking its North Waziristan province, or it could be, as some Pakistani political leaders say, and the Pakistani government fears, a “drama” created by Washington to justify a military assault on yet another Muslim country.

Over the years of its servitude as an American puppet, the Pakistan government has brought this on itself. Pakistanis let the US purchase the Pakistan government, train and equip its military, and establish CIA interface with Pakistani intelligence. A government so dependent on Washington could say little when Washington began violating its sovereignty, sending in drones and special forces teams to kill alleged Al Qaeda, but usually women, children, and farmers. Unable to subdue after a decade a small number of Taliban fighters in Afghanistan, Washington has placed the blame for its military failure on Pakistan, just as Washington blamed the long drawn-out war on the Iraqi people on Iran’s alleged support for the Iraqi resistance to American occupation.

Some knowledgeable analysts’ about whom you will never hear in the “mainstream media,” say that the US military/security complex and their neoconservative whores are orchestrating World War III before Russia and China can get prepared. As a result of the communist oppression, a signifiant percentage of the Russian population is in the American orbit. These Russians trust Washington more than they trust Putin. The Chinese are too occupied dealing with the perils of rapid economic growth to prepare for war and are far behind the threat.

War, however, is the lifeblood of the profits of the military/security complex, and war is the chosen method of the neoconservatives for achieving their goal of American hegemony.

Pakistan borders China and former constituent parts of the Soviet Union in which the US now has military bases on Russia’s borders. US war upon and occupation of Pakistan is likely to awaken the somnolent Russians and Chinese. As both possess nuclear ICBMs, the outcome of the military/security complex’s greed for profits and the neoconservatives’ greed for empire could be the extinction of life on earth.

The patriots and super-patriots who fall in with the agendas of the military-security complex and the flag-waving neoconservatives are furthering the “end-times” outcome so fervently desired by the rapture evangelicals, who will waft up to heaven while the rest of us die on earth.

This is not President Reagan’s hoped for outcome from ending the cold war.

Source: Pakalert Press

3 NATO Ships Sunk, 15 Senior NATO Personnel Held Captive In Benghazi

Leonor conveys the degree of censorship we are under, how little we are actually being told, from NATO atrocities to NATO losses.

The 15 NATO personnel abducted are talked about at 8 min 35.

 

 

Source: Pakalert Press

The Destabilization of Syria and the Broader Middle East War

by Michel Chossudovsky

What is unfolding in Syria is an armed insurrection supported covertly by foreign powers including the US, Turkey and Israel.

Armed insurgents belonging to Islamist organizations have crossed the border from Turkey, Lebanon and Jordan. The US State Department has confirmed that it is supporting the insurgency.

The United States is to expand contacts with Syrians who are counting on a regime change in the country.

This was stated by U.S. State Department official Victoria Nuland. “We started to expand contacts with the Syrians, those who are calling for change, both inside and outside the country,” she said.

Nuland also repeated that Barack Obama had previously called on Syrian President Bashar Assad to initiate reforms or to step down from power.” (Voice of Russia, June 17, 2011)

The destabilization of Syria and Lebanon as sovereign countries has been on the drawing board of the US-NATO-Israel military alliance for at least ten years.

Action against Syria is part of a “military roadmap”, a sequencing of military operations. According to former NATO Commander General Wesley Clark–the Pentagon  had clearly identified Iraq, Libya, Syria and Lebanon as target countries of a US-NATO intervention:

“[The] Five-year campaign plan [included]… a total of seven countries, beginning with Iraq, then Syria, Lebanon, Libya, Iran, Somalia and Sudan” (Pentagon official quoted by General Wesley Clark)

In “Winning Modern Wars” (page 130) General Wesley Clark states the following:

“As I went back through the Pentagon in November 2001, one of the senior military staff officers had time for a chat. Yes, we were still on track for going against Iraq, he said. But there was more. This was being discussed as part of a five-year campaign plan, he said, and there were a total of seven countries, beginning with Iraq, then Syria, Lebanon, Libya, Iran, Somalia and Sudan.

…He said it with reproach–with disbelief, almost–at the breadth of the vision. I moved the conversation away, for this was not something I wanted to hear. And it was not something I wanted to see moving forward, either. …I left the Pentagon that afternoon deeply concerned.”

The objective is to destabilize the Syrian State and implement “regime change” through the covert support of an armed insurgency, integrated by Islamist militia. The reports on civilian deaths are used to provide a pretext and a justification for humanitarian intervention under the principle “Responsiblity to Protect”.

Media Disinformation

Tacitly acknowledged , the significance of an armed insurrection is casually dismissed by the Western media. If it were to be recognized and analysed, our understanding of unfolding events would be entirely different.

What is mentioned profusely is that the armed forces and the police are involved in the indiscriminate killing of civilian protesters. Press reports confirm, however, from the outset of the protest movement an exchange of gunfire between armed insurgents and the police, with casualties reported on both sides.

The insurrection started in mid March in the border city of Daraa, which is 10 km from the Jordanian border.

The Daraa “protest movement” on March 18 had all the appearances of a staged event involving, in all likelihood, covert support to Islamic terrorists by Mossad and/or Western intelligence. Government sources point to the role of radical Salafist groups (supported by Israel)

Other reports have pointed to the role of Saudi Arabia in financing the protest movement.

What has unfolded in Daraa in the weeks following the initial violent clashes on 17-18 March, is the confrontation between the police and the armed forces on the one hand and armed units of terrorists and snipers on the other which have infiltrated the protest movement.

….

What is clear from these initial reports is that many of the demonstrators were not demonstrators but terrorists involved in premeditated acts of killing and arson. The title of the Israeli news report summarizes what happened:  Syria: Seven Police Killed, Buildings Torched in Protests.

(See Michel Chossudovsky, SYRIA: Who is Behind The Protest Movement? Fabricating a Pretext for a US-NATO “Humanitarian Intervention”, http://www.globalresearch.ca/index.php?context=va&aid=24591 Global Research,  May 3, 2011)

The Role of Turkey

The center of the insurrection has now shifted to the small border town of Jisr al-Shughour, 10 km from the Turkish border.

Jisr al-Shughour has a population of 44,000 inhabitants. Armed insurgents have crossed the border from Turkey.

Members of the Muslim Brotherhood are reported to have taken up arms in northwest Syria.

There are indications that Turkish military and intelligence are supporting these incursions.

There was no mass civilian protest movement in Jisr al-Shughour. The local population was caught in the crossfire. The fighting between armed rebels and government forces has contributed to triggering a refugee crisis, which is the center of media attention.

Muslim Brotherhood Rebels at Jisr al Shughour Photos AFP June 16, 2011

In contrast, in the nation’s capital Damascus, where the mainstay of social movements is located, there have been mass rallies in support rather than in opposition to the government.

President Bashir al Assad is casually compared to presidents Ben Ali of Tunisia and Hosni Mubarak of Egypt. What the mainstream media has failed to mention is that despite the authoritarian nature of the regime, president Al Assad is a popular figure who has widespread support of the Syrian population.

The large rally in Damascus on March 29, “with tens of thousands of supporters” (Reuters) of President Al Assad was barely mentioned. Yet in an unusual twist, the images and video footage of several pro-government events were used by the Western media to convince international public opinion that the President was being confronted by mass anti-government rallies.

 

Syrians display a giant national flag with a picture of Syria’s President Bashar al-Assad during a
pro-government rally at the central bank square in Damascus March 29, 2011. (Reuters Photo)

On June 15, thousands of people rallied over several kilometers on Damascus’ main highway in a march holding up a 2.3 km Syrian flag. The rally was acknowledged by the media and casually dismissed as irrelevant.

AP. Thousands of supporters of Syrian President Bashar Assad carry a 2,300-metre-long Syrian flag in a demonstration in Damascus on Wednesday.

While the Syrian regime is by no means democratic, the objective of the US-NATO Israel military alliance is not to promote democracy. Quite the opposite. Washington’s intent is to eventually install a puppet regime.

The objective through media disinformation is to demonize president Al Assad and more broadly to destabilize Syria as a secular state. The latter objective is implemented through covert support of  various Islamist organizations:

Syria is run by an authoritarian oligarchy which has used brute force in dealing with its citizens. The riots in Syria, however, are complex. They cannot be viewed as a straightforward quest for liberty and democracy. There has been an attempt by the U.S. and the E.U. to use the riots in Syria to pressure and intimidate the Syrian leadership. Saudi Arabia, Israel, Jordan, and the March 14 Alliance have all played a role in supporting an armed insurrection.

The violence in Syria has been supported from the outside with a view of taking advantage of the internal tensions… Aside from the violent reaction of the Syrian Army, media lies have been used and bogus footage has been aired. Money and weapons have also been funnelled to elements of the Syrian opposition by the U.S., the E.U….Funding has also been provided to ominous and unpopular foreign-based Syrian opposition figures, while weapons caches were smuggled from Jordan and Lebanon into Syria. (Mahdi Darius Nazemroaya, America’s Next War Theater: Syria and Lebanon? http://globalresearch.ca/index.php?context=va&aid=25000, Global Research, June 10, 2011)

The joint Israel-Turkey military and intelligence agreement

The geopolitics of this process of destabilization are far-reaching. Turkey is involved in supporting the rebels.

The Turkish government has sanctioned Syrian opposition groups in exile which support an armed insurgency. Turkey is also pressuring Damascus to conform to Washington’s demands for regime change.

Turkey is a member of NATO with a powerful military force. Moreover, Israel and Turkey have a longstanding joint military-intelligence agreement, which is explicitly directed against Syria.

…A 1993 Memorandum of Understanding led to the creation of (Israeli-Turkish) “joint committees” to handle so-called regional threats. Under the terms of the Memorandum, Turkey and Israel agreed “to cooperate in gathering intelligence on Syria, Iran, and Iraq and to meet regularly to share assessments pertaining to terrorism and these countries’ military capabilities.”

Turkey agreed to allow IDF and Israeli security forces to gather electronic intelligence on Syria and Iran from Turkey. In exchange, Israel assisted in the equipping and training of Turkish forces in anti-terror warfare along the Syrian, Iraqi, and Iranian borders.”

…

Already during the Clinton Administration, a triangular military alliance between the US, Israel and Turkey had unfolded. This “triple alliance”, which is dominated by the US Joint Chiefs of Staff, integrates and coordinates military command decisions between the three countries pertaining to the broader Middle East. It is based on the close military ties respectively of Israel and Turkey with the US, coupled with a strong bilateral military relationship between Tel Aviv and Ankara. ….

The triple alliance is also coupled with a 2005 NATO-Israeli military cooperation agreement which includes “many areas of common interest, such as the fight against terrorism and joint military exercises. These military cooperation ties with NATO are viewed by the Israeli military as a means to “enhance Israel’s deterrence capability regarding potential enemies threatening it, mainly Iran and Syria.” (See Michel Chossudovsky,“Triple Alliance”: The US, Turkey, Israel and the War on Lebanon, August 6, 2006)

Covert  support to armed insurgents out of Turkey or Jordan would no doubt be coordinated under the joint Israel-Turkey military and intelligence agreement.

Prime Minister Recep Tayyip Erdogan with (former) Prime Minister Ariel Sharon (2004)

Dangerous Crossroads: The Broader Middle East War

Israel and NATO signed a far-reaching military cooperation agreement in 2005. Under this agreement, Israel is considered a de facto member of NATO.

If a military operation were to be launched against Syria, Israel would in all likelihood be involved in military undertakings alongside NATO forces (under the NATO-Israel bilateral agreement).  Turkey would also play an active military role.

A military intervention in Syria on fake humanitarian grounds would lead to an escalation of the US-NATO led war over a large area extending from North Africa and the Middle East to Central Asia, from the Eastern Mediterranean to China’s Western frontier with Afghanistan and Pakistan.

It would also contribute to a process of political destabilization in Lebanon, Jordan and Palestine. It would also set the stage for a conflict with Iran.

Source :

 

Six Principles of Global Manipulation [Video]

In their arrogance, convinced that by 2012 Europe will have become that socialist-like superstate and the global NWO (European Union/North American Union (SPP)(EU/NAU) will be a fact, they will celebrate the historical Venus rising and transit on Solar Maximum 2012 with a Nazi–Germany style Olympic Games (Berlin -1936) in order to demonstrate the power and reality of this New World Order and their supporters to the entire world.

 

 

What is Globalization?

In the 20th century the human race was confronted with such a natural phenomenon as globalization. Globalization can be defined as the process of concentration of power over all the mankind in one person or a small group. This process has been under way throughout the whole human history and is now near completion. Centuries ago Ancient Egyptian priests became aware that globalization can be controlled. They have worked out the overall principles and patterns of controlling society to achieve their own goals, and headed up this process. Let us take a look at how globalization process is being controlled now.

Principle 6 : Weapon of War

“War is the continuation of politics by other means” — Karl von Clausewitz

The oldest and fastest way of controlling people has always been the war. The object of any war is the conquest of territories, wealth, human resources or complete elimination of enemy. World history has witnessed a great number of brutal wars.

Principle 5 : Weapon of Genocide

“All the crimes on Earth do not destroy so many of the human race, nor alienate so much property, as drunkenness” — Sir Francis Bacon

The next step in the process of globalization was the transition from “hot wars” waged by ordinary weapons to “cold wars” waged through the so called “cultural co-operation”. It’s possible to completely eliminate or subdue a whole nation to one’s own will by means of such genocide weapons as drugs, alcohol, tobacco, several types of vaccines and genetically modified foods. Yet to keep people unaware of the destructive nature of these weapons they have been disguised as superficially harmless means of relaxation, stress relief, amusement and acquiring immunity to disease. This idea is being inculcated in the minds through culture, mass media, and specially planted proverbs and tokens. In reality these substances are dangerous poisons undermining the genetics of the human species, destroying the human being both morally and physically, wiping out the existing and future generations.

Principle 4 : Economical

“Give me control of a nation’s money and I care not who makes the laws” — Mayer Amschel Rothschild“

Globalizers see no point in destroying nations completely. They are better off leaving a part of the slaves’ population alive having subdued its economics to their narrow clannish interests, but also in such the manner that a nation hasn’t the slightest idea of what is really going on. This can be done through universal money and the institution of credit, by means of usurious interest rates that allow the bankers’ clans to receive skyrocketing profits from credit interest without creating any values for the society, while other people, their families, entire nations have to spend their lives paying off debt and essentially become slaves.

Principle 3 : Factual

“There are no facts, only interpretations”– Friedrich Wilhelm Nietzsche

A whole nation or separate social classes can be ruled much more efficiently after being brainwashed with various ideologies, religious dogmas, sociological doctrines and mass media. And if need be at some point in time people start being collided by activation of inherent contradictions using some special techniques such as provocations, assassinations, scandalous news articles, caricatures or deliberate mistakes, which seem to be accidental from outside. For example, we are now witnessing the attempts to set the traditional Islam and Biblical Christianity against each other, despite the belief shared by quite a number of world religions that God, the Creator, the Almighty is One for all creatures of the Earth.

Principle 2 : Chronological

“Look behind in the past more often to avoid big mistakes in the future”– Kozma Prutkov

It is common knowledge that one who has forgotten the history of his Motherland is like a tree with no roots. But what would happen if a whole nation forgot its history or accepted some historical myth imposed on it by external hostile elements.

To quote George Orwell, “Who controls the past controls the future. Who controls the present controls the past”.

Rewriting of a nations history inevitably leads to alteration of its future..

Principle 1. Ideological (worldview)

“If you want to defeat your enemy bring up his children”– oriental wisdom

Conquest of a nation will become most steady, effective and almost irreversible if one manages to somehow alter its worldview nationwide, so that the nation willfully serves the interests of the invaders, considering them a part of their normal life.

“This world a hollow pageant you should deem;
All wise men know things are not what they seem;
Be of good cheer, and drink, and so shake off
This vain illusion of a baseless dream”
Omar Khayyam

Another CIA Blunder – ‘Kidnapped US Lesbian’ In Syria PsyOp Exposed?

By JOHN STEVENS

• London woman says photo of U.S. lesbian blogger ‘kidnapped in Syria’ is actually her
• Jelena Lecic said: ‘I don’t know how this happened, I’ve never met her. This has put me in danger’
• Blogger’s ‘girlfriend’ admits she’s never met her
• Story of alleged kidnap was reported across the globe

The reported kidnap of a U.S. lesbian blogger in Syria has come into question after a woman in Britain claimed that photos being used to call for her release are actually her.

Thousands of campaigners joined protest groups after media outlets across the world reported that Amina Arraf, a blogger known for her frank posts about her sexuality and her open criticism of President Bashar Assad had been detained.

But a woman in London came forward today claiming the photos being circulated were actually her, raising questions about the existence of the blogger.

Fake? These photos had been used by the prolific gay blogger

Concerns: Jelena Lecic said that the identity theft has put her in danger

Jelena Lecic found out that pictures of her were being used by the blogger when she saw her photo used next to an article in a British newspaper.

It reported that on Monday the supposed U.S. citizen was bundled into a car by three men in their 20s in civilian clothes in Damascus, the capital of Syria, where homosexuality is illegal.

‘That is absolutely my picture taken in the last year in Paris,’ Miss Lecic told the BBC’s Newsnight.

‘It was [taken] on my birthday. I don’t know how this happened. I was very upset to see my picture.

‘I’ve never met her [Amina]. I’m not part of her blog. I’m not friends with her,’ said the Croatian who is working as an adminstrator at the Royal College in London.

‘I’m very upset because you have privacy settings on Facebook and obviously it doesn’t work because anyone can hijack your picture.

‘This has put me in danger. This person is a gay activist in Syria. I really don’t feel comfortable.’

Stolen identity: Jelena Lecic, who lives in London, said her photo was used alongside stories about the ‘missing’ Syrian blogger

Lesbian blogger? A woman in London said this photo reported to be of blogger Amina Arraf is actually her.

Miss Lecic believes that her identity was stolen about a year ago, when her Facebook photographs appeared on another person’s profile.

An activist with the Local Coordination Committees, a group which helps documents the protests calling for an end to the Assad regime, had confirmed to reporters on Tuesday that Arraf had been taken.

But on Wednesday, the same activist said the group had ‘no independent confirmation’ and had reported it based on an entry by Arraf’s cousin on her ‘A Gay Girl in Damascus’ blog and from two people who claimed to be friends but who also got the information from the blog.

‘As far as we know, nobody’s emerged who has actually met her,’ the activist said.

On Tuesday news outlets across the globe reported the story of Amina Arraf, who it was claimed wrote a blog called ‘A Gay Girl in Damascus’, a mixture of erotic prose and updates about Syria’s uprising, including her participation in anti-regime protests.

Campaign: Thousands of people have joined a Facebook group calling for the release of Amina Arraf,

Gay girl in Damascus: Followers of the blog have started a campaign for her to be freed.

A person claiming to be her cousin, Rania Ismail, posted on her cousin’s blog, that Arraf  had been taken in a car that had a sticker depicting Assad’s late brother Basel, according to a friend who was nearby and saw what happened.

‘Amina hit one of them,’ her cousin posted on Monday night. ‘One of the men then put his hand over Amina’s mouth and they hustled her into a red Dacia Logan.’

‘We are hoping she is simply in jail and nothing worse has happened to her,’ Miss Ismail wrote.

A woman who had claimed to have been Arraf’s girlfriend has admitted she had never actually met her.

Sandra Bagaria, who had said she ‘crashed to the street’ sobbing when she heard about the kidnapping, had conducted an online relationship with her since January entirely through Internet communications in writing, including more than 500 e-mails.

The protests go on: Hundreds took to the streets in Talbiseh, in the central province of Homs, after it came under attacks from government troops

The day before the supposed blogger was reportedly detained, Arraf wrote:

‘I am complex, I am many things; I am an Arab, I am Syrian, I am a woman, I am queer, I am Muslim, I am binational, I am tall, I am too thin; my sect is Sunni, my clan is Omari, my tribe is Quraysh, my city is Damascus.

In the blog Arraf also said that she was born in Virginia, but no public records with her name or her parents’ names have been found there.

Since the uprising against Assad began in mid-March, a government crackdown has left about 1,300 people dead and more than 10,000 detained, according to human rights groups.

Homosexuality is illegal in Syria and gays are frowned upon by the country’s conservative society. It is rare for gay Arabs to speak openly about their sexuality.

Thousands of people had joined a ‘Free Amina’ Facebook page, calling for her release.

 

Israel Created Hamas to Avoid Peace

Israel created Hamas as an excuse to wage war on the Palestinians. For example, on May 18, a Hamas MP said all Israelis must be annihilated. This is a perfect excuse for Zionists and their supporters to forestall the peace process.This report suggests the Hamas MP could easily work for Israel.

by David Livingstone

(abridged by henrymakow.com)

The Israelis created Hamas.  But before we explore why, let’s be clear  that Israel does not want peace.  They want all of Palestine, and their belligerent settlement practices confirm that.

But the Israelis are taking advantage of the world’s ignorance of the realities in Palestine, and posturing as being willing to talk “peace”, only to actually stall that very peace process, so as not to interrupt the further colonization of Palestine.

So anything that can be offered as an excuse, will be.  The most convenient ploy, presented with the sycophantic assistance of the media, is that of “terrorism”.

But the masses are naive, and fail to suspect the Machiavellian extremes that certain leaders will resort to.  This includes creating a false enemy, in this case, Hamas, whereby the right-wing leadership of the Israelis can point the finger to some “enemy” to blame for supposedly stalling the process.

 

HISTORICAL BACKGROUND

 

The West’s sponsorship of Islamic terrorism is nothing new.  After the collapse of the Ottoman Empire in 1924, the British and Americans filled the vacuum by providing their own versions of “Islamic” leaders.  This started with the creation of the Muslim Brotherhood through a grant from the British.  Under British sponsorship, the Brotherhood today represents a powerful force in the Islamic world, and is behind almost every act of terror in the name of Islam.

Under British sponsorship, Muslim Brotherhood is behind almost every act of terror in the name of Islam

More correctly, the Brotherhood has been a tool shared by numerous Western intelligence agencies, starting with the Nazis, followed by the CIA, but also the Russians, French, Germans and Israelis.

Since the Truman and Eisenhower administrations, the Muslim Brotherhood has been used to rally naive Muslims under the banner of Islam.  Ever since, the Americans and others have been able to manage the Brotherhood like a rabid dog on a leash to keep the atheist Communist threat at bay.

With the collapse of the Cold War however, the Brotherhood has been used as the bogey man which the Americans can chase into the Middle East and Central Asia, starting with Iraq and Afghanistan.

Israel’s long-standing relationship with the Muslim Brotherhood was instrumental in the founding of an offshoot organization, Hamas.

According to Robert Dreyfuss, author of “Devil’s Game: How the United States Helped Unleash Fundamentalist Islam”:

“And beginning in 1967 through the late 1980s, Israel helped the Muslim Brotherhood establish itself in the occupied territories.  It assisted Ahmed Yassin, the leader of the Brotherhood, in creating Hamas, betting that its Islamist character would weaken the PLO.”

According to Charles Freeman, former US ambassador to Saudi Arabia,

“Israel started Hamas. It was a project of Shin Bet [Isreali domestic intelligence agency], which had a feeling that they could use it to hem in the PLO.”

One aspect of that strategy was the creation of the Village Leagues, over which Yassin and the Brotherhood exercised much influence.  Israel trained about 200 members of the Leagues and recruited many paid informers.

New York Times Reporter David Shipler cites the Israeli military governor of Gaza as boasting that Israel expressly financed the fundamentalists against the PLO:

“Politically speaking, Islamic fundamentalists were sometimes regarded as useful to Israel, because they had conflicts with the secular supporters of the PLO.  Violence between the two groups erupted occasionally on West Bank university campuses. Israeli military governor of the Gaza Strip, Brigadier General Yitzhak Segev, once told me how he had financed the Islamic movement as a counterweight to the PLO and the Communists.  ‘The Israeli Government gave me a budget and the military government gives to the mosques,’ he said.”

As Dreyfuss notes, “during the 1980s, the Muslim Brotherhood in Gaza and the West Bank did not support resistance to the Israeli occupation.  Most of its energy went to fighting the PLO, especially its more left-wing factions, on university campuses.”

After the Palestinian uprising of 1987, the PLO accused Hamas and Yassin of acting “with the direct support of reactionary Arab regimes… in collusion with the Israeli occupation.”

Yasser Arafat complained to an Italian newspaper:

“Hamas is a creation of Israel, which at the time of Prime Minister Shamir, gave them money and more than 700 institutions, among them schools, universities and mosques.”

Arafat also maintained that Israeli prime minister Rabin admitted to him in the presence of Hosni Mubarak that Israel had supported Hamas.

Essentially, as analyst Ray Hannania pointed out, in “Sharon’s Terror Child”, published in Counterpunch,

“undermining the peace process has always been the real target of Hamas and has played into the political ambitions of Likud.  Every time Israeli and Palestinian negotiators appeared ready to take a major step forward achieving peace, an act of Hamas terrorism has scuttled the peace process and pushed the two sides apart.”

In “Hamas and the Transformation of Political Islam in Palestine”, for Current History, Sara Roy wrote:

“Some analysts maintain that while Hamas leaders are being targeted, Israel is simultaneously pursuing its old strategy of promoting Hamas over the secular nationalist factions as a way of ensuring the ultimate demise of the [Palestinian Authority], and as an effort to extinguish Palestinian nationalism once and for all.”

 

CONCLUSION

The Muslim Brotherhood, and its many manifestations like Al Qaeda and bin Laden, serve as an ever-present and manufactured “terrorist” threat, used constantly as a pretext to justify repressive measures at home and expanded imperialistic objectives abroad.

Because, despite all the rhetoric about the threat of “political Islam”, unbeknownst to the general public, the manipulation of the Muslim Brotherhood throughout the world is still a mainstay of American foreign policy.

Russia Says IMF Chief Jailed For Discovering All US Gold Is Gone

A new report prepared for Prime Minister Putin by the Federal Security Service (FSB) says that former International Monetary Fund (IMF) Chief Dominique Strauss-Kahn was charged and jailed in the US for sex crimes on May 14^th after his discovery that all of the gold held in the United States Bullion Depository located at Fort Knox was ‘missing and/or unaccounted’ for.

Federal Security Service (FSB)

According to this FSB secret report, Strauss-Kahn had become “increasingly concerned” earlier this month after the United States began “stalling” its pledged delivery to the IMF of 191.3 tons of gold agreed to under the Second Amendment of the Articles of Agreement signed by the Executive Board in April 1978 that were to be sold to fund what are called Special Drawing Rights (SDRs) as an alternative to what are called reserve currencies.

Former International Monetary Fund (IMF) Chief Dominique Strauss-Kahn

This FSB report further states that upon Strauss-Kahn raising his concerns with American government officials close to President Obama he was ‘contacted’ by ‘rogue elements’ within the Central Intelligence Agency (CIA) who provided him ‘firm evidence’ that all of the gold reported to be held by the US ‘was gone’.

‘Rogue elements’ within the Central Intelligence Agency (CIA) who provided former International Monetary Fund (IMF) Chief Dominique Strauss-Kahn ‘firm evidence’ that all of the gold reported to be held by the US ‘was gone’

Upon Strauss-Kahn receiving the CIA evidence, this report continues, he made immediate arrangements to leave the US for Paris, but when contacted by agents working for France’s General Directorate for External Security (DGSE) that American authorities were seeking his capture he fled to New York City’s JFK airport following these agents directive not to take his cell-phone because US police could track his exact location.

Once Strauss-Kahn was safely boarded on an Air France flight to Paris, however, this FSB report says he made a ‘fatal mistake’ by calling the hotel from a phone on the plane and asking them to forwarded the cell-phone he had been told to leave behind to his French residence, after which US agents were able to track and apprehend him.

Within the past fortnight, this report continues, Strauss-Kahn reached out to his close friend and top Egyptian banker Mahmoud Abdel Salam Omar to retrieve from the US the evidence given to him by the CIA. Omar, however, and exactly like Strauss-Kahn before him, was charged yesterday by the US with a sex crime against a luxury hotel maid, a charge the FSB labels as ‘beyond belief’ due to Omar being 74-years-old and a devout Muslim.

In an astounding move puzzling many in Moscow, Putin after reading this secret FSB report today ordered posted to the Kremlin’s official website a defense of Strauss-Khan becoming the first world leader to state that the former IMF chief was a victim of a US conspiracy. Putin further stated,

“It’s hard for me to evaluate the hidden political motives but I cannot believe that it looks the way it was initially introduced. It doesn’t sit right in my head.”

Interesting to note about all of these events is that one of the United States top Congressman, and 2012 Presidential candidate, Ron Paul has long stated his belief that the US government has lied about its gold reserves held at Fort Knox.  So concerned had Congressman Paul become about the US government and the Federal Reserve hiding the truth about American gold reserves he put forward a bill in late 2010 to force an audit of them, but which was subsequently defeated by Obama regime forces.

Is There Gold in Fort Knox?

When directly asked by reporters if he believed there was no gold in Fort Knox or the Federal Reserve, Congressman Paul gave the incredible reply,

“I think it is a possibility.”

Also interesting to note is that barely 3 days after the arrest of Strauss-Kahn, Congressman Paul made a new call for the US to sell its gold reserves by stating, “Given the high price it is now, and the tremendous debt problem we now have, by all means, sell at the peak.”

Congressman Ron Paul has long stated his belief that the US government has lied about its gold reserves held at Fort Knox

Bizarre reports emanating from the US for years, however, suggest there is no gold to sell, and as we can read as posted in 2009 on the ViewZone.Com news site:

“In October of 2009 the Chinese received a shipment of gold bars. Gold is regularly exchanges between countries to pay debts and to settle the so-called balance of trade. Most gold is exchanged and stored in vaults under the supervision of a special organization based in London, the London Bullion Market Association (or LBMA). When the shipment was received, the Chinese government asked that special tests be performed to guarantee the purity and weight of the gold bars. In this test, four small holed are drilled into the gold bars and the metal is then analyzed.

Officials were shocked to learn that the bars were fake. They contained cores of tungsten with only a outer coating of real gold. What’s more, these gold bars, containing serial numbers for tracking, originated in the US and had been stored in Fort Knox for years. There were reportedly between 5,600 to 5,700 bars, weighing 400 oz. each, in the shipment!”

Chinese officials were shocked to learn that the bars were fake. The gold shipment contained a tungsten core with a thin coating of real gold. These tested gold bars originated in the US and had been stored in Fort Knox for years.

To the final fate of Strauss-Kahn it is not in our knowing, but new reports coming from the United States show his determination not to go down without a fight as he has hired what is described as a ‘crack team’ of former CIA spies, private investigators and media advisers to defend him.

To the practical effects on the global economy should it be proved that the US, indeed, has been lying about its gold reserves, Russia’s Central Bank yesterday ordered the interest rate raised from 0.25 to 3.5 percent and Putin ordered the export ban on wheat and grain crops lifted by July 1^st in a move designed to fill the Motherlands coffers with money that normally would have flowed to the US.

The American peoples ability to know the truth of these things, and as always, has been shouted out by their propaganda media organs leaving them in danger of not being prepared for the horrific economic collapse of their nation now believed will much sooner than later.

Osamacide – The Truth about the Osama bin Laden operation [Video]

It’s the end of an era. The decade which opened with a ferocious attack in the United States of America, closes with the announcement of the death of its greatest and most conveniently disney-like villain, Usama Bin Laden. In a decade which has been dominated by the Empire Strikes Back, our affable and dextrous host Robert Foster invites us to scrutinise the events shrouding the killing of this twentyfirst-century Goldstein. Joining him in this May retrospective are Rap News regulars, General Baxter, the Pentagon‘s most effusive spokesperson, attempting uncharacteristically to stay ‘on message’, and his counterpart from the world of alternative academia, the conspiracy industry’s favourite son, Terrence Moonseed. What actually happened in Abbotabad? Do the public have a right to see evidence of this event? What is Terrence wearing on his head? Was justice really served? What next? History is happening.

Guns For Hire (Afghanistan)

Documentary about the secretive world of private military companies.

Included is a unique interview in Kabul‘s Polecharki jail with the infamous American prisoner Jack Idema — an ex Marine Special Forces soldier who turned rouge.

 

Jack Idema aka Jonathan Idema

Osama Bin Laden

 

Jack was hunting for Bin Laden in the hope of winning the 2 million dollars U.S. award offered for Bin Laden’s head by the Bush Administration.

Eventually, Afghan authorities arrested Idema on charges of kidnapping people and interrogating them in a private prison.

With their existing armies overstretched, Britain and America rely heavily on mercenary forces. In Guns For Hire: Afghanistan, former war reporter Sam Kiley investigates the shadowy world of the modern soldier of fortune.