• Categories

  • Archives

  • Join Bangladesh Army

    "Ever High Is My Head" Please click on the image

  • Join Bangladesh Navy

    "In War & Peace Invincible At Sea" Please click on the image

  • Join Bangladesh Air Force

    "The Sky of Bangladesh Will Be Kept Free" Please click on the image

  • Blog Stats

    • 327,568 hits
  • Get Email Updates

  • Like Our Facebook Page

  • Visitors Location

    Map
  • Hot Categories

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমীয় বাণী! যা শুনে ইতিহাস নিরবে কাঁদে

By:নাসীরুল ইসলাম 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধাদানকারী
 
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপাদমস্তক একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পূর্ব বাংলার মুসলিম জনগোষ্টির প্রতি যেমনি ছিলেন হিংসূটে তেমনি ছিলেন মারমুখো! বঙ্গবঙ্গের বিরোধীতা করতে গিয়ে, বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধীরা ১৯০৫ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত শুধু পশ্চিমবঙ্গে ৫ হাজারের মত সফল জনসভা করে। এসব জনসভায় হিন্দু নেতারা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে, জনগনকে স্থানীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ও বিক্ষুব্ধ করে তুলেন। প্রত্যেকটি বড় বড় জনসভায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন; বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছেন। হিন্দু মৌলবাদীদের ক্ষোভকে আরো চাঙ্গা করতে, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আগুনের মাঝে পেট্রোল ঢালার কাজটি করেন। তিনি সমবেত জনতার জন্য কবিতা লিখেন, “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই”। তিনি এই কবিতা দাঙ্গা উম্মাদ মারমুখো মানুষগুলোর জন্য উৎসর্গ করেন। তারপর থেকে প্রতিটি সমাবেশ শুরুর প্রাক্ষালে এই কবিতা শুনিয়ে যুবকদের রক্তকে গরম করে দিতেন। যাতে তাদের মাথায় খুন ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় কলিকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ প্রান হারায়। যাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ তথা প্রায় ৪৭ হাজার নিহত মানুষ ছিল মুসলমান। বড় পরিতাপের বিষয় ইতিহাস জ্ঞানে অজ্ঞ বাংলার মানুষ সেই কবিতাকে বাংলাদেশের শহীদ মিনারে, সামরিক বাহিনীর স্মৃতি ফলকে, অঙ্কন ও খোদাই করে কিংবা কাষ্ট ফলকে চির ভাস্কর করে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চরম বাধা দানকারীদের একজন ছিলেন। ঢাকাতে যাতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা হতে না পারে সেজন্য তিনি আমরন অনশন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন ভিসি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদদে এই বিরোধীতায় তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। পশ্চিম বঙ্গের কোন হিন্দু শিক্ষিত নেতা বাকি ছিলেন না, যারা ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করেননি। এই সমস্থ বুদ্ধিজীবি কল্পনাতেও সহ্য করতে পারতেন না, যে পূর্ব বঙ্গের মানুষ, যারা সংখ্যা গরিষ্টতায় মুসলিম, তারাও শিক্ষিত হবে! পূর্ব বঙ্গের মুসলিম যাতে কোন ভাবেই শিক্ষিত হতে না পারে, তা বন্ধে যত উপায়-অবলম্বন ছিল তার সবটাই তারা প্রয়োগ করেছিল। সেটা যত দৃষ্টিকটুই হোক, বাধা দিতে সামান্যতম কার্পন্য তারা করেনি। উদাহরন হিসেবে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ১৯২৪ সালে পাটনা হাইকোর্টের কাছে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন; কেননা তিনি ব্যারীষ্টার সাইয়্যেদ হাসান ইমাম নামের এক অচ্ছুত মুসলীমের কাছে কংগ্রেস পার্টি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। মুসলিম শিক্ষিত হবে দূরের কথা তাদের অস্থিত্ব স্বীকার করাও তাদের কাছে কঠিন ছিল।

অসম্ভব মুসলিম ও পূর্ব বঙ্গ বিদ্ধেষী এসব বুদ্ধিজীবির আচরণের কারনে, দেশটি ধর্মীয় ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। মুসলমানেরা ধর্মীয় ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যেতে কখনও আন্দোলন করেনি। হিন্দু বুদ্ধিজীবি এসব কট্টর, গোঁড়া আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত. ইসলাম বিদ্ধেষী ব্যক্তিবর্গ দ্বিজাতি তত্বের মাধ্যমে দেশ ভাগ হতে, সমুদয় মাল মসল্লা ও উপকরণ যুগিয়েছিল। আমাদের আফসোস! বর্তমানে আমাদের মধ্য থেকেই, মীর জাফর, ঘষেটি বেগমদের জম্ম হচ্ছে, তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য। ধিক্ তাদের অজ্ঞতার প্রতি।

 জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা!
রবী ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা……. গানটি শুনে এবং গেয়ে, সবাই ধারনা করেন তিনি বুঝি বর্তমান বাংলার মানুষের প্রতি খুবই অনুরক্ত ছিলেন। ব্যাপারটি মোটেও তা নয়, কিঞ্চিত পরিমানও সত্যও নয়। পাকিস্থানের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে, বাংলাদেশের স্বপ্ন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত্রেও দেখা হয়নি। তাহলে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৮ সালে বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন কিনা প্রশ্নটিই অবান্তর। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, তিনি কোন বাংলার জন্য কেঁদেছিলেন? যেখানে কবি পাকিস্থান জন্মেরও ৭ বছর আগে ১৯৪১ সালের ৭ই আগষ্ট মৃত্যু বরণ করেন। যখন বাংলাদেশ নামক কোন বস্তুর স্বপ্ন দেখা অলীক কল্পনা ছিল।মূলতঃ ১৯০৫ সালে তদানীন্তন বৃটিশের ভাইসরয় মাউন্টব্যাটেন ঘোষনা করেন, রাষ্ট্রিয় কাজের সুবিধার্থে তথা পূর্ব বঙ্গের মানুষের সুবিধার্থে বঙ্গকে ভেঙ্গে দুভাগ করা হবে। পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিম বঙ্গ। ঢাকা হবে পূর্ববঙ্গের প্রধান কেন্দ্র। এটি কোন স্বাধীনতা কিংবা স্বায়ত্বশাসন ছিলনা, সেরেফ রাষ্ট্রিয় কাজের সুবিধার্থে এই পৃথকিকরণ। তদানীন্তন বাংলার মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসায় পিছিয়ে ছিল। তারা সবাই ছিল চাষা; তাদের উৎপাদিত পাট, চা, বেত কাঁচামাল হিসেবে তৈরী হত এবং তা কলিকাতার মিলে প্রক্রিয়াজাত হয়ে বিদেশে রপ্তানী হত। এসব শিল্প কারখানায় কলিকাতার অভিজাত হিন্দুরা চাকুরী করত। তাদের সন্তানেরা সেখানে লেখাপড়া করে মানুষ হত। অপরদিকে বাংলার চাষারা ছোটখাট মারামারি করলেও কলিকাতা হাইকোট পর্যন্ত ছুটতে হত, এতে তারা গরীবই থেকে যেত। সাধারন একটা পুস্তিকা কিংবা বিয়ের কার্ড ছাপাতে সদূর সিলেট-চট্টগ্রামের মানুষকে কলিকাতা পর্যন্ত ছুটতে হত। এতে কলিকাতায় একটি হিন্দু আইনজীবি শ্রেনীও গড়ে উঠে। যার খদ্দের ছিল বাংলার অভাবী লোকজন। তাই দেশ ভাগ হলে তাদের ভাতের অভাবে মরার ভয় ছিল।

রবী ঠাকুরের দুঃচিন্তা ছিল সবচেয়ে বেশী । কারন তারা ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের মানুষ; আর দেশ ভাগ হলে, তাদের জমিদারী পড়ে যাবে পূর্ব বঙ্গে তথা বর্তমান বাংলাদেশে। এতে করে পশ্চিম বঙ্গ থেকে, পূর্ব বঙ্গে গিয়ে প্রশাসনিক খবরদারী করার অতীত খায়েশ বন্ধ হয়ে যেত। তখন তাকে জমিদারী চালাতে পূর্ব বঙ্গের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হত। ফলে তার জন্য দুটি পথ খোলা থাকে। হয়ত জমিদারী বিক্রি করতে হবে, নয়ত পূর্ব বঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে। এই দুইটির একটি করাও তার জন্য অসম্ভব ছিল। ফলে তার চরম স্বার্থহানীই তার জন্য দুঃখের কারন হয় এবং হৃদয়ে বাংলার মায়া উৎড়ে উঠে। শুরু হয় চড়া গলায় পেরেশানী। এই হতাশায় তিনি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জম্ম হবার ৬৩ বছর আগে, তথা ১৯০৮ সালে রচনা করেন, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি….। যে গানের সূত্রপাত হয়েছিল পূর্ব বঙ্গের মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য। যে গানটি রচনা করা হয়েছিল কবি পরিবারের জমিদারী টিকিয়ে রাখার জন্য। যে গানটি রচনা করা হয়েছিল, রক্তচোষা জমিদারের স্বার্থ সংরক্ষনে। সেই গানটিই হয়ে গেল আমাদের জাতীয় সঙ্গীত! অর্থাৎ জোতার মালা গলায় নিয়ে, জাতির গুনকীর্তন! এটি ইতিহাসের সেরা তামাশার একটি?

আফসোস আমাদের সরকার গুলো এর কোনটাই মূল্যায়ন করেনি। ২০০৮ সালের আওয়ামীলীগ সরকার জানে গানটি খুবই ঠুনকো ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ভবিষ্যতে এটার অস্থিত্ব বিপন্ন হবে। তাই নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে সংসদে বিল আকারে সেটাকে রক্ষা করেছেন। বিলে এতই কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে, যাতে এটা নিয়ে নূন্যতম কোন কথাই তুলতে না পারে। প্রশ্ন রইল এরা কাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে?

 
*********************************************************************************************************